ঢাকা বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩

ন্যূনতম মজুরি ১৭,৫৬৮ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব সিপিডির

ন্যূনতম মজুরি ১৭,৫৬৮ টাকা  নির্ধারণের প্রস্তাব সিপিডির

Advertisement
Advertisement

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৩ | ১৮:০০

তৈরি পোশাক খাতে এন্ট্রি লেভেল বা প্রবেশ স্তরে শ্রমিকদের মাসিক ন্যূনতম মজুরি ১৭ হাজার ৫৬৮ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি ও চার সদস্যের পরিবারে দু’জন উপার্জনক্ষম শ্রমিকের মাসিক ব্যয় বিবেচনায় এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সিপিডির মতে, বিদেশি ক্রেতারা প্রতি পিস পোশাকে বাড়তি ৭ সেন্ট দিলে এই মজুরি দিতে কারখানা কর্তৃপক্ষের সমস্যা হবে না।
গতকাল রোববার রাজধানীর হোটেল লেকশোরে আয়োজিত এক সংলাপে মজুরির এই প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। তবে সংলাপে উপস্থিত  মালিক এবং শ্রমিক উভয় পক্ষই সিপিডির এ প্রস্তাবকে  প্রত্যাখ্যান করেছে। মালিকপক্ষের মতে, এ মুহূর্তে এত বেশি মজুরি দেওয়ার মতো সামর্থ্য নেই তাদের। অন্যদিকে শ্রমিক নেতাদের মতে, বর্তমান বাজারে এত কম মজুরি নিয়ে কাজ করা সম্ভব নয়।
বর্তমানে এন্ট্রি লেভেলে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা। এর সঙ্গে বার্ষিক মজুরি বৃদ্ধি রয়েছে ৫ শতাংশ শতাংশ হারে। ২০১৮ সালে নিম্নতম মজুরি বোর্ড এ মজুরি ঘোষণা করে। প্রতি পাঁচ বছর পর মজুরি পর্যালোচনা করা হয়। পরবর্তী মেয়াদে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আগামী নভেম্বরের মধ্যেই নতুন মজুরি ঘোষণার কথা রয়েছে।
সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা। আলোচনায় অংশ নেন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, নিম্নতম মজুরি বোর্ডে মালিকপক্ষের প্রতিনিধি ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, নিম্নতম মজুরি বোর্ড শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা মন্টু ঘোষ, তৌহিদুর রহমান, তাছলিমা আক্তার প্রমুখ।

ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের ৭৬টি কারখানার ২২৮ জন শ্রমিক এবং মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রস্তাবনাটি তৈরি করেছে সিপিডি। সংলাপে প্রস্তাবনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ও সিনিয়র গবেষণা সহকারী তামিম আহমেদ।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, মজুরি বাড়াতে হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে এমন
হারে নির্ধারণ করা ঠিক হবে না, যাতে কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। সেটা হলে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি বলেন, ‘৮০ শতাংশ মালিক কোনো রকমে অস্তিত্ব নিয়ে টিকে আছেন। এ রকম মুহূর্তে সিপিডির প্রস্তাব সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করছি আমরা।’ তিনি বলেন, ক্রেতারা পোশাকের মূল্যের ৮৫ শতাংশই নিয়ে যায়। ১৫ শতাংশ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় মালিকদের।
শ্রমিক নেতা তৌহিদুর রহমান বলেন, সিপিডির প্রস্তাবে পরিবারের সদস্য হিসেবে বাবা-মাকে রাখা হয়নি। তাদের নিয়ে ছয়জনের পরিবারে ১৭ হাজার ৫৬৮ টাকায় আজকের দুর্মূল্যের বাজারে চলা সম্ভব নয়। ২৩ হাজার টাকার নিচে মজুরি মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন