- চট্টগ্রাম
- মেহেদীসহ তিনজন গ্রেপ্তার, মূলহোতা অধরা
পর্যটক ধর্ষণ
মেহেদীসহ তিনজন গ্রেপ্তার, মূলহোতা অধরা

কক্সবাজারে নারী পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত আশিককে এখনও আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। পুলিশ বলছে, তাকে গ্রেপ্তারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে। শিগগির তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে ধর্ষণের মামলায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- শহরের দক্ষিণ বাহারছড়া এলাকার আবুল বশরের ছেলে রেজাউল করিম, একই এলাকার সালেহ আহমদের ছেলে মেহেদী হাসান এবং চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের উলুবনিয়া গ্রামের মোক্তার আহমদের ছেলে মামুনুর রশীদ। তারা ধর্ষণের ঘটনায় ‘সহযোগী ছিল’ বলে পুলিশ জানিয়েছে।
রোববার দুপুরে কক্সবাজার কার্যালয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মুসলিম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
কক্সবাজারে ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি জিল্লুর রহমান বলেন, নারী ধর্ষণ মামলায় তিনজনকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখা হয়েছে। মূল হোতা আশিককে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে বুধবার রাতে হোটেল জিয়া গেস্ট ইনের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে আটক করে র্যাব। নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার সদর থানায় চারজনের নামসহ অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারীর স্বামী। এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- আশিকুর রহমান আশিক এবং তার তিন সহযোগী ইস্রাফিল হুদা ওরফে জয়া, মেহেদী হাসান ওরফে বাবু ও রিয়াজ উদ্দিন ছোটন। মামলাটি ট্যুরিস্ট পুলিশ তদন্ত করছে।
মামলায় ওই নারীর অভিযোগে জানা যায়, গত বুধবার বিকেলে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে তারা বেড়াতে যান। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার আট মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নেয় কয়েকজন। এসময় আরেকটি সিএনজি অটোরিকশায় ওই নারীকে তুলে নেয় তিন যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ‘ধর্ষণ’ করে তিনজন।
এরপর নারীকে নেওয়া হয় কলাতলীতে জিয়া গেস্ট ইন হোটেলে। সেখানে ইয়াবা সেবনের পর আরেক দফা তাকে ধর্ষণ করে ওই তিন যুবক। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে জানিয়ে কক্ষ বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘটনাস্থল ছাড়ে তারা। পরে র্যাব এসে নারীকে উদ্ধার করে। পরদিন দুপুরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা পুলিশের নিরাপত্তায় রয়েছেন।
মন্তব্য করুন