শেয়ার বাজার
বীমা খাতে দরপতন

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৩ | ১৮:০০
অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদনের পর ব্যাংকাস্যুরেন্স নীতিমালার প্রজ্ঞাপন জারি স্থগিত করতে বীমা উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিআইএ চিঠি দেওয়ার পর বীমা খাতের শেয়ারে বড় দরপতন হয়েছে।
ব্যাংকাস্যুরেন্স চালু হতে যাচ্ছে– এমন খবরে গত সপ্তাহে এ খাতে দর বেড়েছিল। কিছু বিষয়ে সংশোধন চেয়ে বিআইএ গত বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৫৭ বীমা কোম্পানির মধ্যে ৪৩টির দরপতন হয়েছে এবং চারটির কোনো লেনদেন হয়নি। দর বেড়েছে মাত্র পাঁচটির। এ খাতের সার্বিক দরপতন হয়েছে ২ দশমিক ৮৮ শতাংশ। বীমার দরপতনের প্রভাব পড়ে পুরো শেয়ারবাজারে। ডিএসইতে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে প্রায় ২০১ কোটি টাকা কমে ৭৪৬ কোটি টাকায় নামে। শুধু বীমা খাতের লেনদেন কমেছে ১৪৫ কোটি টাকা । এ খাতে ১২৭ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।
শুধু লেনদেন নয়, সূচকেও গতকাল পতন হয়েছে। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ২৩ পয়েন্ট হারিয়ে ৬৩৪২ পয়েন্টে নেমেছে। গত ১৪ জুনের পর এটিই সূচকের সর্বোচ্চ পতন। বীমা খাতের দরপতনের কারণে সূচক কমেছে প্রায় ১০ পয়েন্ট। সার্বিক হিসাবে দেশের প্রধান শেয়ারবাজারে ৪৪ শেয়ারের দর বেড়েছে। বিপরীতে ১৪২টির দর কমেছে এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৫৯টির দর। ক্রেতার অভাবে ৪৭ শেয়ারের কেনাবেচাই হয়নি। দরপতনে ফ্লোর প্রাইসে শেয়ার সংখ্যা ছয়টি বেড়ে ২১২টিতে উন্নীত হয়েছে।
ফ্লোর প্রাইস ছেড়েছে সিঙ্গার ও ইবনে সিনা
সার্বিক নেতিবাচক ধারার মধ্যে ১০ মাস পর সিঙ্গার এবং প্রায় তিন মাস পর ইবনে সিনার শেয়ার ফ্লোর প্রাইস ছেড়েছে। ঈদুল আজহায় ফ্রিজ এবং গরমে এসি বিক্রি বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি হিসাব বছরের ছয় মাসে সিঙ্গারের ইপিএস বেড়ে ৪ টাকা ৭২ পয়সা হয়েছে, যা গত হিসাব বছরে ছিল ১ টাকা ৪০ পয়সা। তবে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার প্রায় তিন মাস ফ্লোর প্রাইসের ওপর কেনাবেচার পর গতকাল আবার নেমেছে। এর বাইরে ঢাকা ব্যাংক, এফএএস ফাইন্যান্স, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ও স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, ডমিনেজ, রেনউয়িক যজ্ঞেশ্বর, কেয়া কসমেটিক্স এবং সিলকো ফার্মার শেয়ারও ফ্লোর প্রাইসে নেমেছে।
সিএনএটেক্সের লভ্যাংশ ঘোষণা: ছয় বছর পর লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি সিএনএটেক্স। গত বছরের জন্য কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ৪০ পয়সা হারে নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ ছাড়া চলতি হিসাব বছরের ৯ মাসে শেয়ারপ্রতি ৪৭ পয়সা মুনাফার তথ্য দিয়েছে। মূল উদ্যোক্তারা গোপনে শেয়ার বিক্রি করে বের হয়ে যাওয়ার পর গত পাঁচ বছর বন্ধ ছিল কোম্পানিটি। রুগ্ণ ও বন্ধ কোম্পানির পুনরুদ্ধার প্রকল্পের অংশ হিসেবে আলিফ গ্রুপ গত বছর এর দায়িত্ব নিয়ে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করে। শিগগির পুরোপুরি উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করেত চায় তারা। শেয়ারহোল্ডার, উচ্চ আদালত ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেলে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে একীভূত করার পরিকল্পনাও ঘোষণা করেছে।