রাজধানীর কাফরুলে নাজমা বেগমকে গুলি করে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আজাদ কাজী ওরফে সন্ত্রাসী আজাদ ওরফে কিলার আজাদকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব–৪। গতকাল শনিবার মানিকগঞ্জের সিংগাইরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব জানায়, ১৭ বছর ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন আজাদ। তিনি নাম-পরিচয় বদলে ও ছদ্মবেশ ধারণ করে আত্মগোপন করে আসছিলেন। 

র‍্যাব-৪ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গ্রেপ্তার আজাদের সঙ্গে কাফরুল এলাকায় মাদক কারবারে যুক্ত ছিলেন নাজমা বেগম। একই কারবারে যুক্ত সিটু, হৃদয়, মানিক, হিরা ও আমিরের সঙ্গে ধীরে ধীরে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে মাদক বিক্রির টাকার ভাগ নিয়ে মানিক ও আজাদের সঙ্গে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জেরে ২০০৫ সালের ৮ জুলাই সকালে ওই দু’জনসহ অপর আসামিরা নাজমাকে ঘর থেকে বের করে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে হত্যা করে।

এ ঘটনায় কাফরুল থানায় হত্যা মামলা হলে আজাদসহ কয়েক আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলা হওয়ার পরই আত্মগোপনে চলে যান আসামি হৃদয়। গ্রেপ্তার আসামিরা ১৫ মাস পর কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়।

এদিকে বিচারিক কার্যক্রম শেষে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আজাদকে যাবজ্জীবন সাজা দেন। তিনি জামিনে বের হওয়ার পর থেকে পলাতক ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদ ও যাচাই-বাছাইয়ে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে দুটি হত্যা ও আটটি মাদক মামলাসহ মোট ১৮টি মামলা রয়েছে।

র‍্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তার এড়াতে এবং পরিচিত লোকজন থেকে নিজেকে আড়ালে রাখতে আজাদ প্রথমে গাজীপুরে গিয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ শুরু করেন। এর মধ্যে তিনি নিজের নাম বদলে আসিফ হিসেবে পরিচিত হন এবং বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করেন।

২০১৩ সালে গ্রামের বাড়ি পাবনার বেড়া এলাকায় কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন আজাদ। একপর্যায়ে হত্যার বিষয়ে এলাকায় জানাজানি হলে তিনি যশোরে পালিয়ে যান। সেখানে ভেকুর হেলপার হিসেবে কাজ নেন। পরে ২০২০ সালে মানিকগঞ্জের খাশির চর এলাকায় এক বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসেবে কাজে যোগ দেন আজাদ।