পুনরায় লেনদেন শুরুর দ্বিতীয় দিনে সোমবার দেশের দুই শেয়ারবাজারে স্বাভাবিক লেনদেন কার্যক্রম চলছে। লেনদেনের গতি স্বাভাবিকের তুলনায় কম হলেও তা রোববারের তুলনায় সামান্য বেশি। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে রয়েছে ওষুধ খাতের কোম্পানি।

তবে আগের দিনের মতো সোমবারও দিনের শুরুতে এসব শেয়ার দাম বেড়ে কেনাবেচা হলেও লেনদেনের প্রধম অর্ধ শেষ হতে হতে সেগুলোরও দাম কমতে দেখা গেছে। ফলে রোববার সূচকে ঊর্ধ্বমুখী ধারা থাকলেও সোমবার বড় পতন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

লেনদেনের প্রথম অর্ধ শেষে দেখা যায়, প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৬৮ পয়েন্ট হারিয়ে ৩ হাজার ৯৯২ পয়েন্টে নেমেছে। সূচক পতনের হার ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

দুপুর ১২টায় দিনের লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টা শেষে দেখা গেছে, তালিকাভুক্ত ৩৫৮ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩০৪টি লেনদেনে এসেছে। এর মধ্যে মাত্র ২৯টি শেয়ারে যথেষ্ট ক্রেতা-বিক্রেতা রয়েছে।

ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা জানান, তারা মোবাইল ফোন বা টেলিফোনে গ্রাহকদের কেনাবেচার অর্ডার বেশি পাচ্ছেন। কেউ কেউ মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করেও শেয়ার কেনাবেচা করছেন।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, প্রথম দেড় ঘণ্টা শেষে মাত্র ১৮টি শেয়ার দর বেড়ে কেনাবেচা হচ্ছিল। এর ৫টিই ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাতের, ৪টি বস্ত্র খাতের। বাকি সব খাতের প্রায় সব শেয়ারই ফ্লোর প্রাইসে কেনাবেচা হয়েছে।

লেনদেনে আসা ৩০৪ শেয়ার ও ফান্ডের মধ্যে ২৫টির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৫টিকে দর হারিয়ে কেনাবেচা হতে দেখা গেছে। বাকিগুলোর দর অপরিবর্তিত।

প্রথম ঘণ্টায় প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে মোট ১৩৪ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। অবশ্য এ সময় পর্যন্ত ব্লক লেনদেনের বাইরে শুরু পাবলিক মার্কেটে কেনাবেচা হয় ৮৭ কোটি টাকার শেয়ার। এর ৫৩ কোটি টাকার লেনদেনই ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাতের শেয়ারের। রোববার ডিএসইতে ১৪৩ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল, যার ৯০ কোটি ৬০ লাখ টাকার বা ৬৩ শতাংশ লেনদেনই ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাতের।

লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করছে স্কয়ার ফার্মা, বেক্সিমকো ফার্মা, বেক্সিমকো লিমিটেড, ইন্দোবাংলা ফার্মা, গ্রামীণফোন।

পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, আজকের লেনদেনে যে ২৯ কোম্পানির শেয়ারে যথেষ্ট ক্রেতা-বিক্রেতা দেখা যাচ্ছে, সেগুলো হলো- এসিআই লিমিটেড, এসিআই ফর্মুলেশনস, এক্‌মি ল্যাব, এমবি ফার্মা, বিডি ওয়েল্ডিং, বেক্সিমকো লিমিটেড, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, বেক্সিমকো ফার্মা, সেন্ট্রাল ফার্মা, দেশ গার্মেন্টস, গ্রামীণফোন, ইবনে সিনা, ইন্দোবাংলা ফার্মা, জেএমআই সিরিঞ্জেস,  লিনডে বিডি, মুন্নু সিরামিক, ওরিয়ন ইনফিউশনস, ওরিয়ন ফার্মা, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স,  ফার্মা এইডস, রেকিট বেনকিজার, রেনেটা, সিলকো ফার্মা, সিলভা ফার্মা, শাহজিবাজার পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মা, সামিট পাওয়ার, ওয়াটা কেমিক্যাল।

ক্রেতার বিপরীতে বিক্রেতা কম রয়েছে- প্রাইম ফাইন্যান্স প্রথম মিউচুয়াল ফান্ডের। বিপুল বিক্রির আদেশের বিপরীতে কিছু ক্রেতা আছে- অ্যাকটিভ ফাইন, এডভেন্ট ফার্মা, বারাকা পাওয়ার, আনলিমা ইয়ার্ন, এক্সিম ব্যাংক, ফার কেমিক্যাল, জিবিবি পাওয়ার, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংকের শেয়ারে।

আজ দরবৃদ্ধির তুলনায় দর হারানো শেয়ার বেশি হওয়ার কারণে ডিএসইএক্স সূচক প্রায় ৬৭ পয়েন্ট হারিয়ে ৩ হাজার ৯৯২ পয়েন্টে নেমেছে। গতকাল সূচকটি ৫২ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৬০ পয়েন্ট ছাড়িয়ে ছিল।

এদিকে দেশের দ্বিতীয় শেয়ারবাজার সিএসইতে স্বাভাবিক লেনদেন চলছে। যদিও লেনদেনের গতি খুবেই কম। প্রথম ঘণ্টায় ৮৫টি শেয়ার ও ফান্ড লেনদেনে এসেছে। এর মধ্যে ১৫টি দর বেড়ে, ২৭টি দর হারিয়ে কেনাবেচা হতে দেখা গেছে। ৪৩টি শেয়ার কেনাবেচা হচ্ছিল গতকালের দরে বা ফ্লোর প্রাইসে। এ সময় পর্যন্ত ২ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।