আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মোট ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, জিডিপির ১১ দশমিক ৯ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান। এর আগে বিকেলে সংসদের অধিবেশন শুরুর পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমোদনক্রমে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।

প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয়ের উৎস সম্পর্কে বলা হয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড উৎস হতে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে। এনবিআর বহির্ভূত সূত্র হতে করা রাজস্ব প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া কর বহির্ভূত খাত থেকে রাজস্ব আহরিত হবে আরও ৩৩ হাজার কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা, যা ছিল জিডিপির ১৩ দশমিক ১ শতাংশ। তবে সংশোধিত বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৬৯ কোটি টাকা করা হয়েছে, যা জিডিপির ১২ দশমিক ৪ শতাংশ।

৬ শতাংশ ঘাটতি ধরে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাবনা পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। বাজেটে মোট ঘাটতি ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা।

ঘাটতি অর্থায়ন প্রসঙ্গে বাজেট প্রস্তাবনায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক উৎস হতে ৮০ হাজার ১৭ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস হতে ১ লাখ ৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সংগৃহীত হবে ৮৪ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য ব্যাংক-বহির্ভূত খাত হতে আসবে ২৫ হাজার কোটি টাকা।

সম্ভাব্য মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৪ শতাংশ প্রাক্কলন করে প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ।