পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খোলার ক্ষেত্রে মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ নির্দেশনা বলবৎ থাকবে। বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ নিশ্চিত ও দামের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়।

আমদানি ঋণপত্র খোলার সময় ব্যাংকে পণ্যমূল্যের একটি অংশ জমা দিতে হয়, যাকে এলসি মার্জিন বলে। এই মার্জিনের বিষয়টি নির্ধারিত হয় ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে। ব্যাংকের সঙ্গে গ্রাহকের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ভালো হলে ন্যূনতম ১০ মার্জিনেও এলসি খোলা হয়। আবার গ্রাহক যদি ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচিত হন সেক্ষেত্রে শতভাগ মার্জিন নিয়ে এলসি খোলা হয়।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির কারণে স্থানীয় বাজারেও ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাজারে সরবরাহ নিশ্চিত এবং মূল্য স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ আমদানির ঋণপত্র বা এলসি মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।

এর আগে গত বছর পেঁয়াজের দামে ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে একই রকম নির্দেশনা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার কারণে দাম বাড়তে থাকায় গত বছরের ২ অক্টোবর এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই নির্দেশনার মেয়াদ কয়েক দফায় বাড়িয়ে চলতি বছরের ৩০ মে পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। যদিও পেঁয়াজের দামে এর কোনো প্রভাব তখন দেখা যায়নি। গত বছরের সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে ৫০ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজের দাম বেড়ে ৩০০ টাকায় উঠেছিল।