- অর্থনীতি
- ৬৫ দিন পর কর্মব্যস্ত শাহজালাল বিমানবন্দর, বাতিল ২ ফ্লাইট
৬৫ দিন পর কর্মব্যস্ত শাহজালাল বিমানবন্দর, বাতিল ২ ফ্লাইট

ফাইল ছবি
মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে গত ২৫ মার্চ থেকে টানা ৬৫ দিন বন্ধ থাকার পর ফের কর্মব্যস্ত হয়ে উঠেছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সোমবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে ৩টি অভ্যন্তরীণ রুটে শুরু হয়েছে বিমান চলাচল। ফলে সকাল থেকেই বিমানবন্দরে ভিড় জমাতে থাকেন যাত্রীরা।
তবে শুরুতেই যাত্রী সংকটে বাতিল হয়েছে ঢাকা-চট্রগ্রাম ও সিলেট রুটে ২টি বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট। এ ছাড়া ঢাকা থেকে ৪ জন যাত্রী নিয়ে নির্ধারিত সময় সকাল পৌনে ৮টায় সৈয়দপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায় বিমানের প্রথম ফ্লাইট।
সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনা প্রতিরোধের অংশ হিসেবে বিমানবন্দরে নানা পদক্ষেপ নেয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
সরেজমিন বিমানবন্দর ঘুরে বিভিন্ন নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে প্রবেশের আগে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ ছাড়া বেবিচকের পক্ষ থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড গ্লাভস ও মাস্ক দেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের। শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে যাত্রীরা নির্দেশ মতো নির্ধারিত স্থানে দাঁড়াচ্ছেন কি না, সেসব তদারকিতে কাজ করছেন বেবিচকের নিরাপত্তা কর্মীরা।
ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের চট্রগ্রামগামী যাত্রী আবেদ আলী সমকালকে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বিমানবন্দরে আসা হয়। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল ফ্লাইট চলাচল। অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চালু হওয়ায় শারীরিক দূরত্ব মেনেও টার্মিনালে প্রবেশ করা হয়।
তিনি বলেন, শুধু আমি নই, করোনা সংক্রমণের ভয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলছেন সব যাত্রী। বেসরকারি ইউএস-বাংলা, নভোএয়ার ও বিমান বাংলাশ এয়ারলাইন্সের নির্ধারিত ফ্লাইট সমূহ ঢাকা থেকে সিলেট, চট্টগ্রাম ও সৈয়দপুরে ছেড়ে গেছে।
এ দিকে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সোমবার সকালে বিমানবন্দর অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল পরিদর্শনে যান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান। তিনি সমকালকে বলেন, সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীদের চলাচলের ব্যাপারে তদারকি করা হচ্ছে। এখানে কোনো গাফিলতি নেই। আমাদের (বেবিচক) পক্ষ থেকে যাত্রীদের সুরক্ষা সামগ্রীও দেওয়া হচ্ছে। এয়ারলাইন্সগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছি, ৭০ ভাগের বেশি যাত্রী না নিতে। এ ছাড়াও এয়ারলাইন্সগুলো যাত্রার আগের দিন যাত্রীকে ফোন করে বলে দেবে, যদি তিনি অসুস্থ থাকেন সে ক্ষেত্রে বিমানবন্দরে না আসতে। আমরা আশা করি, যাত্রীরা সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমডি, মো. মোকাব্বির হোসেন সমকালকে বলেন, করোনার কারণে প্রায় আড়াইমাস বন্ধ ছিল বিমান চলাচল। আজ থেকে শুরু হয়েছে হয়েছে ৩টি অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল। তবে যাত্রী না থাকার কারণে ২টি রুটের ২টি বিমান ফ্লাইট বাতিল করা হয়। রুটগুলো হচ্ছে ঢাকা-চট্রগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট।
এ ব্যপারে বেসরকারি নভো এয়ারের এমডি মফিজুর রহমান সমকালকে বলেন, স্বাস্থ্য বিধি মেনে অভ্যন্তরীণ রুওেট ফ্লাইটে চলাচল করছেন যাত্রীরা। এ ছাড়া স্বাস্থ্য বিধি মানার জন্য যাত্রীদের সহযোগিতা করেন এয়ারলাইন্স কর্মীরা। তিনি বলেন, যাত্রী সংকটে বাতিল হয়নি নভো এয়ারের কোন ফ্লাইট।
এ ব্যপারে বাংলাদেশ বিমানের মহা ব্যবস্থাপক জনসংযোগ তাহেরা খন্দকার সমকালকে বলেন, ঢাকা থেকে মাত্র ৪ জন যাত্রী সকাল পৌনে ৮টায় বিমানের প্রথম ফ্লাইট ছেড়ে যায় সেয়দপুর। এ ছাড়া যাত্রী না থাকার কারণে ঢাকা-চট্রগ্রাম ও ঢাকা সিলেট রুটে ২টি বিমান ফ্লাইট বাতিল করা হয়।
বেসরকারি ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের মহা ব্যবস্থাপক জনসংযোগ কামরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, সিডিউল অনুযায়ী ঢাকা বিমানবন্দও থেকে অভ্যন্তরীণ রুটের চলাচল করছে ফ্লাইট। তিনি বলেন, বেবিচকের বেধে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী ৭০ ভাগ যাত্রী পরিবহন করা হয়। যাত্রী সংকটে বাতিল হয়নি ইউএস বাংলার কোন ফ্লাইট। ঢাকাসহ বিভিন্ন বিমানবন্দর থেকে নিয়মিত চলাচল করছে অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট।
মন্তব্য করুন