- ঢাকা
- ডাকাতি-ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করল রাজা, আউয়াল ও নুরনবী
চলন্ত বাসে ডাকাতি-ধর্ষণ
ডাকাতি-ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করল রাজা, আউয়াল ও নুরনবী

ফাইল ছবি
কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ঈগল এক্সপ্রেসের বাসে যাত্রীবেশে উঠে যাত্রীদের হাত-পা চোখ বেঁধে মারধর, ডাকাতি ও এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের মামলায় গ্রেপ্তার রাজা মিয়া, মো. আব্দুল আউয়াল ও নুরনবী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শনিবার রাতে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. শামসুল আলম এবং মোসাম্মৎ রুমি খাতুনের আদালতে তারা এই জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইন্সপেক্টর তানভীর আহমেদ।
এর আগে বিকেল ৩টার দিকে তাদের আদালতে তোলা হয়। পরবর্তীতে বিকেল ৫টায় পৃথক দুই বিচারকের আদালত তাদের জবানবন্দি নেওয়া শুরু করেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাদের জবানবন্দি নেওয়া শেষ হয়। রাজা ও নুরনবী শামসুল আলমের এবং আউয়াল রুমি খাতুনের আদালতে জবানবন্দি দেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে ঈগল এক্সপ্রেসের একটি বাস কুষ্টিয়ার ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে যাত্রীবেশে ডাকাত দল উঠে প্রথমে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে যাত্রীদের হাত-পা ও চোখ বেঁধে মারধর এবং লুটের পর এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। ডাকাত দল বাসটি ঘুরিয়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের সামনে ফেলে রেখে নেমে যায়।
ধর্ষণের শিকার নারীর ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত মিলেছে। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এরপর তাকে আদালতে পাঠানো হয়। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
এর আগে এই ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার ভোরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল টাঙ্গাইল শহরের দেওলা এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে ডাকাত দলের সদস্য রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে লুট করা ৩টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অভিযান চালিয়ে আউয়াল ও নুরনবীকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মন্তব্য করুন