কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে অস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ শুরু করেছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। শুক্রবার সকালে সংস্কার কাজ পরিদর্শন করতে আসেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক চন্দন কুমার দে।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক চন্দন কুমার দে জানান, অস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক পরিত্যক্ত ও জরাজীর্ণ বাড়িটির মূল কাঠামো ঠিক রেখে সংস্কার কাজ করছি। জুলাই-আগস্ট মাসের মধ্যেই কাজ শেষ হবে বলে আশা করি। বাড়িটির সীমানা নির্ধারণ করার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে বলেছি। সীমানা নির্ধারণের পর সীমানা প্রাচীর নির্মাণও পুকুর সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে। ২০১২ সালে ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে বাড়িটির পাশে একটি অতিথিশালা নির্মাণ করা হয়েছে। দর্শনার্থীরা স্বল্প টাকায় অতিথিশালায় থাকতে পারেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার খানজাদা শাহরিয়ার বিন মান্নান বলেন, বাড়িটি সংস্কার হলে পর্যটকদের আরও আকৃষ্ট করবে। আর পর্যটকদের পদচারণা বৃদ্ধি পেলে এই এলাকার কৃষ্টি কালচার সমৃদ্ধ হবে।

এ সময় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাইনুর রহিম, প্রত্নতাত্ত্বিক প্রকৌশলী জাহিদুল করিম, কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার খানজাদা শাহরিয়ার বিন মান্নান, প্রত্নতাত্ত্বিকসহকারী প্রকৌশলী খলিলুর রহমান তালুকদার, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতা, রসায়নবিদ লিয়াকত আলী ও মুখলেছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপি পরিদর্শনে এসে বাড়িটি সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে জালালপুর ইউনিয়নে বৃটিশ বেনিয়াদের অত্যাচারের সাক্ষী নীল কুঠির স্থাপনা রক্ষার জন্যও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেন তিনি।