- মন্তব্য
- সাহাবুদ্দীন আহমেদের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত
সাহাবুদ্দীন আহমেদের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত

সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং সাবেক প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদের (৯২) দ্বিতীয় নামাজে জানাজা জাতীয় ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে জানাজায় ইমামতি করেন সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদের ইমাম আবু সালেহ মো. সলিমউল্লাহ।
সাবেক রাষ্ট্রপতির নামাজে জানাজায় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা, সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র আইনজীবীরাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
গত শনিবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাহাবুদ্দিন আহমদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ফেব্রুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে সাহাবুদ্দিন আহমদকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।
গত কয়েক বছর ধরে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
শনিবার বিকেলে ৩টায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে সাবেক রাষ্ট্রপতির মরদেহ কেন্দুয়া উপজেলা সদরের আদমপুর এলাকার হেলিপ্যাডে আনা হয়। এদিন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জিয়া আহমেদ সুমন এবং পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী ছাড়াও কেন্দুয়া উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা সাবেক রাষ্ট্রপতির মরদেহ গ্রহণ করেন।
এরপর স্বাস্থ্য বিভাগের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহটি উপজেলার পেমই গ্রামে সাবেক রাষ্ট্রপতির নিজ বাড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে আগে থেকেই জড়ো হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ।
এরপর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক জিয়া আহমেদ সুমন, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী, কেন্দুয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার মঈনউদ্দিন খন্দকার, কেন্দুয়া পৌরসভার মেয়র আসাদুল হক ভূঁইয়াসহ এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে জেলা পুলিশের একটি দল সাবেক রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
পেমই গ্রামে তার প্রথম জানাজায় কেন্দুয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কয়েক হাজার লোক সেই জানাজায় অংশ নেন।
বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে মুফতি শহিদুল ইসলামের পরিচালনায় সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার আগে সাবেক রাষ্ট্রপতির ছোট ছেলে সোহেল আহমেদ তার বাবার জন্য সবার দোয়া প্রার্থনা করেন।
সোহেল আহমেদ বলেন, বাবা সারাজীবন সাদামাটা জীবনযাপন করে গেছেন। তার কোন রকম উচ্চাকাঙ্খা ছিল না। নীতি ও আদর্শের বাইরে তিনি কোন কিছু করেননি। তিনি আমাদেরকেও সে শিক্ষাই দিয়ে গেছেন। দোয়া করবেন যাতে আমরাও বাবার আদর্শকে ধারণ করেই চলতে পারি। বাবার শেষ ইচ্ছা ছিল একবার গ্রামের বাড়িতে আসার। কিন্তু আমরা তার শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে পারিনি।
জানাজার পর একই অ্যাম্বুলেন্সে সাবেক রাষ্ট্রপতির মরদেহ কেন্দুয়া সদরের আদমপুর এলাকার হেলিপ্যাডে নেওয়া হয়। এরপর হেলিকপ্টারে করে তার মরদেহ আবারও ঢাকার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে শনিবার সন্ধ্যায় মরদেহ রাখা হয় সিএমএইচের হিমঘরে।
রোববার সকালে দ্বিতীয় জানাজা শেষে সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদকে সমাহিত করা হবে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে।
মন্তব্য করুন