- চতুরঙ্গ
- কাজুবাদাম চাষে সমতলে সাফল্য
কাজুবাদাম চাষে সমতলে সাফল্য

ঘোড়াঘাটে একটি কাজুবাদাম ক্ষেত
পাহাড়ি ফল হিসেবে বেশি পরিচিত কাজুবাদাম। এই গাছ দ্রুত বর্ধনশীল ও পরিবেশবান্ধব। অর্থকরী হওয়ায় বাণিজ্যিক কৃষিতেও রয়েছে কাজুবাদামের অপার সম্ভাবনা– এমন ভাবনা থেকে সমতলে কাজুবাদাম চাষ সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি বিভাগ। এরই অংশ হিসেবে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ফলটির পরীক্ষামূলক চাষে সফলতা এসেছে।
জানা গেছে, প্রাকৃতিক পুষ্টিকর কাজুবাদাম গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ফল। এর দুটি অংশ খাওয়ার উপযোগী। কাজু আপেল অত্যন্ত রসালো এবং বাদাম পুষ্টিকর খাবার। পাকা কাজু আপেল সাধারণ আপেলের মতো খাওয়া যায়। তবে বাদাম কাঁচা অবস্থায় খাওয়ার উপযোগী নয়। প্রক্রিয়াজাত করার পর বাদাম খাওয়া হয়। বীজ থেকে পাওয়া কাজুবাদাম সুস্বাদু, মুখরোচক এবং অর্থনৈতিক দিক দিয়েও মূল্যবান। কাজুবাদামে বি, কেসহ ১২ প্রকারের ভিটামিন, তামা, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, আয়রনসহ ১০ ধরনের খনিজ পদার্থ রয়েছে। উপজেলার পালশা ইউনিয়নে দুটি কাজুবাদামের বাগান ঘুরে দেখা যায়, থোকায় থোকায় ঝুলে আছে কাজুবাদাম।
১০ থেকে ১৫ ফুট উচ্চতার গাছে ধরে আছে সবুজ, হলুদ ও লাল রঙের ফল। এসব ফলের ঠিক নিচেই ঝুলছে কাজুবাদাম। বেশ কয়েকটি গাছের নিচে কাজুবাদাম পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘোড়াঘাটের সিংড়া ইউনিয়নের রানীগঞ্জ গ্রামে পতিত জমিতে কাজুবাদাম চাষ করেছেন ফরহাদ মিয়া। তিনি জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শে দুই বছর আগে জমিতে কাজুবাদামের চারা রোপণ করেন তিনি। অনেকে সে সময় পাগল বলেছেন। একটু চিন্তায় ছিলাম। দুই বছরের মাথায় বাগানে ফল এসেছে। ফল সংগ্রহ করার সময় যেমন আপ্লুত হয়ে পড়ছেন, তেমনি বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদে আশাবাদী হচ্ছেন ফরহাদ।
একই ইউনিয়নে আবিরের পাড়া গ্রামে বাড়ির পাশে জমিতে কাজুবাদাম চাষ করেছেন আদিবাসী জেস্টিনা হেমরম। তিনি বলেন, ‘প্রথম দিকে অনেকেই অনেক কথা বলেছেন। কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী দীর্ঘ সময় পরিচর্যা করেছি। এ বছর প্রথমবারের মতো বাগানের গাছে বাদাম ধরেছে। আমি অনেক খুশি। যদিও বাজারজাত করা নিয়ে কিছুটা চিন্তা কাজ করছে। ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান বলেন, ‘পরীক্ষামূলক চাষাবাদে সফলতা এসেছে। পূর্ণাঙ্গ সফলতা এলে বাণিজ্যিকভাবে কাজুবাদাম চাষ করা হবে।
মন্তব্য করুন