স্মার্ট সিটি নয়, আমি একটা জাস্ট সিটি বা ন্যায্য নগর চাই। এটা কত স্মার্টলি করতে হবে, সেটা পরের ইস্যু। জাস্ট সিটি তৈরি করতে চাই জাস্ট মানুষ আর জাস্ট মানুষ তৈরি করতে জাস্ট সিটি। ব্যাপারটা এমন নয় যে কোনটা আগে বা কোনটা পরে, শুরু করতে হবে একসঙ্গে। এই গুরুদায়িত্ব আমি দিতে চাই এই নগরের মেয়রের কাঁধে।

একজন মেয়রের কাজের দুটি অংশ- এক. স্বয়ং নগরটি যার একটি নৃ-তাত্ত্বিক বা স্থানিক বৈশিষ্ট্য আছে এবং দুই. সে নগরে বসবাসকারী নাগরিকরা। এই নগর আর নাগরিকের ন্যায্য অধিকার আদায় করার জন্যই প্রায় হাজার বছর পুরোনো এই মেয়র নামক ব্যক্তিপ্রতিষ্ঠান।

একটা গল্প বলি, সে অনেক দিন আগের কথা। একটা গ্রামে বেশ কিছু বছরজুড়ে ভীষণ খরা, বৃষ্টি নেই, মানুষের বড় কষ্ট। সমস্যা সমাধানে দূরদূরান্ত থেকে কত বৃষ্টিসাধক এলো আর কত রকম যন্তরমন্তর জপল; কিন্তু কিছুতেই কাজ হলো না। এবার নতুন এক বৃষ্টিসাধক এসে গ্রামটি গভীরভাবে দেখল আর একটা তাঁবু খাটিয়ে তার ভেতর চার দিন চুপচাপ থাকল। পঞ্চম দিন বৃষ্টি নামল।

আনন্দে আত্মহারা গ্রামের মানুষ তাকে জিজ্ঞেস করল, তিনি কী এমন করেছেন যাতে বৃষ্টি নামল! সাধক বলল, 'আমি কিছু করিনি। এ গ্রামে এসে আমি দেখলাম, চারদিক সবকিছু কেমন এলোমেলো, সুর নেই, শান্তি নেই, কল্যাণপ্রচেষ্টা নেই, প্রকৃতির সঙ্গে শুভবোধের ঐকতান নেই। তাই আমি ধ্যানে বসলাম, অন্তত একজন আমি যদি ঐকতানে আসি, তাহলেই তো মঙ্গল, কল্যাণ আকৃষ্ট হবে। তাই তো বৃষ্টি নামল।'

আমি এমন একজন বৃষ্টিসাধকের মতো মেয়র চাই। ২০২০ সালের ডিজিটাল বিশ্বের উন্মুক্ত অসংখ্য তথ্য আর মতের মহাসাগরে আমি চাই একজন অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন মেয়র, যিনি গভীর প্রজ্ঞা আর জ্ঞান দিয়ে নগরকে বুঝবেন। অনেক মত চাই না, চাই আরও গভীর জ্ঞান উপলব্ধি।

বস্তুত অনেক তথ্যই ভুল তথ্য, অনেক মতামত প্রকৃত জ্ঞানের অভাব নিয়ে দেওয়া, সবকিছুতে একটা সুপারফিসিয়াল দৃষ্টির কারণে জ্ঞানের ওপর স্থান পাচ্ছে ভুল তথ্য।

একটি দেশের সব শহরের মেয়র কর্মপরিধির মধ্যে একটি সাধারণ সর্বজনীনতা থাকলেও ঢাকার মেয়রের সঙ্গে আর দেশের বাকি মেয়রদের মধ্যে একটা বড় পার্থক্য আছে। রাজধানী ঢাকা বাংলাদেশের মুখদর্পণ। এই ঢাকা বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। এই শহর চারশ' বছর পুরোনো একটা ঐতিহাসিক শহর। এই শহরের মেজাজ বুঝতে হলে এর নাগরিকদের বুঝতে হবে। পুরো বাংলাদেশের যে কোনো শহরে মূলত কেবল সে অঞ্চলের মানুষই থাকে, ঢাকা কিন্তু তার ব্যতিক্রম। এখানে স্থানীয় মানুষের চেয়ে বেশি বসবাস করে দেশের অন্য অঞ্চল থেকে আসা আন্তঃঅঞ্চল অভিবাসীরা। স্থানীয় মানুষ আর ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় বাস্তুচ্যুত অভিবাসীদের এ যৌথ শহরের চরিত্র একদমই অন্যরকম।

স্থানীয় মানুষের ভূমিপুত্রসুলভ অহংকার-আস্থা-কর্তৃত্ব থাকে, আর থাকে ঐতিহ্যপরম্পরা। অথচ আঞ্চলিক অভিবাসী মানুষকে সারাক্ষণ লড়াই করতে হয় নিজের আত্মপরিচয় আর মূল্যবোধের সংকটের সঙ্গে। তারা নিরন্তর বয়ে চলে স্মৃতির ভার, ফেলে আসা শহর-গ্রাম বা সময়ের নস্টালজিয়া তাকে তাড়া করে নিয়ত। এই স্মৃতিমেদুরতার ভার সে কখনই অতিক্রম করতে পারে না। সব মানুষের অতীত হলো তার শৈশবের মতো। সেটা ভালো বা মন্দ যা-ই হোক, সে লালন করে। নৃতাত্ত্বিক বা আঞ্চলিক বিভাজন ছাড়াও এ শহরে বসবাস করে আর্থিকভাবে ব্যাপক মাত্রায় বিভক্ত এক বিশাল জনগোষ্ঠী। দরিদ্রতম থেকে ধনীতম মানুষ। বাংলাদেশের তিরাশি শতাংশ গ্রাম যেমন সতেরো শতাংশ শহরের লাইফলাইন, খাদ্য থেকে জনশক্তি সবকিছুর দাতা, শহরও এই একই বাস্তবতার আরেকটি রেপ্লিকা। ঢাকায় বসবাস করে বিপুল এক গ্রামীণ জনগোষ্ঠী, যারা শহুরে নাগরিকের সব রকম সমর্থন (সাপোর্ট) শক্তি। পাড়ার মুদি দোকানি থেকে বাসাবাড়ির কর্মসহযোগী, ড্রাইভার, কারখানা বা নির্মাণশ্রমিক সকলে এ শহরে বসবাস করে। সমান্তরালে বসবাস করা এ বিশাল জনগোষ্ঠী ঘন সন্নিবিষ্টভাবেই বসবাস করে। সম্পূর্ণ দুই প্রান্তসীমার এই নাগরিকদের আবেগ, সম্পদ, চাহিদা আর ক্ষমতার দ্বন্দ্বের বৈষম্য আকাশপাতাল। পুরো শহরটাকে একটা পরিবার ভাবলে এ পরিবারে আছে নানা অঞ্চলের বিভিন্ন বয়সের ভিন্ন ভিন্ন শারীরিক, মানসিক, আর্থিক সামর্থ্যের মানুষ। কীভাবে হবে এর মেলবন্ধন, সবার একটাই আকাঙ্ক্ষা! বৃহত্তর স্বার্থে আদর্শ এবং কর্মপরিকল্পনা করে একে তো মেলাতে হবে।

স্থপতি হিসেবে, নাগরিক হিসেবে এই শহরে বসবাস করতে করতে নানা মানুষের সঙ্গে মিথস্ট্ক্রিয়ায় দেখি এই শহরের মানুষের বুকে একটা হাহাকার, যেন সবাই বলতে চায়, 'আর কোনো উপায় নেই বলে এই শহরে থাকছি। মেনে নিচ্ছি- মেনে নিচ্ছি, পরাজিত মানুষ, আপসকামী মানুষ বলে এই শহরে থাকছি।' সে জন্যই বুঝি এই শহরকে কেউ ভালোবাসে না, এসব বেদনার্ত হাহাকারের সঙ্গে আপসের ফিকিরে যা চাই না তা করছি, যা উচিত নয় তা করছি, যা উচিত তা করছি না। শহরের চরিত্র বুঝতে ক্রমাগত অস্বীকৃতির মধ্যে না থেকে এই ঢাকার যে একটা গভীর অসুখ আছে মনোবেদনার, কী যেন কীসের লাগি প্রাণ করে হায় হায় অবস্থা। এই আত্মার ক্রন্দন স্বীকার করতেই হবে। এর থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন স্বপ্ন, আশা, আনন্দ, উদযাপন। ঢাকা শহরের নিশ্চয়ই একটা প্রাণ আছে। একটা কোনো জয়গান, সেই আশার দিকে আলো ফেলতে হবে, গাইতে হবে সেই জয়গান। সেই জয়গানের মূলমন্ত্রকে ব্র্যান্ডিং করতে হবে, ঢাকার একটা স্লোগান থাকতেই হবে। ঢাকা হতে পারে 'সিটি অব সেলিব্রেশন'। এ শহরেই বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন- একুশ, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, ৭ মার্চের ভাষণ- মুক্তিযুদ্ধের আহ্বান, পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ।

সিটি নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজ্ঞজন ঢাকাকে সফল শহর করার বিভিন্ন পরিকল্পনা, দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ দিচ্ছেন। গত ক'বছর ধরে এসব শুনতে শুনতে সবার মুখস্থ হয়ে গেছে। বড় ক্লিশে এসব সুপারফিসিয়াল বাগাড়ম্বর। মেয়র প্রার্থীরা আবার গ্রিক দেবতা ট্যালোজের মতো তা ধর্তব্যের মধ্যে নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করছেন, নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। কিন্তু শহরের অসুখটা না বুঝে নিরাময়ের চেষ্টা করলে সব চেষ্টাই পণ্ডশ্রম হবে।

স্থপতিরা যেমন বার্ডস আই ভিউ আঁকে, পাখির চোখে স্থাপত্য দেখে, তেমনি আমি আমার সমস্ত মনোযোগ দিয়ে এই নগরকে বিচার করতে চাই একজন হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী নাগরিকের অবস্থান থেকে। বলা হয়, যে দেশে যত বেশি হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী মানুষ প্রকাশ্যে দেখা যায়, সে দেশই সভ্য দেশ। যে দেশে এসব স্পেশাল মানুষ আত্মমর্যাদা নিয়ে বাঁচতে পারে, সেটাই সভ্য দেশ। অথচ এই নগরে তারা বিচ্ছিন্নতার মনোবেদনায় বসবাস করে।

নির্মিত পরিবেশ (নঁরষঃ বহারৎড়হসবহঃ) তার জন্য সারাক্ষণই বাধা। একজন হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী মানুষ তার হুইলচেয়ার নিয়ে কোথাও প্রবেশই করতে পারে না। মানুষের যে নূ্যনতম মানবাধিকার বা মানবিক অধিকার, সেটুকুও সে পায় না। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন, আইন, বিনোদন, সংস্কৃতিচর্চা সম্পর্কিত কোনো নির্মিত ভবনই তার জন্য নয়। কিছু কিছু মানুষ এ অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করেই যাচ্ছে, কিন্তু লাল ফিতার দৌরাত্ম্য আর সমন্বয়হীনতা, বিচারহীনতার এই রাষ্ট্র-কাঠামোয় কোনো সুরাহাই মেলে না, হতাশাই বাড়ে কেবল।

মেয়রই একটি শহরের মানুষের অভিভাবক, তিনিই পারেন একহাতে এ সমস্যার সমাধান করতে। পৃথিবীজুড়ে সব দেশের মেয়ররাই এই অভিভাবকত্ব করেন। আমি ভেবেছি, এবার মেয়রের কাছ থেকে নগরে নগদে এ অধিকার আদায় করে নেব।

মানুষ তার অধিকার নিশ্চিত করতে না পারলে জীবনটা উদযাপনের হয় না, আনন্দের হয় না। আনন্দ উদযাপনও মানুষের অধিকার। এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে না পারলে ক্ষোভ বাড়বে, অপরাধ বাড়বে। অপরাধ বাড়িয়ে তারপর অপরাধী ধরার নানা কৌশল ঠিক করতে করতে যেন জীবনের অপচয় না হয়।

একসময় বলা হতো, ঢাকা মসজিদের শহর। ঢাকা এখন মার্কেটের শহর। শহরজুড়ে সারাক্ষণ সব জায়গায় মার্কেট, ভ্যানে-ঝুড়িতে-ঝাঁকায়-ফুটপাতে-পাকা মার্কেট- কাঁচা মার্কেট-বাসাবাড়ি সবখানে সারাক্ষণ হাট করে খোলাবাজার। এই নগরের নাগরিকরা এখন কেবল কনজ্যুমার- এই মানসিকতা থেকে বের হতে হবে। শহর নান্দনিক হতে হবে, কল্যাণকর হতে হবে।

মূল মাস্টারপ্ল্যানে গলদ বা বারবার পরিবর্তনের জন্য হয়তো পুরো ঢাকাকে আমরা চূড়ান্ত সমাধানে নিতে পারব না; কিন্তু ছোট ছোট এলাকাকে সমাধান করে আমরা তো রিডিজাইন করতেই পারি।

প্রতিটি এলাকায় যেন আবাসিক, বাণিজ্যিক, স্বাস্থ্যসেবা, বিনোদন এলাকা পৃথক থাকে। অন্তত একটা পার্ক, একটা শপিং স্ট্রিট আর অনেক গাছপালা। পাবলিক এরিয়া যেন বিশাল হয়, নান্দনিক হয়, সবার হয়। বাঙালির মূল সুর কিন্তু পরিমিতি, সারল্য, অযথা ব্যয় নয়, বাহুল্য নয়- এটা মনে রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, শহরের মানুষের যেন মন খারাপ না হয়।

ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফ্যাসিলিটি, অর্থাৎ ভবন রাস্তাঘাট যেন যথাযথ হয়, সবার জন্য হয়, নেইবারহুড যথাযথ ডিজাইনে হয়। মূল শহরের বিভিন্ন এলাকার মধ্যে যোগাযোগের রাস্তা সঠিক না হলে মানুষের মনে বিচ্ছিন্নতা, বিপন্নতা কাজ করে। তাই এ যোগাযোগ ঠিক রাখতে হবে এবং সে জন্য সঠিক রাস্তা, সঠিক ইন্টারসেকশন এবং সর্বোপরি সঠিক পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা লাগবে, মানুষ যেন সময় সংকটে না পড়ে। আবার এই শহর থেকে যেন দ্রুত বেরিয়ে যেতে পারে। মূল শহরের সঙ্গে গ্রাম-মফস্বল যেন যথাযথভাবে সংযুক্ত থাকে।

শহরের মানুষের জন্য নতুন আসা বাস্তবতা মেট্রোরেলের সঙ্গে ওরিয়েন্টেশন এখনই শুরু করতে হবে। মেট্রোতে ওঠা ও নামার পরের বাস্তবতা এখনই সমাধান না করলে এ ওর কাঁধে দোষ চাপাবেই কেবল, সমাধান হবে না। বৃষ্টির এই শহরে মানুষকে পায়ে চলা উৎসাহিত করতে হলে কাভার্ড ফুটপাত লাগবে, লাগবে শহরজুড়ে সাইকেলের লেন। বাইসাইকেল কালচার তো কেবল ইউরোপের নয়, আমাদেরও; গ্রামবাংলা বা মফস্বলে গেলে এটা বেশ বোঝা যায়। ঢাকার ঐতিহাসিক বাস্তবতায় আধুনিক এবং ঐতিহাসিক স্থাপত্যসহ অবস্থান লাগবেই। আবাসিক এলাকায় যেন অন্তত দমবন্ধ করা পরিস্থিতি না হয়।

এই শহর বাঁচাতে কত গাছ লাগে, তা হিসাব করে কড়ায়গণ্ডায় যেন লাগানো হয়। পাড়ায় পাড়ায় যেন মেন্টাল হেল্‌থ সেন্টার, ফ্যামিলি কাউন্সিলর থাকে। স্কুলগুলোতে ভৌতকাঠামো না বাড়িয়ে কী করে বেশি বাচ্চা পড়তে পারে, তার ব্যবস্থা করতে হবে। মানসিক প্রশান্তির একটা বড় অঙ্গ দৃষ্টিদূষণ (ারংঁধষ হড়রংব), এটা কমাতেই হবে। যত্রতত্র নানা রং-পোস্টার, বিজ্ঞাপন, যেমন ইচ্ছা স্থাপত্য, যেমন ইচ্ছা ভাস্কর্য করতে দেওয়া যাবে না।

উত্তর-দক্ষিণ পেরিফেরাল অংশে সমন্বয় করতে হবে, নয়তো আবার উত্তরের মশা দক্ষিণে যাওয়ার মতো হাস্যকর যুক্তির উপস্থাপন হবে।

কে মেয়র, কেমন মেয়র, কার মেয়র নিয়ে নানা মানুষ বিভিন্ন ভাবনা আর উচ্চারণের মাঝে হঠাৎ দেখলাম একটা মন খারাপ করা প্রপাগান্ডা শুরু হয়েছে। বলছে, মেয়রের কাছে সবাই যা আশা করছে, তার বিশ শতাংশ ক্ষমতা আছে তার! তিনি চুয়ান্নটা এজেন্সি এবং নয়টি মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত কাজের অধীন, তার কোনো স্বাধীনতা নেই। কথাটি কিন্তু সত্য নয়। এসব এজেন্সি এবং মন্ত্রণালয় তো থাকবেই; কিন্তু তিনি নাগরিকের অভিভাবক হিসেবে দায়বদ্ধ থাকবেন অধিকারটুকু আদায় করে নেওয়ার। এটাই তার কাজ। মেয়র যদি ক্ষমতা দিয়ে ন্যায্যকাজটি না করেন, তবে তো পুরোটাই ফ্যান্টাসি! লাভ কী? নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করবেন মেয়রই।

ফিরে আসি ন্যায্য শহর বিষয়ে। আসলে এতক্ষণ যা বলা হলো সবই তো সেই ন্যায্যতার আশায়। সবার জন্য একটা ন্যায্য শহর গড়তে হলে সব মানুষকে ধারণ করার মতো একটা ইশতেহার ঘোষণা করতে হবে, যা ব্যক্তি, দল, বা সময়কালের ঊর্ধ্বে উঠে সর্বজনীন হবে। এ ক্ষমতা বা কাজের একটা নিরবচ্ছিন্নতা থাকতে হবে। অসম্ভবের পায়ে মাথা না কুটে সহজ সমাধান চাই, বড় বড় স্বপ্ন আর তার বাস্তবায়ন। সুদিন আসবেই।