বিজিএমইএর সঙ্গে এমওইউ সই
পোশাক খাতে বিকল্প জ্বালানি সহায়তা দেবে হুয়াওয়ে
ছবি: সংগৃহীত
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২২ | ২১:৫১ | আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২২ | ২১:৫১
পোশাক কারখানায় চাহিদামতো বিকল্প জ্বালানি উৎপাদনে সহায়তা দেবে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি অবকাঠামো সেবা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। প্রচলিত জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প হিসেবে সৌর প্যানেলের মতো সবুজ জ্বালানি উৎপাদন এবং কারখানা পর্যায়ে তা চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা হবে। এতে একদিকে জ্বালানি সংকট কিছুটা প্রশমন হবে, অন্যদিকে শিল্পের সবুজায়নের পথে অগ্রগতি হবে।
রোববার বিজিএমইএ এবং হুয়াওয়ের মধ্যে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে সংগঠনের সভাপতি ফারুক হাসান এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিস বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী প্যান জুনফেং এমওইউ সই করেন।
জানা গেছে, দুটি মডেল অনুসরণে বিজিএমইএর তালিকাভুক্ত কারখানাগুলোতে সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করবে হুয়াওয়ে। এর মধ্যে ওপেক্স মডিউলে উৎপাদিত সৌরবিদ্যুৎ থেকে কারখানার মালিকরা জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুতের চেয়েও কম মূল্যে বিদ্যুৎ পাবেন। অন্যদিকে ক্যাপেক্স মডিউলের মাধ্যমে কারখানার মালিক দীর্ঘমেয়াদে অর্থ পরিশোধ করবেন। অর্থ পরিশোধ হওয়ার পর সোলার প্যানেল সিস্টেমের মালিকানা পাবেন কারখানার মালিকরা। এছাড়া কারখানার মালিকরা ছাদে সোলার সিস্টেম স্থাপনের জন্য নিজেরাই বিনিয়োগ করবেন। সৌর শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয় করতে পারবেন তারা। এই দুই ব্যবস্থায় পোশাক শিল্পে প্রতি বছর ২ হাজার ৬০০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। এটি চলমান জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় দেশকে সাহায্য করবে। কমবে কার্বন নিঃসরণ।
অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, পোশাক শিল্পের টেকসই উন্নয়নে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ানো এবং কার্বন নিঃসরণ কমানো বিজিএমইএর অন্যতম লক্ষ্য। নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস এবং শক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে স্মার্ট প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
হুয়াওয়ের প্রধান নির্বাহী বলেন, বাংলাদেশের পোশাক খাত বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলা করছে। উৎপাদন ব্যয়ও বাড়ছে। সবুজ প্রযুক্তির জ্বালানির মাধ্যমে এই সংকট কাটবে। জাতীয় গ্রিডে চাপ কমবে।