- সিটি নির্বাচন
- শেষ পর্যন্ত ভোটে থাকতে পাঁচ বিষয়ে নিশ্চয়তা চান ডা. শাহাদাত
চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন
শেষ পর্যন্ত ভোটে থাকতে পাঁচ বিষয়ে নিশ্চয়তা চান ডা. শাহাদাত
সমকালের সঙ্গে আলাপচারিতা

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচনের ভোটগণনা চলাকালে কারচুপির অভিযোগ এনে বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। তবে এবার শেষ পর্যন্ত ভোটে থাকতে চায় দলটি। এজন্য ভোটের দিন বুথ পর্যায়ে সেনা মোতায়েনসহ পাঁচটি বিষয়ে নিশ্চয়তা চেয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। দলের মনোনয়ন পাওয়ার পর সমকালের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব দাবির কথা তুলে ধরেন। তার অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার ব্যবস্থা করা, আচরণবিধি ভাঙলে মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, হুমকি-ধমকি ও পুলিশি হয়রানি বন্ধ করা এবং জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে ভোটারদের কেন্দ্রে ঢোকানো। নির্বাচন কমিশনকেই এ কাজগুলো করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি সভাপতি শাহাদাত হোসেন বলেন, শেষ পর্যন্ত আমরা নির্বাচনে থাকতে চাই। এজন্য সে ধরনের অনুকূল পরিবেশ চাই। এ পরিবেশ সৃষ্টি করতে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে, তাদের বুথপর্যায়ে দায়িত্ব পালনের সুযোগ করে দিতে হবে। তাহলে বুথে ঢুকে কেউ ভোটারদের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। আরও একটি কাজ করতে হবে, সেটি হলো- জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভোটারদের কেন্দ্রে প্রবেশ করাতে হবে। এটা করা হলেও যে কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করে ভোটারদের ওপর চাপ দিতে পারবে না।
শাহাদাত হোসেন বলেন, একের পর এক নির্বাচনে ভোট দিতে না পেরে জনগণ এখন আর কেন্দ্রে যেতে চান না। চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও-পাঁচালাইশ) আসনের উপনির্বাচন এবং ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি ছিল একেবারে কম। এটা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। মানুষ যাতে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারে, তারা যাতে নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে যেতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। এক কথায় ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করতে, তাদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিতে হবে। বিশেষ করে নির্বাচনের আগের রাতে বাড়ি বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে আসা, নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পথে বাধা দেওয়া বন্ধ করতে হবে। ধরপাকড়সহ পুলিশের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। সরকার ও নির্বাচন কমিশনকেই এ কাজটি করতে হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মেয়র প্রার্থী বলেন, নির্বাচনী প্রচার এখনও পুরোদমে শুরু হয়নি। অথচ এখন থেকেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও দলটির এমপি-মন্ত্রীরা নির্বাচনের আচরণবিধি ভাঙছেন। আমি নির্বাচন কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অনুরোধ করব- তারা যেন এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়। নির্বাচনী মাঠে সবাই যেন সমান সুযোগ-সুবিধা পায় সেটি তাদেরই নিশ্চিত করতে হবে।
বিএনপির সাবেক চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা ডা. শাহাদাত বলেন, নির্বাচনের ওপর মানুষের এখন আর আস্থা নেই। সরকার দিনের ভোট রাতে নিয়ে ফেলছে। আবার ইভিএম নিয়েও সূক্ষ্ণ কারচুপি করছে। তারপরও বিএনপি বিশ্বাস করে, ক্ষমতা পরিবর্তনে একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে নির্বাচন। তাই গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হয় যাতে বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে চট্টগ্রামে এক ধরনের গণজোয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে এবারের নির্বাচন নিয়ে সরকার কোনো ধরনের কারচুপির চেষ্টা করা হলে জনগণই তার সমুচিত জবাব দেবে।
এক প্রশ্নের জবাবে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি সভাপতি শাহাদাত হোসেন বলেন, শেষ পর্যন্ত আমরা নির্বাচনে থাকতে চাই। এজন্য সে ধরনের অনুকূল পরিবেশ চাই। এ পরিবেশ সৃষ্টি করতে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে, তাদের বুথপর্যায়ে দায়িত্ব পালনের সুযোগ করে দিতে হবে। তাহলে বুথে ঢুকে কেউ ভোটারদের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। আরও একটি কাজ করতে হবে, সেটি হলো- জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভোটারদের কেন্দ্রে প্রবেশ করাতে হবে। এটা করা হলেও যে কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করে ভোটারদের ওপর চাপ দিতে পারবে না।
শাহাদাত হোসেন বলেন, একের পর এক নির্বাচনে ভোট দিতে না পেরে জনগণ এখন আর কেন্দ্রে যেতে চান না। চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও-পাঁচালাইশ) আসনের উপনির্বাচন এবং ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি ছিল একেবারে কম। এটা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। মানুষ যাতে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারে, তারা যাতে নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে যেতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। এক কথায় ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করতে, তাদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিতে হবে। বিশেষ করে নির্বাচনের আগের রাতে বাড়ি বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে আসা, নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পথে বাধা দেওয়া বন্ধ করতে হবে। ধরপাকড়সহ পুলিশের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। সরকার ও নির্বাচন কমিশনকেই এ কাজটি করতে হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মেয়র প্রার্থী বলেন, নির্বাচনী প্রচার এখনও পুরোদমে শুরু হয়নি। অথচ এখন থেকেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও দলটির এমপি-মন্ত্রীরা নির্বাচনের আচরণবিধি ভাঙছেন। আমি নির্বাচন কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অনুরোধ করব- তারা যেন এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়। নির্বাচনী মাঠে সবাই যেন সমান সুযোগ-সুবিধা পায় সেটি তাদেরই নিশ্চিত করতে হবে।
বিএনপির সাবেক চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা ডা. শাহাদাত বলেন, নির্বাচনের ওপর মানুষের এখন আর আস্থা নেই। সরকার দিনের ভোট রাতে নিয়ে ফেলছে। আবার ইভিএম নিয়েও সূক্ষ্ণ কারচুপি করছে। তারপরও বিএনপি বিশ্বাস করে, ক্ষমতা পরিবর্তনে একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে নির্বাচন। তাই গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হয় যাতে বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে চট্টগ্রামে এক ধরনের গণজোয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে এবারের নির্বাচন নিয়ে সরকার কোনো ধরনের কারচুপির চেষ্টা করা হলে জনগণই তার সমুচিত জবাব দেবে।
মন্তব্য করুন