- অর্থনীতি
- শেয়ার বিক্রি বন্ধ করিয়ে দরপতন ঠেকানোর চেষ্টা
শেয়ার বিক্রি বন্ধ করিয়ে দরপতন ঠেকানোর চেষ্টা

ফাইল ছবি
রেকর্ড দরপতনের পর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঊর্ধ্বমুখী ধারায় শুরু হয় শেয়ারবাজারে লেনদেন। প্রথম আধা ঘণ্টায় লেনদেনে আসা ৮৫ শতাংশ শেয়ারের দর বাড়ে। এতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮৩ পয়েন্ট বা ২ শতাংশ বেড়ে ৪১১৯ পয়েন্ট ছাড়ায়।
লংকাবাংলা, ইউসিবি, আইডিএলসিসহ শীর্ষ কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, লেনদেনের প্রথম আধা ঘণ্টায় বড় ব্রোকারেজ হাউসগুলোর প্রতি শেয়ার বিক্রি না করার কড়া নির্দেশ ছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি থেকে। প্রতিষ্ঠানগুলো এ নির্দেশনা মেনেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শীর্ষ একটি ব্রোকারেজ হাউসের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা সমকালকে জানান, বিএসইসির মৌখিক আদেশ পেয়ে তারা লেনদেনের প্রথম আধা ঘণ্টায় কোনো শেয়ার বিক্রি করেননি, যদিও গ্রাহকদের থেকে বিক্রির আদেশ ছিল। বিক্রির চাপ কম থাকায় শেয়ারদর কিছুটা বেড়েছে বলে মনে করেন তিনি।
কিন্তু আধা ঘণ্টা পর আবার শেয়ার বিক্রি শুরু হওয়ায় নিম্নমুখী হতে শুরু করে দর, তাতে সূচকও নিম্নমুখী হয়।
ব্রোকারেজ হাউসের ওই কর্মকর্তা বলেন, বড় ব্রোকারেজ হাউসের শেয়ার বিক্রি করে দরপতন বন্ধ করা, অনেকটা 'কোরামিন দিয়ে রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা'র মতো। এটা অল্প সময় কাজ করতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি সমাধান ছাড়া এ বাজারের পতন ঠেকানো যাবে না।
প্রথম ঘণ্টার লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, লেনদেনের প্রথম ঘণ্টা শেষে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ৩৩৪ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ২৬৭টির বা ৮০ শতাংশের দরবৃদ্ধির বিপরীতে ২৪টি বা ৭ শতাংশ শেয়ার দর হারিয়ে কেনাবেচা হয়।
সকাল সাড়ে ১১টায় ডিএসইএক্স সূচক মঙ্গলবারের তুলনায় ৫৫ পয়েন্ট বেড়ে ৪০৯১ পয়েন্টে অবস্থান করে।
এদিকে দরপতন ঠেকাতে সকাল সাড়ে ৯টায় ডিএসইর ব্রোকারদের সংগঠন ডিবিএর শীর্ষ নেতাসহ শীর্ষ ব্রোকারদের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। রাজধানীর আগারগাঁও বিএসইসি কার্যালয়ে ওই বৈঠক এই প্রতিবেদন লেখার সময়ও চলছিল।
বৈঠকে বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন ছাড়াও কমিশনার ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন। বাজার পক্ষে ডিবিএই সভাপতি শাকিল রিজভীসহ শীর্ষ ব্রোকারদের সিইওরা রয়েছেন।
মঙ্গলবার টানা দ্বিতীয় দিনে ২ শতাংশের ওপর সূচকের পতনের প্রেক্ষাপটে এ জরুরি বৈঠক ডাকে বিএসইসি। মঙ্গলবার ডিএসইএক্স সূচক ৮৭ পয়েন্ট হারায়। এর আগে সোমবার হারিয়েছিল প্রায় ৮৯ পয়েন্ট। গত সপ্তাহের পুরোটা সময় জুড়ে দরপতন হয়েছিল। সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসের দরপতনে সূচকটি হারিয়েছিল ২৬২ পয়েন্ট। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারির পর একদিনে এত বেশি সূচকের পতন আর কখনো হয়নি।
মন্তব্য করুন