দেশের প্রথম স্ট্রিট অ্যাকুয়ারিয়াম
সড়কের পাশেই খেলা করবে রঙিন মাছ
স্বপন কুমার মল্লিক, চট্টগ্রাম
ফুটপাতে নির্মাণ করা হচ্ছে বর্ণিল মাছের কেতাদুরস্ত অ্যাকুয়ারিয়াম।
পথচারীরা দেখতে পাবেন, ফুটপাতের পাশেই খেলা করছে নানা রঙের মাছ। চট্টগ্রাম
নগরীর জামালখানে নির্মিত এই অ্যাকুয়ারিয়ামই হবে দেশের প্রথম স্ট্রিট
অ্যাকুয়ারিয়াম। জামালখান পিডিবি অফিসার্স হেডকোয়ার্টারের সামনে নির্মাণ করা
হচ্ছে এমন দুটি অ্যাকুয়ারিয়াম। এরই মধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে নকশা।
এ প্রসঙ্গে জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন সমকালকে বলেন,
'চট্টগ্রামের সৌন্দর্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ও বাংলাদেশের পরিচ্ছন্ন
নগরীর মডেল হবে জামালখান। সে লক্ষ্যেই সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলছে। এরই
ধারাবাহিকতায় এখানে নির্মাণ করা হচ্ছে দুটি অ্যাকুয়ারিয়াম। চট্টগ্রামবাসীকে
পবিত্র ঈদুল আজহার উপহার হিসেবে আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই এর উদ্বোধন করা
হবে। আমার জানামতে, জামালখানেই হচ্ছে দেশের প্রথম স্ট্রিট অ্যাকুয়ারিয়াম।'
তিনি আরও জানান, এরপর আগামী সেপ্টেম্বরে উদ্বোধন করা হবে বার্ড জোন, যাতে
থাকবে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির শতসহস্র পাখি। কাউন্সিলর অফিস সূত্রে
জানা যায়, গত মার্চে জামালখানে নালা সংস্কার, ফোয়ারা, জায়ান্ট স্ট্ক্রিনের
টেলিভিশন স্থাপন, সবুজায়ন, সিটিং প্লেস ও গার্ডেনিং শীর্ষক প্রকল্পের
বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয়। সে কাজেরই অন্যতম অংশ প্রায় ২৫ লাখ টাকার
অ্যাকুয়ারিয়াম নির্মাণ প্রকল্প। সেখানে নালা সংস্কারের মাধ্যমে পানির
স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ সচল রেখে ৪৫০ ফুট দীর্ঘ ও ১৪ ফুট প্রশস্ত ফুটপাত
নির্মাণ করা হচ্ছে। ফুটপাতের ১৪ ফুটের মধ্যে সাত ফুট জায়গার ওপর
অ্যাকুয়ারিয়াম দুটি নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রস্তাবিত অ্যাকুয়ারিয়ামের নকশা
প্রস্তুত করেছে স্থাপত্য কলা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডি' সেন্স। প্রকল্পটিতে
অর্থায়ন করছে শেঠ প্রপার্টিজ। দুই অ্যাকুয়ারিয়ামের প্রতিটি হবে ১৬ ফুট
দীর্ঘ ও চার ফুট প্রশস্ত। এতে মাছ থাকবে ৩০ প্রজাতির। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য
রাখা হবে বিশেষজ্ঞ। থাকবে নিরাপত্তারক্ষীও। এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায়
ফুটপাতজুড়ে ১৩০ জনের সিটিং প্লেস করা হচ্ছে। আকর্ষণ বাড়াতে করা হবে
দৃষ্টিনন্দন গার্ডেনিং। আশপাশের দেয়ালেও হবে পরিকল্পিত সবুজায়ন।
স্ট্রিট অ্যাকুয়ারিয়াম জামালখানবাসীর জন্য নতুন চমক। কাউন্সিলর বলেছেন, এটা
চসিকের জামালখান অধিবাসীদের জন্য ঈদুল আজহার উপহার। সৌন্দর্যবর্ধনের
পাশাপাশি এই অ্যাকুয়ারিয়াম নগরবাসীর বিনোদনের নতুন উপাদান হবে বলেও মনে
করেন এলাকাবাসী। এ প্রসঙ্গে জামালখানের বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকর্তা তানিম
হাসান লিমন সমকালকে বলেন, 'চট্টগ্রামে বিনোদন স্থানের ব্যাপক অভাব রয়েছে।
আবার কোনো স্থানে বিনোদনের ব্যবস্থা থাকলেও রয়েছে নিরাপত্তার অভাব। আশা
করি, জামালখান আমাদের সেই অভাব মেটাতে সক্ষম হবে। জামালখান মোড়ে জায়ান্ট
স্ট্ক্রিনের টিভি, পানির ফোয়ারা, সুবিন্যস্ত গার্ডেনিংয়ের সঙ্গে নতুন দুই
অ্যাকুয়ারিয়াম এ এলাকার আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে তুলবে।'