ঢাকা মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দরে দুর্বৃত্তদের হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট

মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দরে দুর্বৃত্তদের হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট

পুড়িয়ে দেওয়া এক্সকেভেটর। ছবি: সমকাল

মহেশখালী (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৮:১৪ | আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ | ১১:১২

কক্সবাজারের মহেশখালী মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরে চাঁদা না দেওয়ায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিপুল পরিমাণ যন্ত্রাংশ লুট ও নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দিনগত রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

মাতারবাড়ী বন্দরের কাজ করা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স তাজ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী হাজী আব্বাস উদ্দিন জানান, টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ পেয়ে গত বছর থেকেই কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশে জমির মানোন্নয়নে কাজ করছিলেন তারা। দুর্গম এলাকা হওয়ায় স্থানীয় কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকেও সঙ্গে নিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি আরও বেশ কয়েকজন বিভিন্ন পরিচয়ে ফোন করে তাদের কাছে কাজের ভাগ চান। একপর্যায়ে চাঁদা দাবি করে তারা। অস্বীকৃতি জানালে প্রকল্পের কাজ বন্ধ করার হুমকি দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার দিনগত রাত ৩টার দিকে ৫০ থেকে ৬০ জনের সশস্ত্র দল নিরাপত্ত্বাকর্মীদের মারধর করে পাঁচটি লড়ি ও একটি এক্সকেভেটর জ্বালিয়ে দেয়। এ সময় ১৪ হাজার জিও ব্যাগসহ ছোট খাটো বিভিন্ন যন্ত্রাংশ লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

এছাড়া একই প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত তাজ এন্টারপ্রাইজের সহযোগী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আইটি এন্টারপ্রাইজের তিনটি এক্সকেভেটর এবং তিনটি লোড ট্রাক্টর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন সংশ্লিষ্টরা।

মাতারবাড়ি বন্দর নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, হামলার বিষয়টি তারা জেনেছেন। করণীয় ঠিক করতে চট্টগ্রাম বন্দরের একটি টিম মাতারবাড়িতে পাঠানো হচ্ছে। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার আহমেদ জানান, সবাইকে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় সন্ত্রাসী বাচ্চু ও নুরুল ইসলাম পুতুর সহযোগিরা জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে। ঘটনার জানার পরপরই নৌবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

আরও পড়ুন

×