- সিটি নির্বাচন
- মেয়র প্রার্থীরাও পরিবর্তনের পক্ষে, দায় এড়াচ্ছে ইসি
একই দিনে পূজা ও ভোট
মেয়র প্রার্থীরাও পরিবর্তনের পক্ষে, দায় এড়াচ্ছে ইসি

সরস্বতী পূজার দিনে ঢাকার দুই সিটি ভোট নেওয়ার বিষয়ে বিতর্ক আরও জোরালো
হচ্ছে। নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন ও কর্মসূচি পালন
করছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট
খারিজের পর গতকাল বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন এক আইনজীবী। দুই বড়
রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীরাও পূজার কারণে ভোটের দিন
পরিবর্তনের পক্ষে মত দিয়েছেন।
যদিও নির্বাচন কমিশন (ইসি) তাদের অবস্থানে এখনও অনড়। আদালতের আদেশ ছাড়া
নির্বাচনের দিন পরিবর্তনের কোনো সিদ্ধান্ত প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নেওয়া হবে না
বলে জানিয়েছে কমিশন। নির্বাচনের প্রস্তুতিতে বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে বলে
কমিশন ভোট এগিয়ে আনতে রাজি নয়। আবার ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশজুড়ে এসএসসি
পরীক্ষা শুরুর কারণে তারিখ পেছানোরও সুযোগ নেই বলে মনে করছে ইসি।
এদিকে গতকাল জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে গিয়ে
বরিশাল-৪ থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য পংকজ নাথ প্রধানমন্ত্রীর
দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, 'সরস্বতী পূজার দিন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ
গভীর ষড়যন্ত্রের ফসল। কারণ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বেশির ভাগ ভোটই নৌকার
পক্ষে যায়। তাই আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা নষ্ট করতে এ ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
আদালত কিংবা নির্বাহী আদেশ, যেভাবেই হোক না কেন নির্বাচনের তারিখ দুই দিন
পেছালে কোনো সমস্যা হবে না।'
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান
ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের
সংগঠনগুলোর এক জরুরি বৈঠক হয়েছে। সেখান থেকে পূজার দিনে নির্বাচনের তারিখ
পরিবর্তনের দাবিতে আগামী ২০ জানুয়ারি বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সারাদেশে
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
গত ২২ ডিসেম্বর কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুসারে ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর ও
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি) ভোট নেওয়ার দিন ধার্য হয়েছে।
তবে ২৯ জানুয়ারি সকাল ৯টা ১০ মিনিট থেকে পরদিন ৩০ জানুয়ারি সকাল ১১টা
পর্যন্ত সরস্বতী পূজার তিথি উল্লেখ করে নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের
নির্দেশনা চেয়ে ৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট করেন
আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষ। শুনানি শেষে আদালত রিট আবেদন খারিজ করে দেন। গতকাল
ওই একই আইনজীবী ভোটের দিন পরিবর্তনের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে
আবেদন করেছেন। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন
পরিষদের পক্ষ থেকেও ইসিতে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীরাও ভোট পেছানোর দাবিতে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আমরণ অনশন
কর্মসূচি পালন করছেন।
বিশ্নেষকরা বলছেন, সংবিধান ইসিকে অগাধ ক্ষমতা দিয়েছে। বাস্তবতা বিবেচনায়
নিয়ে কমিশনের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এখানে 'গো' ধরে বসে থাকার সুযোগ
নেই। দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদরাও নির্বাচন পেছানোর পক্ষে মুখ খুলতে
শুরু করেছেন।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন জানিয়েছেন, পূজার
কারণে ভোটের সময় পরিবর্তনের দাবির পক্ষে চলমান আন্দোলনে তাদের নীতিগত
সমর্থন রয়েছে। তিনি বলেছেন, সরস্বতী পূজার দিনে এটা করা সরকারের একটা
অন্যায় কাজ। এটা অতীতে কোনোদিন হয়নি। এটা সরকারের একদম গাফিলতি এবং
ব্যর্থতা।
এ প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী
ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'কমিশনের বিবেচনার
ভেতর কোনো ফাঁক-ফোকর আছে কিনা তা আদালতের দেখার বিষয়। আদালত ইতোমধ্যে
নির্দেশ দিয়েছেন। তার মানে কমিশন যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে, তা ঠিক
আছে।' সরকারি ক্যালেন্ডারে ভুল আছে কিনা জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন,
'ভুল থাকলে সেটাও আদালতেরই দেখা উচিত।' নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবিতে
আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীদের তিনি আদালতের নির্দেশ মেনে নেওয়ার আহ্বান
জানান।
চার মেয়র প্রার্থীর আহ্বান :এদিকে সরস্বতী পূজার জন্য ঢাকার সিটি নির্বাচন
পেছানোর দাবি জানিয়েছেন ডিএনসিসিতে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল
ইসলাম। ইসিকে বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ একটি
অসাম্প্রদায়িক দেশ। তিনি চান না, সরস্বতী পূজার দিন নির্বাচন হোক। তিনি
বলেন, 'পূজার কথা মনে রেখে নির্বাচন পেছানো হোক, এই দাবি করছি। আমাদের
খেয়াল রাখতে হবে, ধর্ম পালনে কারও যেন কোনো বিঘ্ন না হয়। আমি চাই, নির্বাচন
কমিশন এ বিষয়টি বিবেচনা করবে।' গতকাল বৃহস্পতিবার মিরপুর ১২ নম্বরে আলুবদি
ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত নির্বাচনী প্রচার ও গণসংযোগ সমাবেশে এ অনুরোধ জানান
আতিকুল ইসলাম।
ডিএসসিসিতে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস একই দিনে
পূজা ও ভোট হওয়ায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রতি সমবেদনা ও সহমর্মিতা
জানিয়েছেন।
ঢাকা উত্তর সিটিতে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেছেন, ৩০ জানুয়ারি
সরস্বতী পূজার দিনে নির্বাচন হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা তাদের
মনের ক্ষোভ ভোটের বাক্সে প্রকাশ করবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর পশ্চিম
তেজতুরীপাড়ায় নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ার সময় তিনি বলেন, 'বছরে কখন পূজা
হবে, তা আগে থেকেই জানা। পরিকল্পনার সময় নির্বাচন কমিশনও নিশ্চয়ই জানত।
আমরা মনে করি, ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচন কমিশন এ রকম একটা তারিখ দিয়েছে। এর
মাধ্যমে প্রমাণ হয়, বর্তমান সরকার সব ধর্মকে একভাবে দেখে না, একভাবে সম্মান
করে না। অথচ সংবিধান অনুযায়ী সবাইকে সমানভাবে দেখতে হবে।'
এর আগে দুর্গাপূজার সময় রংপুরে উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের উল্লেখ করে তাবিথ
আউয়াল বলেন, 'আমরা বলেছিলাম দুর্গাপূজার সময় রংপুরে উপনির্বাচন যেন না
দেওয়া হয়। তারা ঠিকই দিয়েছেন। এবারও ইচ্ছাকৃতভাবে সরস্বতী পূজাকে বানচাল
করার জন্য নির্বাচনের তারিখ দেওয়া হয়েছে।'
একই দলের দক্ষিণ সিটির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের
ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা বিবেচনায় ভোটের সময় পেছানোর জন্য কমিশনকে অনুরোধ
করেছেন।
নির্বাচন কমিশন যা বলছে : এ প্রসঙ্গে ইসি কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো.
আলমগীর বলেছেন, ভোটের তারিখ পরিবর্তন বিষয়ে আপিল বিভাগে আবেদনের
পরিপ্রেক্ষিতে যে রায় আসবে, কমিশন তা অবশ্য?ই মেনে নেবে। গতকাল বৃহস্পতিবার
নির্বাচন ভবনে নিজের দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন,
হাইকোর্টের রায়ের পরও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। অবশ্য কেন করছে, কারা
তাদের সংগঠিত করছে- এ বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। তিনি বলেন,
'শিক্ষার্থীদের অন্যভাবে বোঝানো হচ্ছে, যার ফলে শিক্ষার্থীরা ভুল বুঝতেই
পারেন। কারণ তাদের বয়স কম। আমার ধারণা, তাদের এই ভুলটা কেটে যাবে এবং তারা
বিষয়টি বুঝতে পারবে।'
তিনি বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা শুরু, মার্চ স্বাধীনতার মাস, তারপর
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনের নানা রকম প্রোগ্রাম রয়েছে। এরপর এপ্রিলে
শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা, মে মাসে নির্বাচনের যত তারিখ আছে তাতে
তখন আর কিছু কোনোভাবেই করা সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, তফসিল এমনভাবে দিতে
হবে যে প্রতীক পাওয়ার পর প্রার্থীদের অবশ্যই কমপক্ষে ১৫ দিন সময় দিতে হবে
প্রচারের জন্য। এ ক্ষেত্রে এক দিন কম দিয়ে ১৪ দিন সময় দিলে প্রার্থীরা আবার
আদালতে যেতে পারবেন। আদালতও আইনের পক্ষে রায় দেবেন। তাই সবকিছু বিবেচনায়
নিয়েই কমিশন অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গতভাবে ৩০ জানুয়ারি ভোটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইসি সচিব বলেন, 'সরকারি ক্যালেন্ডারে ২৯ জানুয়ারি পূজার কথা বলা আছে।
ক্যালেন্ডার তো সেদিন হয়নি। এটি অক্টোবরে হয়েছে এবং নভেম্বরে গেজেট আকারে
প্রকাশ হয়েছে। সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে এই ক্যালেন্ডার রয়েছে। তখন কেন তারা
সরকারের কাছে বলেননি, পূজা ২৯ নয় ৩০ তারিখে? সরকার যদি মনে করত, পূজা ৩০
জানুয়ারি তাহলে সেদিনই পূজার তারিখ ঘোষণা করত। তাহলে আমরাও ২৯ তারিখেই
শিডিউল দিতে পারতাম।'
সাবেক নির্বাচন কমিশনাররা যা ভাবছেন : এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক নির্বাচন
কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনের দিন
পরিবর্তনের সুযোগ নেই। কারণ নির্বাচন পেছানোর জটিলতা অনেকটাই স্পষ্ট। ইসি
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ভোট। পরের দিন ৩১ জানুয়ারি
শুক্রবার। তার পরের দিন ১ ফেব্রুয়ারি পাবলিক পরীক্ষা শুরু হবে। একইভাবে এক
দিন এগোলেও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। কারণ ২৯ জানুয়ারি থেকেই পূজার লগ্ন
শুরু। সে ক্ষেত্রে ২৭ বা ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করতে গেলে প্রস্তুতিতে
সমস্যা তৈরি হবে। তিনি বলেন, সবগুলো ভোটকেন্দ্রে এবার ইলেক্ট্রনিক ভোটিং
মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই ইভিএমের কাস্টমাইজেশনসহ অন্যান্য
প্রস্তুতি ব্যাহত হবে। পুরো নির্বাচনী আয়োজনই তখন চাপের মুখে পড়বে। তিনি
আরও বলেন, নির্বাচন পেছানোর নজির থাকলেও এগিয়ে আনার নজির নেই।
এ প্রসঙ্গে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, তফসিল
ঘোষণার পরপরই হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনারের কাছে আপত্তি
জানানো হয়েছিল। তখন কমিশন আপত্তির বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিলে
পরিস্থিতি এত জটিল হতো না। বর্তমান জটিলতা ইসির কারণেই সৃষ্টি হয়েছে- এমন
মন্তব্য করে এম সাখাওয়াত বলেন, নির্বাচন ২-১ দিন এগিয়ে আনলে আইনগত কোনো
সমস্যা নেই। কারণ ১৫ দিনের প্রচারে ভোট হতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। নবম জাতীয়
সংসদ নির্বাচনের ভোটও হয়েছে মাত্র ১৮ দিনের প্রচারে।
সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, আদালত নির্দেশ দিলে দিন পরিবর্তন করা হবে,
ইসির এই অবস্থান অনাকাঙ্ক্ষিত। নিজের দায়িত্ব অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার
কোনো মানে নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রিট দায়েরকারী যা বলছেন : ভোটের দিন পেছানোর দাবি করে হাইকোর্টে রিট
দায়েরকারী আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষ সমকালকে বলেন, ভোটের কেন্দ্র স্কুল-কলেজে
হয়। আর সরস্বতী পূজাও হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয়। এ কারণে একই দিনে ভোট ও
পূজা হলে সাধারণ মানুষের পূজা উদযাপন বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে। এটা
সংবিধানেরও বিরোধী।
তবে রিটের শুনানি নিয়ে ১৪ জানুয়ারি বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি
খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ রিটটি সরাসরি খারিজ করে
দেন। কারণ হিসেবে আদালত তখন বলেন, গত ২ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২৯
জানুয়ারি সরস্বতী পূজা উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি নির্ধারণ করে।
সুপ্রিম কোর্টের চলতি বর্ষের ক্যালেন্ডারেও এটি ছুটির দিন। ছুটি নির্ধারণের
পর রিট আবেদনকারীসহ কেউই কোনো আপত্তি জানাননি। এই পর্যায়ে ভোটের তারিখ
পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। সারবত্তা না থাকায় রিটটি সরাসরি খারিজ করা হলো।
ওইদিন শুনানিতে ইসির পক্ষে আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ভোট ও পূজা একই
দিনে, কিছুটা 'কো-ইনসিডেন্ট'। নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা
বিবেচনায় নিয়ে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা সংক্ষিপ্ত করা সুনাগরিকের কাজ হবে।
ওইদিন শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য
পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত আদালতে বলেন, দেশের ১২
শতাংশ, অর্থাৎ আড়াই কোটি ভোটারের অন্তরে যা আছে, তা এই রিটে প্রতিফলিত
হয়েছে। সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদে ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা রয়েছে। রাষ্ট্র যদি
মনে করে নাগরিকের অধিকার রক্ষা করবে না, তাহলে তো আমরা কনসিডার করতে বাধ্য।
মন্তব্য করুন