গত বাজেটে যোগাযোগ খাতে বরাদ্দ প্রস্তাব ছিল ৬১ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা। চলতি ২০১৯-২০ সালের সংশোধিত বাজেটে তা কমে হয় ৫৫ হাজার ৮৪৭ কোটি টাকা। আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে যোগাযোগ খাতে ৬১ হাজার হাজার ৪৩৫ কোটি বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। টাকার অঙ্ক বাড়লেও বাজেটে হিস্যা কমেছে এই খাতের।

চলতি বছরের ব্যয়ের ১১ দশমিক ১৩ শতাংশ খরচ হয়েছে যোগাযোগে। আগামী বছরের প্রস্তাবেই রয়েছে ১০ দশমিক ৮২ শতাংশ। বছর শেষে তা যে আরো কমবে তাতে সন্দেহ নেই।

বাজেটে টাকার অঙ্কে আড়লেও আদতে যোগাযোগ খাতে ব্যয় কমানো হয়েছে। বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনাতেও (এডিপি) যোগাযোগে বরাদ্দ কমেছে। চলতি অর্থ বছরের এক লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকার এডিপিতে যোগাযোগ খাতে ব্যয় করা হয়েছে ৪৭ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা। বরাদ্দ প্রস্তাব ছিল ৫২ হাজার ৮০৫ কোটি টাকা। এবার তা কমে হয়েছে ৫২ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা।

আগামী অর্থ বছরের বাজেটে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের জন্য ২৯ হাজার ৪৪১ কোটি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি বাজেটে প্রস্তাব ছিল ২৯ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা। তবে শেষ পর্যন্ত বরাদ্দ করা হয় ২৮ হাজার ৪৯ কোটি টাকা।

গত বাজেটে রেলের জন্য বরাদ্দ প্রস্তাব ছিল ১৬ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ করা হয় ১৩ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা। আগামী বছরের বাজেটে ১৬ হাজার ৩২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। টাকার অঙ্কে বাড়লেও বাজেটে হিস্যা কমেছে রেলের। গত বাজেটে বাজেটের ৩ দশমিক ১১ শতাংশ রেলে বরাদ্দের প্রস্তাব ছিল। এবার তা কমে হয়েছে ২ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

সেতু বিভাগের বরাদ্দ ও হিস্যা দুই কমেছে। গত বাজেটে বরাদ্দ প্রসÍাব ছিল ছিল আট হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা। তবে ব্যয় করা হয় ছয় হাজার ৬৮৬ কোটি টাকা। আগামী অর্থ বছরের জন্য বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে সাত হাজার ৯৮০ কোটি টাকা।

আগামী বাজেটে বাড়ছে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ফিটনেস নবায়নসহ বিআরটিএ’র সকল সেবার খরচ। এ খাতের সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে ২০২০-২১ অর্থ বছরের বাজেটে।