আখাউড়ায় মধ্যরাতে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার ইসলামী বক্তা মুফতি শরীফুল ইসলাম ভূঁইয়া নূরী দাবি করেছেন, ‘বাতিল আকিদাধারী’ একটি ‘নব্যধারার শিয়া খারেজিরা’ তার ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত।

তিনি জানান, হামলাকারীরা লাঠিসোটা ও অস্ত্র নিয়ে তাঁকে আঘাত করে। এক পর্যায়ে তাঁকে মাটিতে ফেলে ধারালো ছুরি দিয়ে তাঁর জিহ্বা কাটার জন্য আঘাত করে। এতে তাঁর জিহ্বার প্রায় ৯ সেন্টিমিটার অংশ কেটে যায়। ঢাকায় চিকিৎসা শেষে তিনি এখন বাড়িতে অবস্থান করছেন।

বিভিন্ন সময়ে ওয়াজ মাহফিলে শিয়াদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতেন শরীফুল (৩৮)। দৃশ্যত এর জেরে শনিবার রাতে চান্দুরা-আখাউড়া সড়কের উপজেলার রামধননগর রেলক্রসিং এলাকায় তাঁর ওপর হামলা হয়। এ সময় বাঁশের আঘাতে তার দুই পা, মুখ ও জিহ্বার বেশ কিছু অংশ কেটে যায়। তার সঙ্গী ওবায়দুল্লাহকেও মারধর করে দুর্বৃত্তরা।

শরীফুলের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চাপুইর গ্রামে। তিনি বিজয়নগর উপজেলার একটি ফাজিল মাদ্রাসার আরবির প্রভাষক। এ বিষয়ে আখাউড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে শরীফুলের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, তিনি বিছানায় শুয়ে আছেন। তিনি মুখে কিছু বলতে না পারলেও কাগজে লিখে জানান কেন তাঁর ওপর হামলা হয়েছে। তিনি জানান, তাঁর ওয়াজ নসিহত ছিল বাতিল আকিদাবাদীদের বিরুদ্ধে। বিশেষ করে শিয়া খারেজিবিরোধী। একটি নব্যধারার শিয়া গোষ্ঠী প্রায়ই তাকে হুমকি দিত। হামলার আগে বিজয়নগরের দৌলতবাড়ী রেজভিয়া দরবার শরিফের বার্ষিক মাহফিলেও তিনি শিয়াদের বিরুদ্ধে কথা বলেন।

সেখান থেকে ফেরার পথে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে ১০-১২ জন এলোপাতাড়ি তাঁকে আঘাত করে। শরীফুলের সঙ্গী ওবায়দুল্লাহ বলেন, হামলাকারীরা আগ থেকেই ওত পেতে ছিল।

শরীফুলের চাচা আবদুল বাছির ভূঁইয়া আখাউড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার ঘাটিয়ারা গ্রামের রায়হান, বিজয়নগর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের জাক্কুর পাশাপাশি অজ্ঞাত ৫-৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আখাউড়া থানার ওসি আসাদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তার নাম-পরিচয় বলা যাচ্ছে না।