বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাউসা টলটলিপাড়া গ্রামে শনিবার রাতে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। রোববার এ ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক অধ্যক্ষ নুর মোহাম্মদ তুফানসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন জয় ইসলাম, উজ্জ্বল হোসেন ও আশিক রহমান।

নৌকার প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শফিকুর রহমান জানান, শনিবার রাতে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী নুর মোহাম্মদ তুফানের বাড়িতে যান। তুফান তাদের সঙ্গে দেখা না করে কৌশলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এরপর সমর্থকদের দিয়ে মাইকে ঘোষণা দেওয়ান যে তার বাড়িতে দুস্কৃতকারীরা হামলা করেছে। এ খবরে স্থানীয় লোকজন দেশি অস্ত্র নিয়ে তার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাদের দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরসহ ১৫ জনকে বেদম মারধর করে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী নুর মোহাম্মদ তুফানের স্ত্রী রোজিনা আক্তারী পলি বেগম বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে ৩০-৩৫টি মোটরসাইকেল, একটি প্রাইভেটকারে ৬০/৭০ জন বাড়িতে এসে অকথ্য ভাষায় গালগাল ও লাঠিসোটা দিয়ে বাড়ির গেট ভাঙচুরের চেষ্টা করে। এ সময় আমার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। স্থানীয়রা টের পেয়ে মাইকিং করে বাড়িতে হামলার বিষয়টি জানায়। মাইকিংয়ের পর লোকজন জড়ো হলে তারা চলে যায়। এ ঘটনার পর আমার স্বামী থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ উল্টো তাকে গ্রেপ্তার করে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল বলেন, নুর মোহাম্মদ তুফানকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের বিষয়ে বিবেচনা করার কথা বলতে নেতাকর্মীদের নিয়ে তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি দেখা করেননি। এমন সময় হঠাৎ মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়, দুস্কৃতকারীরা তুফানের বাড়িতে হামলা করেছে। ঘোষণার পরপরই লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ধাওয়া করে।

বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাড়িতে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের আটকের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করি। এ ঘটনায় থানায় ৪৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ওই মামলায় নুর মোহাম্মদ তুফানসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নুর মোহাম্মদ তুফানের দায়ের করা অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে।