- মন্তব্য
- স্ত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিশোধ’ নিতে গলা কেটে হত্যা
স্ত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিশোধ’ নিতে গলা কেটে হত্যা

পূর্বপরিচিত রং মিস্ত্রি কবিরের স্ত্রীকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন লেগুনার লাইনম্যান নবী হোসেন ওরফে নূর নবী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে কবির। এরপর তাকে তুরাগ তীরে নিয়ে ঘুমের ওষুধ মেশানো মদ পান করানো হয়। অচেতন হয়ে পড়লে প্রথমে ইট দিয়ে তার মাথায় আঘাত এবং পরে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে দুর্বৃত্তরা।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার চারজনের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে আজ সোমবার এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে ৫ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের তুরাগ তীর থেকে নবী হোসেনের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় গত শনিবার মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেন নিহতের ভাই আলী হোসেন।
ওই মামলার তদন্তে নেমে হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হলেন- মূল পরিকল্পনাকারী মো. কবির, মহিদুল ইসলাম মাহি, ইমরান আহম্মেদ ও ফয়সাল আহমেদ দিপু। ঢাকার মিরপুর, বছিলা, কেরানীগঞ্জ ও সিলেটের ওসমানী নগরে এ অভিযান চালানো হয়।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে আজ দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার এইচ এম আজিমুল হক নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মোহাম্মদপুর বেড়িবাধে চলাচল করা লেগুনার লাইনম্যান হিসেবে কাজ করার সুবাদে একই এলাকার কবিরের সঙ্গে নবীর পরিচয় ছিল। তবে লেগুনার চাঁদা ও নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন বিষয়ে সম্প্রতি তাদের বিরোধের সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে স্ত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর মন্তব্য ও কুনজর দেওয়ায়’ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে কবির।
তিনি আরও বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৪ মার্চ রাত ১০টার দিকে কৌশলে নবীকে বছিলা হাউজিংয়ের চল্লিশ ফুট সড়কের শেষ মাথায় তুরাগ তীরে নিয়ে যায় আসামিরা। সেখানে আগে থেকে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে রাখা মদ আনা হয়। নদীর পাড়ে ওয়াকওয়েতে বসে নবীকে মদ পান করায় তারা। এর কিছুক্ষণ পর তিনি অচেতন হয়ে পড়লে ওয়াকওয়ের নিচে নিয়ে তার মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে কবির। একপর্যায়ে ইমরান ছুরি দিয়ে গলা কেটে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। হত্যার পর লাশ গুমের উদ্দেশে কবির মরদেহটি তুরাগ নদীতে ভাসিয়ে দেয়।
উপকমিশনার বলেন, হত্যায় জড়িতদের সনাক্ত করতে বছিলা ও এর আশপাশের এলাকার দুই শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হত্যাকরীদের সনাক্ত করা সম্ভব হয়।
আসামিরা ঘটনার পর থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। মামলা দায়েরের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন