- অর্থনীতি
- সামাজিক নিরাপত্তায় বরাদ্দ মোট বাজেটের ১৬.৮৩%
সামাজিক নিরাপত্তায় বরাদ্দ মোট বাজেটের ১৬.৮৩%

আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে মােট ৯৫ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা মোট বাজেটের ১৬.৮৩ শতাংশ এবং জিডিপির ৩.০১ শতাংশ।
চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে সংশােধিত বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ ছিলো ৮১ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা।
করোনার কারণে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতা বাড়ল।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান।
এছাড়াও বয়স্ক ভাতার আওতায় আরও ৫ লাখ, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা ভাতার আওতায় ৩ লাখ ৫০ হাজার ও অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় ২ লাখ ৫৫ হাজার নতুন উপকারভোগী যোগ করার প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেট বক্তৃতায়।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দরিদ্র জনগণের অবস্থা উন্নয়নে আমরা সামাজিক নিরাপত্তা খাতে প্রতিবছর বরাদ্দ বাড়িয়ে চলেছি। বর্তমানে দেশের প্রায় এক-চতুর্থাংশ পরিবারকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সাধারণ ছুটি ঘোষণা, লকডাউন, শিল্প কারখানা ও ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের আয় কমে দারিদ্র নিরাপত্তায় আমাদের অর্জন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকার চলতি অর্থবছরে দরিদ্র কর্মজীবী মানুয়ের কষ্ট লাঘবে ৫০ লাখ মানুষকে নগদ অর্থ সহায়তা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে আওতা বাড়ানোর প্রস্তাব করছি। করোনা মহামারির কারণে সর্বাধিক দারিদ্রপ্রবণ ১০০ উপজেলায় বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী সব দরিদ্র, প্রবীণ ব্যক্তিকে বয়স্ক ভাতার আওতায় আনা হবে। এতে করে পাঁচ লাখ মানুষ নতুন উপকারভোগীতে যোগ হবে এবং এ খাতে ৩০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ দেয়া হবে।
‘করোনা মহামারির কারণে সর্বাধিক দারিদ্রপ্রবণ ১০০ উপজেলায় বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী সব বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা নারীকে ভাতার আওতায় আনা হবে। এতে করে সাড়ে তিন লাখ নতুন উপকারভোগী যোগ হবে এবং এ খাতে ২১০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ দেয়া হবে।’
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সর্বশেষ প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ জরিপ অনুযায়ী দুই লাখ ৫৫ হাজার নতুন ভাতাভোগী যুক্ত করে অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা ভোগীর সংখ্যা ১৮ লাখে বৃদ্ধি করা হবে। এ বাবদ ২২৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রয়োজন হবে।’
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, এছাড়াও দরিদ্র মায়ের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা, কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা, ভিজিডি কার্যক্রম, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা, অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ ভাতা, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে শিক্ষা উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ, ক্যান্সার, কিডনি ও লিভার সিরোসিস রোগীদের সহায়তা, চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচি ইত্যাদি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
করোনাজনিত আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল করা এবং গ্রামে বসবাসরত দরিদ্র, দুস্থ ও অসহায় মানুষের আত্মকর্মসংস্থানের সুযােগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম এর জন্য ১০০ কোটি টাকা প্রণােদনা প্রদানের ঘােষণা করেন তিনি।
মন্তব্য করুন