- অর্থনীতি
- নিজস্ব ব্র্যান্ডের মোটরগাড়ি বানাবে বাংলাদেশ: শিল্পমন্ত্রী
নিজস্ব ব্র্যান্ডের মোটরগাড়ি বানাবে বাংলাদেশ: শিল্পমন্ত্রী

ফাইল ছবি
বাংলাদেশের নিজস্ব ব্র্যান্ডের মোটরগাড়ি উৎপাদনে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। জাপানের মিতশুবিশি করপোরেশনের কারিগরি সহায়তায় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ এই মোটরগাড়ি উৎপাদন করবে। এ লক্ষ্যে খুব শিগগির অটোমোবাইল শিল্প উন্নয়ন নীতি চূড়ান্ত করা হবে। এ নীতির আলোকে এ খাতে জাপানের কারিগরি সহায়তা করার সুযোগ উন্মুক্ত হবে।
সোমবার বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতোর সঙ্গে এক বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী এ কথা জানান। শিল্প মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগসহ শিল্প মন্ত্রণালয় এবং জাপান দূতাবাসের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের শিল্প খাতের জাপানি বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় বাংলাদেশে নিজস্ব ব্র্যান্ডের মোটরগাড়ি উৎপাদন, জাতীয় শিল্পনীতি-২০২১ প্রণয়ন এবং শিল্প তথ্য ভান্ডার তৈরিতে জাপানের কারিগরি সহায়তা নিয়েও আলোচনা করেন মন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূত।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, জাপান দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগী। তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোর আধুনিকায়ন, কৃষিভিত্তিক শিল্প কারখানা স্থাপন, কৃষিপণ্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, হালকা প্রকৌশল শিল্পের উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ভেন্ডার উন্নয়নে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে জাপানের রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বলেন, মিতশুবিসি করপোরেশনসহ জাপানের অন্য অটোমোবাইল শিল্প উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। তবে বাংলাদেশে মোটরসাইকেল শিল্পের বিকাশে নিবন্ধন ফি যৌক্তিকীকরণ করতে হবে। নিজস্ব ব্র্যান্ডের মোটরগাড়ি উৎপাদন এবং রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলের আধুনিকায়নে জাপান কারিগরি সহযোগিতা দেবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রগতির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তৌহিদুজ্জামান সমকালকে বলেন, বর্তমানে প্রগতি মিতশুবিসি থেকে যন্ত্রাংশ নিয়ে এসে সংযোজন করে। ফলে এখানে নিজস্ব কিছু নেই। এখন সরকার পরিকল্পনা করছে নিজেরা কিছু পার্টস তৈরি করে, কিছু পার্টস ভেন্ডরদের দিয়ে তৈরি করিয়ে নিয়ে নিজস্ব ব্র্যান্ডের গাড়ি বানানোর। বিশ্বের নামকরা কোম্পানিগুলোও তাই করে। নিজস্ব ডিজাইন ও মানের পার্টস তৈরি করে নিয়ে গাড়ি বানানো হয়। প্রগতির সেই সক্ষমতা রয়েছে। ইতোমধ্যে গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ চালু এবং অত্যাধুনিক সংযোজন কারখানা স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
মন্তব্য করুন