ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

শেয়ারবাজার: বস্ত্র খাতের ৫৮ শেয়ারের ৩৮টিই ফ্লোর প্রাইসে

শেয়ারবাজার: বস্ত্র খাতের ৫৮ শেয়ারের ৩৮টিই ফ্লোর প্রাইসে

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২২ | ২৩:০৩

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি ৫৮টি। এ খাতের কোম্পানিগুলোর হিসাব বছর শেষ হয় জুনে। আর্থিক প্রতিবেদনের নিরীক্ষা শেষে আগামী কয়েক সপ্তাহে এসব কোম্পানির লভ্যাংশের ঘোষণা আসবে। এ সময় কোম্পানিগুলোর শেয়ার চাহিদা ও দর তুঙ্গে থাকার কথা। অথচ হচ্ছে উল্টো। শেয়ারগুলোর চাহিদা নেই, দরও তলানিতে। মঙ্গলবার দিনের লেনদেন শেষের প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বস্ত্র খাতের ৩৮ শেয়ারই ফ্লোর প্রাইসে অবস্থান করছে।

একক খাতে এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যক শেয়ার, যা ফ্লোর প্রাইসে পড়ে আছে। ওইদিন এ খাতের মাত্র তিন শেয়ারের দরবৃদ্ধির বিপরীতে ১৮টি দর হারিয়েছে। দর অপরিবর্তিত অবস্থায় ছিল ৩৬টির। একটি শেয়ারের কোনো কেনাবেচা হয়নি।

মঙ্গলবার ডিএসইতে ১ হাজার ২৯০ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। এ লেনদেনে সর্বাধিক সংখ্যক শেয়ার নিয়ে গড়া বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলোর মাত্র ৬৬ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়, যা ছিল মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ১৬ শতাংশ। আবার ৫৮ কোম্পানির মধ্যে ওইদিন লেনদেনের শীর্ষে থাকা মেট্রো, মালেক এবং ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের প্রায় ৩১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা এ খাতের মোট লেনদেনের প্রায় অর্ধেক।

সর্বশেষ লেনদেন মূল্য অনুযায়ী, ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৮৭ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১৯৩টি ফ্লোর প্রাইসে পড়ে ছিল। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বস্ত্র খাত ছাড়াও ব্যাংক, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা খাতের অধিকাংশ শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে দীর্ঘদিন পড়ে আছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় মিউচুয়াল ফান্ড খাত। বর্তমানে তালিকাভুক্ত মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড ৩৭টি, যার ৩৬টি ফ্লোর প্রাইসে।

ব্যাংক খাতের তালিকাভুক্ত শেয়ার ৩৩টি, যার ১৭টি ফ্লোর প্রাইসে পড়ে আছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ২৩ কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত। এর মধ্যে ১৩টি পড়ে আছে ফ্লোরে। আলোচিত বীমা খাতে তালিকাভুক্ত শেয়ার ৫৪টি। এর মধ্যে ৩৬টিই ফ্লোর প্রাইসে পড়ে ছিল।

বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস কর্মকর্তারা জানান, দিনে দিনে ফ্লোর প্রাইসে নামা শেয়ার সংখ্যা বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। এতদিন যারা ফ্লোর প্রাইসের পক্ষে ছিলেন, এমন বিনিয়োগকারীদের একটি অংশও হতাশ। এর কারণ, চাইলেও তাঁরা শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না। ওইসব শেয়ারে ক্রেতার সংকট তীব্র।

আরও পড়ুন

×