- অর্থনীতি
- ৬% ঘাটতি ধরে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ
৬% ঘাটতি ধরে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল- টেলিভিশন থেকে নেওয়া ছবি
আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৬ শতাংশ ঘাটতি ধরে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সংসদের অধিবেশন শুরুর পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমোদনক্রমে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। এটি দেশের ৪৯তম এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামালের দ্বিতীয় বাজেট।
এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। আর ঘাটতি ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৬ শতাংশ। গত বাজেটে এই হার ছিল জিডিপির ৫ শতাংশ।
প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয়ের উৎস সম্পর্কে বলা হয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড উৎস হতে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে। এনবিআর বহির্ভূত সূত্র হতে করা রাজস্ব প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া কর বহির্ভূত খাত থেকে রাজস্ব আহরিত হবে আরও ৩৩ হাজার কোটি টাকা।
ঘাটতি অর্থায়ন প্রসঙ্গে বাজেট প্রস্তাবনায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক উৎস হতে ৮০ হাজার ১৭ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস হতে ১ লাখ ৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সংগৃহীত হবে ৮৪ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য ব্যাংক-বহির্ভূত খাত হতে আসবে ২৫ হাজার কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হচ্ছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটেও জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৮ দশমিক ২ শতাংশ ধরা হয়েছিল। তবে কোভিড-১৯ এর প্রভাবে বিশ্বব্যাপী দীর্ঘ সময় ধরে চলা লকডাউনের কারণে রপ্তানি হ্রাস পাওয়ায় এবং প্রবাস আয়ে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জিত না হওয়ায় চলতি অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার সংশোধন করে ৫ দশমিক ২ শতাংশে নির্ধারণ করা হয়েছে।
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে এই লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
মন্তব্য করুন