- চট্টগ্রাম
- সংক্রমণ চিকিৎসায় অনেক অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হচ্ছে: ঔষধ প্রশাসন ডিজি
সংক্রমণ চিকিৎসায় অনেক অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হচ্ছে: ঔষধ প্রশাসন ডিজি

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ বলেছেন, বর্তমানে অনেক কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিক সংক্রমণ চিকিৎসায় অকার্যকর পাওয়া যাচ্ছে, বিষয়টি উদ্বেগের। এর সম্ভাব্য কারণ ও ভয়াবহতা সম্পর্কে সবার জানা দরকার।
রোববার নগরীতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সবিষয়ক সচেতনতা সভার সমাপনীতে তিনি এসব কথা বলেন। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি ও ব্যবহারের ব্যাপারে সবার সচেতন থাকা জরুরি। নির্দিষ্টভাবে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধ করা না গেলে বিশ্ব ভয়াবহতার দিকে ধাবিত হবে। বাংলাদেশ সরকার অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। নিষিদ্ধ ফিজিশিয়ান স্যাম্পল কোনোভাবে বিক্রি করা যাবে না। অসাধু চক্র একসময় ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বাজারে ছেড়ে দিত, যা থেকে সরকার ভ্যাট পেত না।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, দেশে অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। ভাইরাসজনিত সর্দি, কাশি, জ্বরের মতো সাধারণ রোগের জন্যও চিকিৎসকরা অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের পরামর্শ দেন। এ ব্যাপারে সচেতনতার বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কনসালট্যান্ট (এএমআর) কর্নেল এ কে এম শহীদুল হাসান (অবসরপ্রাপ্ত), ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপপরিচালক ওয়াহিদুর রহমান, কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি সমীর কান্তি শিকদার প্রমুখ।
দুই দিনব্যাপী এ আয়োজন শনিবার শুরু হয়। দুই দিনের আলোচনায় অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ফার্মাসিস্টরা বিভিন্ন সমস্যাসহ যাবতীয় বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর মহাপরিচালকের কাছে তুলে ধরেন।
মন্তব্য করুন