ঈদের আগে শেষ দিনের লেনদেনে টাকার টান

ওবায়দুল্লাহ রনি
প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২২ | ১২:০০
বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রির ফলে বাজার থেকে টাকা উঠে আসায় এমনিতেই টানাটানিতে রয়েছে অনেক ব্যাংক। এর মধ্যে ঈদের আগে প্রচুর নগদ টাকা তোলায় চাপে পড়েছে অনেক ব্যাংক। গতকাল বৃহস্পতিবার ঈদের আগের শেষ লেনদেনে নগদ টাকার চাহিদা মেটাতে কলমানিতে ধার না পেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ধরনা দেয় তারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক গতকাল বিভিন্ন ব্যাংককে ১২ হাজার ২৭৯ কোটি টাকা ধার দিয়েছে। কলমানি থেকে ব্যাংকগুলো নিয়েছে ৮ হাজার ২০৪ কোটি টাকা।
ব্যাংকাররা জানান, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি এবং রেমিট্যান্স কমার প্রভাব দেশের মুদ্রাবাজারেও পড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক গত অর্থবছর ৭৬২ কোটি ১৭ লাখ ডলার বিক্রি করে বাজার থেকে ৭০ হাজার কোটি টাকার মতো তুলে নিয়েছে। গতকালও কয়েকটি ব্যাংকের কাছে ১০ কোটি ৪০ লাখ ডলার বিক্রি করা হয়েছে। আর চলতি অর্থবছরের এই কয়েক দিনে মোট ২০ কোটি ৯০ লাখ ডলার বিক্রি করে তুলে নিয়েছে আরও এক হাজার ৯৫৩ কোটি টাকা। এভাবে ডলার বিক্রির ফলে গতকাল রিজার্ভ দাঁড়ায় ৪১ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলারে। এর আগে গত বছরের আগস্টে রিজার্ভ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ওপরে। চলতি মেয়াদে আকুর ১৯৬ কোটি টাকা পরিশোধ হলে রিজার্ভ অনেক কমতে পারে। পাশাপাশি সব জিনিসের দাম বাড়ার ফলে বেসরকারি খাতেও ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। ঈদের আগে এমনিতেই নগদ টাকা তোলার চাপ বাড়ে। এ রকম পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলোর হাতে উদ্বৃত্ত তারল্য অনেক কমেছে। গত এপ্রিল শেষে ব্যাংকগুলোর হাতে উদ্বৃত্ত তারল্য কমে এক লাখ ৮৬ হাজার ৫৯৬ কোটি টাকায় নেমেছে। গত বছরের জুনে যা ২ লাখ ৩১ হাজার ৭১১ কোটি টাকা ছিল।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান সমকালকে বলেন, ব্যাংকগুলোর চাহিদার বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি করছে। এতে বাজার থেকে টাকা উঠে যাওয়ায় এমনিতেই ব্যাংকগুলোতে টাকার টান রয়েছে। এর মধ্যে কোরবানি ঈদের কারণে অনেকে টাকা তোলায় গত দুই দিন বাজারে আরও চাপ বেড়েছে। তিনি জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও চাইছে বাজারে টাকার সংকট তৈরি হোক। তাতে যেসব ব্যাংকের হাতে উদ্বৃত্ত ডলার রয়েছে, তারা তা বাজারে ছেড়ে দেবে। তখন ডলারের ওপর চাপ কমবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল আন্তঃব্যাংক কলমানিতে যে ৮ হাজার ২০৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, এর মধ্যে এক দিন মেয়াদি ছিল ৫ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা। যেখানে গড় সুদহার ছিল ৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ। সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ সুদ উঠে সাত দিন মেয়াদি লেনদেনে। সাত দিন মেয়াদি কলমানিতে গড়ে ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ সুদে মোট এক হাজার ২৯৯ কোটি টাকা ধার করেছে ব্যাংকগুলো। আগের দিন কলমানিতে মোট ৯ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়। সেখানে এক দিন মেয়াদি কলমানিতে গড়ে ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ সুদে ৮ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়। আগের দিন ১৪ দিন মেয়াদি লেনদেনে সর্বোচ্চ সুদ ওঠে ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। কলমানিতে চাহিদামতো ধার না পাওয়ায় অনেক ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রেপো, তারল্য সহায়তা ও বিশেষ তারল্য সহায়তা হিসেবে গতকাল ১২ হাজার ২৭৯ কোটি টাকা ধার করে।
জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুছ ছালাম আজাদ সমকালকে বলেন, ঈদের আগে শেষ লেনদেনে মুদ্রাবাজারে ব্যাপক চাপ ছিল। জনতা ব্যাংক এই দিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ৪০০ কোটি টাকার তারল্য সহায়তা ও কিছু স্পেশাল রেপো নিয়েছে। এভাবে কোনো মতে সিআরআর ঘাটতি থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। অনেক ব্যাংক হয়তো সমস্যায় পড়েছে।
ব্যাংকাররা জানান, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি এবং রেমিট্যান্স কমার প্রভাব দেশের মুদ্রাবাজারেও পড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক গত অর্থবছর ৭৬২ কোটি ১৭ লাখ ডলার বিক্রি করে বাজার থেকে ৭০ হাজার কোটি টাকার মতো তুলে নিয়েছে। গতকালও কয়েকটি ব্যাংকের কাছে ১০ কোটি ৪০ লাখ ডলার বিক্রি করা হয়েছে। আর চলতি অর্থবছরের এই কয়েক দিনে মোট ২০ কোটি ৯০ লাখ ডলার বিক্রি করে তুলে নিয়েছে আরও এক হাজার ৯৫৩ কোটি টাকা। এভাবে ডলার বিক্রির ফলে গতকাল রিজার্ভ দাঁড়ায় ৪১ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলারে। এর আগে গত বছরের আগস্টে রিজার্ভ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ওপরে। চলতি মেয়াদে আকুর ১৯৬ কোটি টাকা পরিশোধ হলে রিজার্ভ অনেক কমতে পারে। পাশাপাশি সব জিনিসের দাম বাড়ার ফলে বেসরকারি খাতেও ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। ঈদের আগে এমনিতেই নগদ টাকা তোলার চাপ বাড়ে। এ রকম পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলোর হাতে উদ্বৃত্ত তারল্য অনেক কমেছে। গত এপ্রিল শেষে ব্যাংকগুলোর হাতে উদ্বৃত্ত তারল্য কমে এক লাখ ৮৬ হাজার ৫৯৬ কোটি টাকায় নেমেছে। গত বছরের জুনে যা ২ লাখ ৩১ হাজার ৭১১ কোটি টাকা ছিল।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান সমকালকে বলেন, ব্যাংকগুলোর চাহিদার বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি করছে। এতে বাজার থেকে টাকা উঠে যাওয়ায় এমনিতেই ব্যাংকগুলোতে টাকার টান রয়েছে। এর মধ্যে কোরবানি ঈদের কারণে অনেকে টাকা তোলায় গত দুই দিন বাজারে আরও চাপ বেড়েছে। তিনি জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও চাইছে বাজারে টাকার সংকট তৈরি হোক। তাতে যেসব ব্যাংকের হাতে উদ্বৃত্ত ডলার রয়েছে, তারা তা বাজারে ছেড়ে দেবে। তখন ডলারের ওপর চাপ কমবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল আন্তঃব্যাংক কলমানিতে যে ৮ হাজার ২০৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, এর মধ্যে এক দিন মেয়াদি ছিল ৫ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা। যেখানে গড় সুদহার ছিল ৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ। সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ সুদ উঠে সাত দিন মেয়াদি লেনদেনে। সাত দিন মেয়াদি কলমানিতে গড়ে ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ সুদে মোট এক হাজার ২৯৯ কোটি টাকা ধার করেছে ব্যাংকগুলো। আগের দিন কলমানিতে মোট ৯ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়। সেখানে এক দিন মেয়াদি কলমানিতে গড়ে ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ সুদে ৮ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়। আগের দিন ১৪ দিন মেয়াদি লেনদেনে সর্বোচ্চ সুদ ওঠে ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। কলমানিতে চাহিদামতো ধার না পাওয়ায় অনেক ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রেপো, তারল্য সহায়তা ও বিশেষ তারল্য সহায়তা হিসেবে গতকাল ১২ হাজার ২৭৯ কোটি টাকা ধার করে।
জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুছ ছালাম আজাদ সমকালকে বলেন, ঈদের আগে শেষ লেনদেনে মুদ্রাবাজারে ব্যাপক চাপ ছিল। জনতা ব্যাংক এই দিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ৪০০ কোটি টাকার তারল্য সহায়তা ও কিছু স্পেশাল রেপো নিয়েছে। এভাবে কোনো মতে সিআরআর ঘাটতি থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। অনেক ব্যাংক হয়তো সমস্যায় পড়েছে।