- অন্যান্য
- রাজনৈতিক সহিংসতায় মৃত্যু ৫৮, ইউপি ভোটে ৪৪ জনের
আসকের প্রতিবেদন
রাজনৈতিক সহিংসতায় মৃত্যু ৫৮, ইউপি ভোটে ৪৪ জনের

ফাইল ছবি
বছরের প্রথম ৯ মাসে দেশে ৩৮৭ রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় ৫৮ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘাতে মারা যান ৪৮ জন। এই ৪৮ জনের মধ্যে ৪৪ জনই নিহত হয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকেন্দ্রিক সংঘাতে; বাকি চারজনের প্রাণহানি হয়েছে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে।
শুক্রবার আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। ১০টি জাতীয় দৈনিক, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং 'নিজস্ব সূত্র' থেকে সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৯ মাসের রাজনৈতিক সহিংসতায় ৫ হাজার ৪০০ জন আহত হন। এ ছাড়া সংঘর্ষে নিহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগের আছেন ১৮ জন, বিএনপির ৬ জন ও রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি ৩৪ জনের। বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে পুলিশের সংঘাতের ৩৭ ঘটনায় চারজন নিহত এবং ৯২৯ জন আহত হয়েছেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ সংঘাতেও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে আসক বলেছে, আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের অন্তর্কোন্দলে সংঘর্ষ হয়েছে ৭৩টি। এসব ঘটনায় আটজন নিহত এবং ৮৯৫ জন আহত হয়েছেন। বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতের ১৭ ঘটনায় ১ জন নিহত এবং ২১১ জন আহত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কর্মীদের ৮৪ সংঘাতের ঘটনায় একজন নিহত ও ১ হাজার ৫০০ জন আহত হয়েছেন।
আসকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ১০ ডিসেম্বর র্যাবের সাত শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর ক্রসফায়ার সাময়িক বন্ধ হলেও গত এপ্রিলে ফের র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। গত ৯ মাসে বিচারবহির্ভূতভাবে ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ১৫ ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে। তাদের মধ্যে পুলিশের হাতে ৯ জন, র্যাবের হাতে ৫ জন এবং একজনের মৃত্যু ডিবি হেফাজতে হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানিয়েছে আসক।
তাদের প্রতিবেদন বলছে, এই সময়ে বন্দুকযুদ্ধে তিনজন, শারীরিক নির্যাতনে সাতজন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে একজন এবং অন্য অসুস্থতায় তিনজন মারা যান। এ ছাড়া পুলিশ হেফাজতে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে একটি।
মন্তব্য করুন