- অর্থনীতি
- হিমাগারে আলু মজুদের তথ্য চেয়ে জেলা প্রশাসকদের চিঠি
হিমাগারে আলু মজুদের তথ্য চেয়ে জেলা প্রশাসকদের চিঠি

সারাদেশে হিমাগারে আলু মজুদের তথ্য চেয়ে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। এই মজুদের তথ্য পাওয়ার পরে কোনো হিমাগারে অনুমোদনের অতিরিক্ত আলু মজুদ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকদের পাঠানো চিঠিতে কমিশন বলেছে, চিঠি পাওয়ার দু'দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলায় কী পরিমাণ আলু মজুদ আছে সেই তথ্য জানাতে হবে। অন্য বছর হয়তো কোনো হিমাগার ১০০ টন আলু সংরক্ষণ করত। এবার একই হিমাগার যদি ২০০ টন আলু মজুদ করে রাখে, তবে তার বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে কমিশন।
এ বিষয়ে প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মফিজুল ইসলাম বলেন, আলুর মজুদের খোঁজ নিতে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। সরাদেশে আলুর মজুদের হিসাব করা হবে। একই সঙ্গে অন্য সময়ের চেয়ে অতিরিক্ত আলুর মজুদ রাখা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাজারে যে কোনো পণ্যের একতরফা ব্যবসা করলে তাদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কমিশন। এ জন্য সম্প্রতি আলুর দাম বাড়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এবার বন্যার কারণে সবজি উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এতে বাজারে সবজির দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। আলুর চাহিদা বৃদ্ধির কারণে এই সুযোগে দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, আলুর ঘাটতি রয়েছে। অন্যদিকে কৃষি বিপণন বলছে, চাহিদার চেয়ে বেশি আলু আছে। তবে করোনার সময় ত্রাণ হিসেবে সারাদেশে ব্যাপকভাবে আলুর ব্যবহার হয়েছে। এই অজুহাতে আলুর দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে খুচরা বাজারে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি হচ্ছে। অথচ নির্ধারিত দর অনুযায়ী ৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়ার কথা।
সারাদেশে ৩৭১টি হিমাগারে ৫৫ লাখ টন আলু সংরক্ষণ করা হয়। গত মৌসুমে ৪০ লাখ টন সংরক্ষণ হয়েছে বলে দাবি করেন ব্যবসায়ীরা। একদিকে চাহিদা বাড়তি, অন্যদিকে ঘাটতি- এমন সুযোগে দাম নির্ধারণের পরেও বাড়তি দামে বিক্রির সুযোগ ছাড়েননি তারা।
মন্তব্য করুন