ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি ডেটাবেজ

ব্যাংকের শাখাই হালনাগাদ করতে পারছে ঋণের তথ্য

ব্যাংকের শাখাই হালনাগাদ  করতে পারছে ঋণের তথ্য

Advertisement
Advertisement

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৩ | ২০:০৪ | আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৩ | ২০:০৪

ব্যাংকের শাখাই এখন সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ তথ্য ব্যুরো (সিআইবি) ডেটাবেজে ঋণগ্রহীতার তথ্য হালনাগাদ করতে পারছে। গত সেপ্টেম্বর থেকে চালু হয়েছে এ ব্যবস্থা। এতে দ্রুত হালনাগাদ হচ্ছে গ্রাহকের ঋণ-সংক্রান্ত তথ্য।

সর্বশেষ তথ্য পেতে অন্য ব্যাংকের জন্যও এটি সুবিধাজনক হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে ঋণগ্রহীতার হালনাগাদ তথ্য সিআইবি ডেটাবেজে আপলোড করতে দুই মাস পর্যন্ত লেগে যেত।

গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মলনে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের  নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক। এ সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইসিটি বিভাগের নির্বাহী পরিচালক দেবদুলাল রায় উপস্থিত ছিলেন।

যে কোনো ব্যক্তির ঋণ-সংক্রান্ত তথ্য সিআইবিতে থাকে। সাধারণত ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কেউ ঋণখেলাপি কিনা, তার ঋণ পরিশোধের ইতিহাস সিআইবি থেকে যাচাই করা হয়।

মেজবাউল হক বলেন, ঋণ-সংক্রান্ত তথ্য হালনাগাদ প্রক্রিয়া দ্রুত করতে আপলোডের ক্ষমতা সরাসরি শাখাকে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে এক ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। অনেকে বলছে, শাখা সিআইবি রিপোর্ট পরিবর্তন করতে পারবে। আদৌ সেটা সম্ভব নয়। প্রতিটি শাখাকে নির্দিষ্ট ইউজার আইডি দেওয়া হচ্ছে। একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে সেখান থেকে তথ্য আপলোড হবে। এ জন্য দুই ধাপ পেরোতে হবে। শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সব তথ্য দেওয়ার পর আরেকজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেটা ঠিক আছে কিনা দেখে এর পর চূড়ান্ত আপলোড করবেন।

তিনি জানান, একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়কে আগে হয়তো তিন থেকে চারটি ইউজার আইডি দেওয়া হতো। তারা প্রতিটি শাখা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তা সমন্বয় করে প্রধান কার্যালয়ে পাঠাত। সেখান থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানোর পর সিআইবি ডেটাবেজে আপলোড করা হতো। এখন সরাসরি শাখা আপলোডের ফলে দ্রুত তথ্য হালনাগাদ হচ্ছে। অন্য ব্যাংক বা ওই ব্যাংকের শাখা প্রয়োজনে গ্রাহকের হালনাগাদ তথ্য দেখার সুযোগ পাচ্ছে। এতদিন একটি তথ্য হালনাগাদ করতে দুই মাসও লেগে যেত। কেননা, এক মাসের তথ্য পরবর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে হতো। বাংলাদেশ ব্যাংক ওই তথ্যে কোনো অসংগতি আছে কিনা দেখে এর পর আপলোড দিত। 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দেবদুলাল রায় বলেন, সিআইবিতে একবার যে কোনো তথ্য দেওয়ার পর তা আর মুছে ফেলার সুযোগ নেই। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, কেউ হয়তো আগস্ট মাসে খেলাপি ছিলেন। সেপ্টেম্বর মাসে কিস্তি পরিশোধ করে খেলাপিমুক্ত হলেন। এখন আগেরটা কেউ আর মুছতে পারবে না। বরং প্রতি পর্যায়ে তথ্য হালনাগাদ হবে। এ ছাড়া একজন ব্যাংকার চাইলেই প্রয়োজন ছাড়া আরেকজনের তথ্য দেখতে পারেন না। কেননা ঋণগ্রহীতার এনআইডির বিভিন্ন তথ্য দিয়ে ডেটাবেজে প্রবেশ করতে হয়। কে কখন প্রবেশ করল তার রেকর্ড সেখান থেকে মোছা যায় না। ফলে অহেতুক কেউ সিআইবি দেখলে তাকে জবাবদিহির আওতায় আনার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবার লগ-ইনের জন্য প্রধান কার্যালয় থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নির্দিষ্ট ফি দিতে হয়।

আরও পড়ুন