ঢাকা মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা

তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২২ | ০৬:০৬ | আপডেট: ০৫ জুন ২০২২ | ০৯:২১

করোনার কারণে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে কোনো ঋণ পরিশোধ না করে কিংবা সামান্য পরিশোধ করে খেলাপিমুক্ত থাকার সুযোগ ছিল। ২০২০ ও ২০২১ সালজুড়ে কয়েক দফায় দেওয়া এ ধরনের বিভিন্ন সুবিধার বেশিরভাগই শেষ হয়েছে গত ডিসেম্বরে। এর পরপরই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ব্যাপকভাবে। গত মার্চ শেষে তিন মাসেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১০ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ ১৩ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা। তিন মাস আগে গত ডিসেম্বর শেষে যা ১০ লাখ ৩ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা ছিল। মার্চে এসে মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ২৯ হাজার ৭৩৬ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বরে যা ছিল ১৩ লাখ এক হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা। তিন মাসে ঋণস্থিতি বেড়েছে ২৭ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা।
ব্যাংকাররা জানান, ২০২০ সাল থেকে দফায়-দফায় খেলাপিমুক্ত থাকার সুবিধা বাড়ানো হয়। এখন অনেকের ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো গেলেও এক শ্রেণির ব্যবসায়ী ঋণ শোধ করছেন না। ব্যাংকগুলো নানা উপায়ে চেষ্টা করেও তাদের থেকে টাকা আদায় করতে পারছে না। এই শ্রেণির ব্যবসায়ীর মধ্যে ধারণা- যে করেই হোক নতুন করে আরও সুবিধা দেওয়া হবে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ক্ষতির মুখে পড়ার কথা বলে এরই মধ্যে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত কেউ ঋণ পরিশোধ না করলেও খেলাপি না করার সময় চেয়েছে। যদিও ব্যাংকিং শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বেশ আগ থেকে ঢালাও সুবিধা না দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন ব্যাংকাররা। তবে ব্যাংকারদের দাবি উপেক্ষা করে বাংলাদেশ ব্যাংক একের পর এক ছাড় দিয়েছে।

২০২১ সালে ঋণের ১৫ শতাংশ পরিশোধ হলেও তা নিয়মিত দেখানো হয়। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কেউ এ হারে টাকা দিলেও ব্যাক ডেটেও নিয়মিত থাকার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এর আগে ২০২০ সালে এক টাকা না দিলেও কেউ খেলাপি হয়নি। বিশ্বব্যাপী করোনার প্রভাব শুরুর পর ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত প্রথমে এ সুবিধা দেওয়া হয়। পরে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরবর্তীতে আবার সময় বাড়িয়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বর করা হয়। এরপর ২০২১ সালের শুরুতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছিল, ঋণ পরিশোধ না করে খেলাপিমুক্ত থাকার সুবিধা আর বাড়বে না।

তবে ২৭ আগস্ট শুক্রবার বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলার দিয়ে জানায়, একজন ঋণ গ্রহীতার যে পরিমাণ ঋণ পরিশোধ করার কথা ডিসেম্বরের মধ্যে কেউ ২৫ শতাংশ পরিশোধ করলে তিনি আর খেলাপি হবেন না। পরবর্তীতে ৩০ডিসেম্বর এই নির্দেশনায় পরিবর্তন এনে বলা হয় ১৫ শতাংশ দিলেও তাকে খেলাপি করা যাবে না।

আরও পড়ুন

×