শেয়ার বাজার
১৬৭ শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২২ | ২২:৫৩
অবশেষে তালিকাভুক্ত ১৬৭ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের ফ্লোর প্রাইস বা শেয়ারবাজারে কেনাবেচার সর্বনিম্ন মূল্যসীমা তুলে নিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এর মধ্যে কোম্পানি ১৩৪টি এবং মিউচুয়াল ফান্ড ৩৪টি। বর্তমানে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ৩৫৩টি এবং ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ড।
বুধবার বিকেলে এক আদেশে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা, যা আজ বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে। যেসব শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে গতকাল ২৯টি ফ্লোর প্রাইসের ওপরে ছিল। এ তালিকায় নতুন তালিকাভুক্ত চার্টার্ড লাইফ এবং ইসলামিক কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সও আছে। এ ছাড়া ফ্লোরের তুলনায় ২০ থেকে ৯১ শতাংশ পর্যন্ত বেশি দরে কেনাবেচা হয়েছে জুট স্পিনার্স, মুন্নু এগ্রো মেশিনারিজ, এপেক্স ফুডস, ফাইন ফুডস ও বিডি ওয়েল্ডিং।
যেসব কোম্পানির বাজার মূলধন খুব কম এবং দরে ওঠানামায় বাজার মূল্যসূচকের ওঠানামা খুবই কম হয়, এ দফায় শুধু সেগুলোর ফ্লোর প্রাইস তোলা হয়েছে। আর মিউচুয়াল ফান্ড সূচকে অন্তর্ভুক্ত নয়। ফ্লোর প্রাইস তোলার পরও সূচকে যাতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে, সেভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এদিকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নিলে সূচকের পতন হতে পারে- এমন শঙ্কা থেকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সার্কিট ব্রেকারের আগের নিয়ম থেকে সরে এসেছে। নিচের সার্কিট ব্রেকার রেখেছে সর্বোচ্চ ১ শতাংশ। অর্থাৎ আগের দিনের সমাপনী মূল্যের তুলনায় এসব শেয়ার ও ফান্ড ১ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না। তবে বাজারদর অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বেশিতে কেনাবেচা করা যাবে।
অব্যাহত দরপতনের প্রেক্ষাপটে গত ২৮ জুলাই সব শেয়ারের দরে দ্বিতীয় দফায় ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি, যা কার্যকর হয় গত ৩১ জুলাই। ফ্লোর প্রাইস আরোপের পর সব শেয়ারের দরপতন বন্ধ হলেও লেনদেন ব্যাপক কমে যায়। এ নিয়ে অস্বস্তি ছিল ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর মধ্যে। শুরুতে অনেক বিনিয়োগকারী ফ্লোর প্রাইসের পক্ষে থাকলেও পরে এর বিপক্ষে জনমত বেড়েছে। তারপরও ফ্লোর প্রাইস তোলা নিয়ে অনাগ্রহ ছিল বিএসইসির।
শেষ পর্যন্ত কিছু শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম সমকালকে বলেন, আগেই বলেছিলাম 'এটা সাময়িক ব্যবস্থা'। দীর্ঘদিন ফ্লোর প্রাইসে থাকায় লেনদেন কমে গিয়েছিল। এ অবস্থা উত্তরণের জন্যই নতুন সিদ্ধান্ত। এর ফল দেখে পরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার তালিকা করার ক্ষেত্রে কোন বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে- জানতে চাইলে রেজাউল করিম বলেন, যেসব শেয়ারের বাজার মূলধন ও মূল্য সূচকে প্রভাব কম, সেগুলোরই ফ্লোর প্রাইস তোলা হয়েছে।
এদিকে বিএসইসির আদেশে ১৬৯ শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার কথা বলা হলেও আদতে এ তালিকায় শেয়ার আছে ১৬৮টি। তালিকার এনএলআই মিউচুয়াল ফান্ড ডিএসইর ওয়েবসাইটে মিউচুয়াল ফান্ডের তালিকায় দেখানো হলেও এরই মধ্যে বে-মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডে রূপান্তরিত হয়েছে। ফলে এ ফান্ড সেকেন্ডারি শেয়ারবাজারে কেনাবেচা হয় না। ফলে সংখ্যা হবে ১৬৭টি।