ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলাসহ ১৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আলোচিত এ হত্যা মামলার রায় নিয়ে সমকালের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক

নুসরাত হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা জঘন্যতম অপরাধ, মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। গোটা দেশের মানুষ এ রায়ের অপেক্ষা করেছে। নুসরাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপরাধীদের জন্য গোটা দেশে মানববন্ধন, প্রতিবাদ হয়েছে। আমি এ রায়কে স্বাগত জানাই। দেশের সবার চাওয়া ছিল, হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি– সেটাই হয়েছে। এ ধরনের ঘটনায় বিচার না হলে আইনের শাসনের প্রতি মানুষের বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যায়।

নিম্ন আদালত আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। এরপর আইন অনুযায়ী মামলা উচ্চ আদালতে যাবে। সেখানেও যাতে এ রায় বহাল থাকে সে ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের তৎপর হতে হবে। যতক্ষণ না রায় কার্যকর হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত নুসরাতের পরিবার কিংবা দেশবাসী স্বস্তি পাবে না।

সাধারণত ১৮০ দিনের মধ্যে রায় কার্যকর হওয়ার কথা। এ হত্যাকাণ্ডের রায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই হয়েছে। হয়তো কিছু সময় আগে হয়েছে। কারণ এখানে সাক্ষ্য-প্রমাণ সবকিছুই প্রস্তুত ছিল। সুতরাং দেরি করার কোনো অবকাশ ছিল না। নুসরাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গোটা জাতিই চিন্তিত ছিল আইনের শাসন নিয়ে। এ রায় সেটা নিশ্চিত করেছে। 

নুসরাত হত্যাকাণ্ড স্পর্শকাতর হওয়ায় এটা বেশি গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়েছে। প্রতিটি অপরাধেরই সঠিক বিচার নিশ্চিত করা জরুরি। তারপরও যে গুলো বেশি স্পর্শকাতর সেগুলোর নিষ্পত্তি দ্রুত সময়ের মধ্যে করার উদ্যোগ নেওয়া উচিত। প্রতিটি মানবাধিকার, ফৌজদারি আইন লঙ্ঘনের ঘটনায় অপরাধীর যেন যথোপযুক্ত শাস্তি হয় এবং সেটা দৃশ্যমান হয়, সেটাই আমাদের চাওয়া।