ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

‘প্রস্তাবিত বাজেট পাস হলে লাভ তামাক কোম্পানির’

‘প্রস্তাবিত বাজেট পাস হলে লাভ তামাক কোম্পানির’

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ জুন ২০১৯ | ১৬:৩২

বাজেটে করহার ও স্তরসংখ্যা অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাবে তামাক কোম্পানিগুলো লাভবান হবে বলে মনে করছে তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা ও আত্মা। 

শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সংগঠন দুটি এ মন্তব্য করেছে। তবে ধোঁয়াবিহীন তামাক পণ্যে কর বাড়ায় সরকারের প্রশংসা করেছে তারা।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত বাজেটে মধ্যম, উচ্চ ও প্রিমিয়াম স্তরে সিগারেটের সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। কেবল মূল্য পরিবর্তনের মাধ্যমে ১০ শলাকা সিগারেটের দাম যথাক্রমে ৬৩, ৯৩ ও ১২৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে সিগারেট কোম্পানিগুলোকে ৩১ শতাংশ পর্যন্ত আয় বৃদ্ধির সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যু ও অসুস্থতার বোঝা মাথায় নিয়ে তামাক কোম্পানিগুলোকে লাভবান করার এই উদ্দেশ্য চরম হতাশাজনক ও জনস্বাস্থ্যবিরোধী বলে আখ্যায়িত করা হয়।

নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম কম বৃদ্ধির সমালোচনা করে এতে বলা হয়, প্রস্তাবিত বাজেটে নিম্নস্তরের সিগারেটের মূল্য শলাকাপ্রতি ২০ পয়সা বা ৫ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ সময়ে জনগণের মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১১ দশমিক ৩২ শতাংশ। ধূমপায়ীদের মধ্যে প্রায় ৭২ শতাংশ নিম্নস্তরের সিগারেটের ভোক্তা। প্রস্তাবিত বাজেট কার্যকর হলে সিগারেটের প্রকৃত মূল্য কমবে, ব্যবহার বাড়বে।

অপ্রক্রিয়াজাত তামাকের বিষয়ে বলা হয়, অপ্রক্রিয়াজাত তামাকের বিদ্যমান ১০ শতাংশ রফতানি শুল্ক তুলে দেওয়ার পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত তামাক পণ্য রফতানি উৎসাহিত করতে শূন্য শতাংশ শুল্ক প্রস্তাবিত বাজেটেও অব্যাহত রাখা হয়েছে। এটি জনস্বাস্থ্যবিরোধী পদক্ষেপ। একই সঙ্গে জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বিড়ির ব্যবহার বন্ধে একাধিকবার কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিলেও কর বাড়ানো হয়নি।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার যে অঙ্গীকার করেছেন, তার কোনো প্রতিফলন প্রস্তাবিত বাজেটে নেই।

আরও পড়ুন

×