নামজারি আবেদনে ক্রটি থাকায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা ভূমি অফিসের দুই কর্মচারীকে অফিস কক্ষের ভেতরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্ত জুতাপেটা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এসিল্যান্ডের অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

মারধরের শিকার দুই কর্মচারী হলেন- ভূমি অফিসের সার্টিফিকেট সহকারী মমিনুল ইসলাম এবং আউটসোর্সিংয়ের কম্পিউটার অপারেটর খায়রুল ইসলাম।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে আউটসোর্সিংয়ের কম্পিউটার অপারেটর খায়রুলকে নিজ কক্ষে ডেকে নেন এসিল্যান্ড অমিত দত্ত। পরে নামজারির কাজে ক্রটি দেখিয়ে দফায় দফায় প্রায় এক ঘণ্টা খায়রুলকে জুতাপেটা করেন এসিল্যান্ড। এরপর খায়রুল বের হয়ে আসলে সার্টিফিকেট সহকারী মমিনুল ইসলাম এসিল্যান্ডের কক্ষে প্রবেশ করা মাত্রই অমিত দত্ত তাকে লক্ষ্য করেও জুতা ছুঁড়ে মারেন। এরপর চেয়ার থেকে উঠে গিয়ে মমিনুলের মাথার টুপি খুলে ফেলেন এবং তাকে মারপিট শুরু করেন।

এ ব্যাপারে সার্টিফিকেট সহকারী মমিনুল ইসলাম ইসলাম বলেন, এসিল্যান্ড স্যারের কক্ষে প্রবেশ করা মাত্রই আমার দিকে জুতা ছুড়ে মারেন। এরপর চেয়ার থেকে উঠে এসে আমার মাথার টুপি খুলে নেন এবং জুতা দিয়ে মারপিট শুরু করেন। পরে আমি তার কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসি।

আউটসোর্সিংয়ের কম্পিউটার অপারেটর খায়রুল ইসলাম বলেন, দুপুরে নামজারির কাজে ভুল দেখিয়ে এসিল্যান্ড স্যার আমাকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও জুতাপেটা করেছেন।

এসব অভিযোগের বিষয় জানতে উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইশরাত জাহান বলেন, প্রাথমিকভাবে জেনেছি, ওই দুই স্টাফের কাজে ভুল হওয়ায় তাদেরকে ডেকে নিয়ে এসিল্যান্ড বকাঝকা করেছেন।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি বলেন, ওই দুই কর্মচারী অবৈধভাবে ৪৫টি নামজারি করেছেন। এসিল্যান্ড বিষয়টি জানতে পেরে তাদের সর্তক করেন। কিন্তু ওই দুই কর্মচারী চাকুরির শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে মারধরের মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন।

তিনি আরও বলেন, ঘটনা জানতে পেরে আমি ওই দুই কর্মচারীকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সংযুক্ত করেছি। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।