
প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে অবশ্যই কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে
বর্তমানে সব চাকরির পরীক্ষাতেই ব্যাপক প্রতিযোগিতা দেখা যায়। তাই আপনাকে এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে অবশ্যই কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে। মনে রাখতে হবে বিজয়ীরা ভিন্ন কোনো কাজ করে না, বরং তারা একই কাজ ভিন্ন উপায়ে বা ভিন্ন কৌশলে করে। এখন চাকরির যে পরীক্ষাগুলো হয়, সেগুলো মোটা দাগে ভাগ করলে বলা যায়, চার ধরনের চাকরি পরীক্ষা হয়। ১. বিসিএস এবং পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত নন-ক্যাডার চাকরি, ২. প্রাইমারি,
৩. নিবন্ধন ও ৪. ব্যাংক।
প্রতিযোগিতামূলক চাকরি পরীক্ষার প্রস্তুতি কখন নেবেন
আপনার অনার্স শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক চাকরি পরীক্ষার প্রস্তুতি ও শেষ হওয়া ভালো। অনার্স পাস করার সঙ্গে সঙ্গে যদি আপনি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি শেষ করতে চান, তাহলে পড়াশোনা কিন্তু অনার্স ৩য় বর্ষ অথবা ৪র্থ বর্ষের শুরু থেকেই শুরু করতে হবে। একাডেমিক পড়ার পাশাপাশি অবসর সময়ে আপনি চাকরির পড়া পড়বেন। আপনাকে অনার্স ৩য় বা ৪র্থ বর্ষ থাকতেই পড়াশোনা করতে বলার কারণ, আপনি আগে থেকে না পড়লেও আপনার বন্ধু-বান্ধবী কিন্তু ঠিকই আগে থেকে পড়াশোনা শুরু করেছে। তাই প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে আপনাকেও পড়া শুরু করতে হবে।
বিসিএসে ৩টি ধাপ। প্রথম ধাপ প্রিলিমিনারি ২০০, ২য় ধাপ লিখিত ৯০০, ৩য় ধাপ ভাইভা ২০০।
- প্রতিযোগিতামূলক যে কোনো পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য আপনার প্রথম কাজ হলো যে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেবেন সে পরীক্ষায় কয়টি ধাপ আছে। কোন কোন সাবজেক্ট থেকে কত নম্বরের প্রশ্ন থাকে সেটি জানা এবং সেভাবে প্রস্তুতি নেওয়া। বিসিএসের ক্ষেত্রে প্রিলিমিনারিতে কয়টি সাবজেক্ট আছে, কোন সাবজেক্ট থেকে কত নম্বরের প্রশ্ন থাকবে, সেটি আপনাকে জানতে হবে। আমি একটি পেজে বিসিএস প্রিলির ১০টি সাবজেক্টের নাম এবং কোন সাবজেক্ট থেকে কত নম্বর আসে সেটি লিখে পড়ার টেবিলে রাখতাম।
- আপনি ১০টি সাবজেক্টের জন্য আবার আলাদা আলাদা পেজে ওই সাবজেক্টের বিস্তারিত তথ্য লিখে টেবিলের সামনে রাখতে পারেন। যেমন– বিসিএস প্রিলিতে গণিতে নম্বর আছে ১৫। গণিতকে আবার ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। পাটিগণিত-৩, বীজগণিত-৬, জ্যামিতি-৬। এটা লিখে আপনার লাভ কী হলো? লাভ হলো এটা যে, আপনি জানতে পারলেন গণিতে ১৫ নম্বরের মধ্যে কোন অংশ থেকে কত নম্বর থাকে এবং এটিও জানলেন যে, পাটিগণিত থেকে কম নম্বর থাকবে। আবার পাটিগণিতে ৩ নম্বরের জন্য ৬টি অধ্যায় করতে হবে, সেটিও আপনি জানবেন। এভাবে সব সাবজেক্ট জানবেন।
-১০টি সাবজেক্টের সিলেবাস ২-৩ বার করে রিডিং পড়বেন।
- রুটিন করে পড়াশোনা করা। আমার সাজেশন হলো প্রতিদিন রুটিন না করে আপনি এক মাসব্যাপী রুটিন করতে পারেন।
[কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, মোহনপুর, রাজশাহী]
মন্তব্য করুন