- অপরাধ
- পুলিশ কর্মকর্তাকে বোকা বানিয়ে টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারক
পুলিশ কর্মকর্তাকে বোকা বানিয়ে টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারক

হোটেল মালিক শাহিন শেখ। ছবি: সমকাল
বগুড়া সদরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পরিচয়ে পুলিশ কর্মকর্তাকে বোকা বানিয়ে দুই হোটেল মালিকের কাছ থেকে বিকাশে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক।
বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে বিকেল পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। ভুক্তভোগী দুই হোটেল মালিকের নাম শাহিন শেখ ও মো. কাজল। তারা উপশহর বাজারে খাবার হোটেলের ব্যবসা করেন।
শাহিন শেখ জানান, বুধবার সকালে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই জাহাঙ্গীর আলম তাঁর হোটেলে এসে বলেন, ‘ইউএনও স্যার আপনার সঙ্গে কথা বলবেন।’ তখন তিনি এএসআইয়ের ফোন থেকেই কথা বললে ইউএনও পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি তাঁর ফোনে কল দিয়ে বলেন, ‘সরকার থেকে নতুন নিয়ম হয়েছে। এখনই তোমাকে ২০ হাজার টাকা বিকাশে জমা দিতে হবে। তা না হলে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে ফোর্স ও ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়ে হোটেল তিন মাসের জন্য বন্ধ করে দেব।’ এত টাকা দিতে পারবেন না জানিয়ে ১০ হাজার টাকা বিকাশে পাঠিয়ে দেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন।
একই কায়দায় হোটেল ব্যবসায়ী মো. কাজলের কাছ থেকেও টাকা দাবি করা হয়। ভয় পেয়ে তিনি বিকাশে ছয় হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন।
জানতে চাইলে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সকালে এএসআই সাজারুল ইসলাম ইউএনও স্যারের নম্বর দিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে বলেন। ওই নম্বরে কল দিলে ইউএনও পরিচয়ে এক ব্যক্তি অভিযান চালানো হচ্ছে জানিয়ে হোটেল মালিকদের সঙ্গে কথা বলিয়ে দিতে বলেন। আমি সে ব্যবস্থা করে দিয়েছি। পরে জানতে পারি নম্বরটি ইউএনওর নয়। তখন হোটেল মালিকদের সতর্ক করেছি।’
সদর থানার এএসআই সাজারুল ইসলাম বলেন, ‘ইউএনও পরিচয়ে বিপদের কথা বলে দ্রুত উপশহরে ফোর্স পাঠাতে বললে এএসআই জাহাঙ্গীরকে তার নম্বর দিয়ে কথা বলতে বলি। হোটেল মালিক বা টাকা পাঠানোর বিষয়টি আমার জানা ছিল না।’
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজা পারভীন বলেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলে দ্রুত প্রতারকদের গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা করা হবে।
উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোস্তাফিজ হাসান বলেন, জড়িতদের শনাক্তে কাজ করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন