- ঢাকা
- চাহিদামতো ঘুষ না পেলে সাব-রেজিস্ট্রার আবদুল মতিনের কলম বন্ধ
চাহিদামতো ঘুষ না পেলে সাব-রেজিস্ট্রার আবদুল মতিনের কলম বন্ধ

চাহিদামতো ঘুষের টাকা না দেওয়ায় গ্রাহকের দলিলে স্বাক্ষর না করেই দপ্তর থেকে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ধামরাইয়ের কালামপুর সাব-রেজিস্ট্রার আবদুল মতিনের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার প্রত্যাশা অনুযায়ী টাকা না দেওয়ায় শতাধিক দলিলে স্বাক্ষর না করেই চলে যান তিনি। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সেখানে উপস্থিত জমির ক্রেতা-বিক্রেতারা। প্রায়ই ওই সাব-রেজিস্ট্রার এমনটি করেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সেখানকার সাধারণ জনগণ ও দলিল লেখকরা।
দলিল লেখকদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, ধামরাইয়ের কালামপুর সাব-রেজিস্ট্রার আবদুল মতিন প্রতি দলিল নিরীক্ষা বাবদ ১ হাজার, সেরেস্তা বাবদ ১ হাজার এবং প্রতি লাখে ৪০০ টাকা করে ঘুষ দাবি করেন। অতিরিক্ত এই টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় গত দু’দিন ধরে কোনো দলিলে স্বাক্ষর করছেন না তিনি।
মঙ্গলবার হাতেগোনা কয়েকটি দলিলে স্বাক্ষর করেছেন। এর পর কাউকে না বলে দুপুরে অফিস থেকে চলে যান। এর আগে সোমবারও একইভাবে চলে যাওয়ার পাঁয়তারা করলে সেবাপ্রত্যাশীরা বেশ কিছু সময় সাব-রেজিস্ট্রারের অফিস কক্ষে তাঁকে অবরোধ করে রাখেন। পরে সন্ধ্যায় পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।
ভুক্তভোগী গার্মেন্টকর্মী সালমা বেগম জানান, দু’দিন গার্মেন্ট থেকে ছুটি নিয়ে দলিল করতে কালামপুর সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে ঘোরাঘুরি করছেন। দলিল লেখকের মাধ্যমে দলিল দাখিলও করা হয়েছে। তবে দলিলে স্বাক্ষর না করেই চলে গেছেন সাব-রেজিস্ট্রার আবদুল মতিন। শুধু সালমা বেগমই নন, তাঁর মতো আরও অনেকেই দলিল করতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করে চলে যান।
দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম জানান, সাব-রেজিস্ট্রারের চাহিদামতো ঘুষ না দেওয়ায় গত দু’দিন ধরে হাতেগোনা কয়েকটি দলিল ছাড়া শতাধিক দলিল স্বাক্ষর ছাড়াই ফেলে রাখেন তিনি।
গ্রাহক ও দলিল লেখকদের এমন অভিযোগের ব্যাপারে জানতে সাব-রেজিস্ট্রার আবদুল মতিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মন্তব্য করুন