
করোনার কারণে নতুন বিনিয়োগ অনেকটা স্থবির হয়ে আছে। ফলে কর্মসংস্থান কম হচ্ছে। অন্যদিকে, মহামারির প্রভাবে অনেক ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান সংকুচিত হওয়ায় বেকার হয়েছেন বহু মানুষ। এ অবস্থায় নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে আগামী অর্থবছরের বাজেটে বিভিন্ন ধরনের কর অব্যাহতি ও ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কাজের সুযোগ সৃষ্টি ও অর্থনীতি গতিশীল করা আগামী বাজেটের মূল লক্ষ্য। এ জন্য যেসব ক্ষেত্রে সুবিধা দিলে বিনিয়োগ বাড়বে, সেখানে তা দেওয়ার চেষ্টা থাকছে। কোনো ক্ষেত্রে কর অব্যাহতি দেওয়া হবে, কোনো ক্ষেত্রে চলমান কর ছাড়ের মেয়াদ বাড়ানো হবে। নতুন করে কর অবকাশ সুবিধাও দেওয়া হবে কিছু খাতে। বিশেষত কৃষি খাতে নতুন বিনিয়োগ উৎসাহিত করার চেষ্টা রয়েছে সরকারের। পাশাপাশি ইলেকট্রনিক শিল্পে স্থানীয় শিল্পের সম্প্রসারণ চায় সরকার।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, কৃষি খাতের সম্ভাবনা কাজে লাগানো, গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা করা ও নতুন উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে শাকসবজি, ফলমূল, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং কৃষিযন্ত্র তৈরিতে নতুন বিনিয়োগকারী পেতে পারেন ১০ বছরের কর অবকাশ সুবিধা। আগামী ১ জুলাই থেকে ২০৩০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যারা এ খাতে বিনিয়োগ করবেন, তারাই আয়কর অব্যাহতির সুবিধা পেতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে নূ্যনতম বিনিয়োগ হতে হবে এক কোটি টাকা। বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে বিডার নিবন্ধন নিতে হবে। কাঁচামাল হতে হবে সম্পূর্ণ দেশে উৎপাদিত। উৎপাদনকারী কারখানার পরিবেশ বা পণ্যের মানের কারণে শাস্তি পেলে এ সুবিধা বাতিল হয়ে যাবে।
দেশে প্রচুর পরিমাণে ফলমূল ও শাকসবজি উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু তা প্রক্রিয়াজাত করে অধিকতর মূল্য সংযোজনের ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। শুধু তাজা ফলমূল ও শাকসবজি রপ্তানি হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। একইভাবে দুধ প্রক্রিয়া করে দুগ্ধজাত পণ্য তৈরিও হচ্ছে কম। এ জাতীয় প্রক্রিয়াজাত পণ্য তৈরিতে বিনিয়োগ আকর্ষণে এসব খাতের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রথম ১০ বছর আয়ের ওপর কর অব্যাহতির সুবিধা দেওয়া হতে পারে।
অন্যদিকে, মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য ইলেকট্রনিক পণ্যে স্থানীয় বিনিয়োগ উৎসাহিত করার চেষ্টা থাকছে আগামী বাজেটে। মোবাইল ফোন, রেফ্রিজারেটর, এসি, ফ্রিজ, অটোমোবাইল, টিভিসহ ইলেকট্রনিকস খাত এবং অটোমোবাইল শিল্পে উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে আগামী বাজেটে। এসব খাতে ভ্যাট অব্যাহতি শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ জুন। এর মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত করা হতে পারে। একই সঙ্গে কম্পিউটার ও কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ, ওয়াশিং মেশিন, ইলেকট্রিক সুইং মেশিন, মাইক্রোওভেন, ব্লেন্ডারসহ হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য উৎপাদনে নতুন করে ভ্যাট অব্যাহতির ঘোষণা আসতে পারে আগামী বাজেটে। এসব ক্ষেত্রে নতুন করে কারখানা স্থাপন করে উৎপাদন শুরু করলে ১০ বছরের জন্য কর অবকাশের ঘোষণাও আসতে পারে বাজেটে। কর অবকাশ সুবিধা পেতে কোম্পানিগুলোকে কমপক্ষে ২০ শতাংশ মূল্য সংযোজন করতে হবে। কারখানাও স্থাপন করতে হবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটির বাইরে। তবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মধ্যে কারখানা স্থাপন করলেও এ সুবিধা পাঁচ বছরের জন্য পাওয়া যাবে।
সংশ্নিষ্টরা জানিয়েছেন, আমদানি কমানোর জন্য স্থানীয় উৎপাদন বাড়াতে সরকার এ ধরনের কর সুবিধা দিয়ে থাকে। এতে পণ্যমূল্য যেমন কমে, তেমনি আমদানি বাবদ বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয়ও কম হয়। দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। দেশে ইলেকট্রিক সামগ্রী উৎপাদনে ২০১০ সালে প্রথম ভ্যাট ও কর ছাড় দেওয়া হয়। এর পর থেকে এ খাতে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। আমদানি নির্ভরতা ও দাম কমেছে। দেশে ব্যবহারও বেড়েছে। আবার কর ছাড়ের সুবিধা নিতে স্যামসাং, এলজি বাটারফ্লাই, কনকার মতো ব্র্যান্ডের বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠান দেশে কারখানা স্থাপন করেছে।
তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক কর্মকাণ্ড আরও সহজ ও সুলভ করতে আগামী অর্থবছরের বাজেটে এ খাতে কর অব্যাহতির আওতা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ২২টি সেবা কর অব্যাহতি পায়। আগামী অর্থবছরে যুক্ত হচ্ছে আরও পাঁচটি সেবা। দেশে প্রযুক্তিভিত্তিক কর্মকাণ্ড বাড়াতে এ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে ক্লাউড সার্ভিস, সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন, ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম, ই-বুক পাবলিকেশন, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস এবং ফ্রিল্যান্সিং সেবাকে কর অব্যাহতি দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া দক্ষতা উন্নয়ন ও হালকা প্রকৌশল খাতের শিল্পের সম্প্রসারণে কর অব্যাহতি দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে এনবিআর। এনবিআর মনে করে, বাংলাদেশে পরবর্তী ধাপের শিল্পায়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে দক্ষ মানবসম্পদ। হালকা প্রকৌশল খাতে আমদানি নির্ভরতা কাটিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার জন্য শিল্প ও উদ্যোক্তা তৈরি সময়ের দাবি। এ জন্য মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে আকৃষ্ট করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে হালকা ও প্রকৌশল শিল্পে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে থাকছে কর প্রণোদনা।
এক ব্যক্তির কোম্পানির ক্ষেত্রে বিশেষ কর ছাড়ের সুবিধা দিতে যাচ্ছে সরকার। বর্তমানে এ ধরনের কোম্পানির করপোরেট কর ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ। আগামী অর্থবছরে তা কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হবে।
মাছ চাষে আয়কর বাড়ছে :মাছ চাষে ৩০ লাখ টাকার বেশি আয় করলেই তার ওপর ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হতে পারে। আসন্ন বাজেটে অর্থমন্ত্রী এ প্রস্তাব করবেন বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, মৎস্য চাষ থেকে আয়ের ওপর কর কম থাকায় অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি তাদের অন্য খাতের আয়কে মৎস্য খাতের আয় হিসেবে দেখান, যাতে করে কম আয়কর দিতে হয়। কারণ, ব্যক্তি আয়করের সর্বোচ্চ হার হলো ২৫ শতাংশ। বর্তমানে আইনে মৎস্য খাতে আয়ের প্রথম ১০ লাখ টাকার ওপর কোনো আয়কর দিতে হয় না এবং পরবর্তী ১০ লাখের ওপর ৫ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হয়। আর ২০ লাখের পরে যে আয় হয়, তাতে ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে প্রথম ১০ লাখ করমুক্ত, পরের ১০ লাখে ৫ শতাংশ এবং তার পরের ১০ লাখে ১০ শতাংশ অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এই ৩০ লাখের পরে কোনো আয় থাকলে সেখানে ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কাজের সুযোগ সৃষ্টি ও অর্থনীতি গতিশীল করা আগামী বাজেটের মূল লক্ষ্য। এ জন্য যেসব ক্ষেত্রে সুবিধা দিলে বিনিয়োগ বাড়বে, সেখানে তা দেওয়ার চেষ্টা থাকছে। কোনো ক্ষেত্রে কর অব্যাহতি দেওয়া হবে, কোনো ক্ষেত্রে চলমান কর ছাড়ের মেয়াদ বাড়ানো হবে। নতুন করে কর অবকাশ সুবিধাও দেওয়া হবে কিছু খাতে। বিশেষত কৃষি খাতে নতুন বিনিয়োগ উৎসাহিত করার চেষ্টা রয়েছে সরকারের। পাশাপাশি ইলেকট্রনিক শিল্পে স্থানীয় শিল্পের সম্প্রসারণ চায় সরকার।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, কৃষি খাতের সম্ভাবনা কাজে লাগানো, গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা করা ও নতুন উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে শাকসবজি, ফলমূল, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং কৃষিযন্ত্র তৈরিতে নতুন বিনিয়োগকারী পেতে পারেন ১০ বছরের কর অবকাশ সুবিধা। আগামী ১ জুলাই থেকে ২০৩০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যারা এ খাতে বিনিয়োগ করবেন, তারাই আয়কর অব্যাহতির সুবিধা পেতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে নূ্যনতম বিনিয়োগ হতে হবে এক কোটি টাকা। বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে বিডার নিবন্ধন নিতে হবে। কাঁচামাল হতে হবে সম্পূর্ণ দেশে উৎপাদিত। উৎপাদনকারী কারখানার পরিবেশ বা পণ্যের মানের কারণে শাস্তি পেলে এ সুবিধা বাতিল হয়ে যাবে।
দেশে প্রচুর পরিমাণে ফলমূল ও শাকসবজি উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু তা প্রক্রিয়াজাত করে অধিকতর মূল্য সংযোজনের ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। শুধু তাজা ফলমূল ও শাকসবজি রপ্তানি হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। একইভাবে দুধ প্রক্রিয়া করে দুগ্ধজাত পণ্য তৈরিও হচ্ছে কম। এ জাতীয় প্রক্রিয়াজাত পণ্য তৈরিতে বিনিয়োগ আকর্ষণে এসব খাতের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রথম ১০ বছর আয়ের ওপর কর অব্যাহতির সুবিধা দেওয়া হতে পারে।
অন্যদিকে, মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য ইলেকট্রনিক পণ্যে স্থানীয় বিনিয়োগ উৎসাহিত করার চেষ্টা থাকছে আগামী বাজেটে। মোবাইল ফোন, রেফ্রিজারেটর, এসি, ফ্রিজ, অটোমোবাইল, টিভিসহ ইলেকট্রনিকস খাত এবং অটোমোবাইল শিল্পে উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে আগামী বাজেটে। এসব খাতে ভ্যাট অব্যাহতি শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ জুন। এর মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত করা হতে পারে। একই সঙ্গে কম্পিউটার ও কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ, ওয়াশিং মেশিন, ইলেকট্রিক সুইং মেশিন, মাইক্রোওভেন, ব্লেন্ডারসহ হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য উৎপাদনে নতুন করে ভ্যাট অব্যাহতির ঘোষণা আসতে পারে আগামী বাজেটে। এসব ক্ষেত্রে নতুন করে কারখানা স্থাপন করে উৎপাদন শুরু করলে ১০ বছরের জন্য কর অবকাশের ঘোষণাও আসতে পারে বাজেটে। কর অবকাশ সুবিধা পেতে কোম্পানিগুলোকে কমপক্ষে ২০ শতাংশ মূল্য সংযোজন করতে হবে। কারখানাও স্থাপন করতে হবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটির বাইরে। তবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মধ্যে কারখানা স্থাপন করলেও এ সুবিধা পাঁচ বছরের জন্য পাওয়া যাবে।
সংশ্নিষ্টরা জানিয়েছেন, আমদানি কমানোর জন্য স্থানীয় উৎপাদন বাড়াতে সরকার এ ধরনের কর সুবিধা দিয়ে থাকে। এতে পণ্যমূল্য যেমন কমে, তেমনি আমদানি বাবদ বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয়ও কম হয়। দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। দেশে ইলেকট্রিক সামগ্রী উৎপাদনে ২০১০ সালে প্রথম ভ্যাট ও কর ছাড় দেওয়া হয়। এর পর থেকে এ খাতে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। আমদানি নির্ভরতা ও দাম কমেছে। দেশে ব্যবহারও বেড়েছে। আবার কর ছাড়ের সুবিধা নিতে স্যামসাং, এলজি বাটারফ্লাই, কনকার মতো ব্র্যান্ডের বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠান দেশে কারখানা স্থাপন করেছে।
তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক কর্মকাণ্ড আরও সহজ ও সুলভ করতে আগামী অর্থবছরের বাজেটে এ খাতে কর অব্যাহতির আওতা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ২২টি সেবা কর অব্যাহতি পায়। আগামী অর্থবছরে যুক্ত হচ্ছে আরও পাঁচটি সেবা। দেশে প্রযুক্তিভিত্তিক কর্মকাণ্ড বাড়াতে এ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে ক্লাউড সার্ভিস, সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন, ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম, ই-বুক পাবলিকেশন, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস এবং ফ্রিল্যান্সিং সেবাকে কর অব্যাহতি দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া দক্ষতা উন্নয়ন ও হালকা প্রকৌশল খাতের শিল্পের সম্প্রসারণে কর অব্যাহতি দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে এনবিআর। এনবিআর মনে করে, বাংলাদেশে পরবর্তী ধাপের শিল্পায়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে দক্ষ মানবসম্পদ। হালকা প্রকৌশল খাতে আমদানি নির্ভরতা কাটিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার জন্য শিল্প ও উদ্যোক্তা তৈরি সময়ের দাবি। এ জন্য মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে আকৃষ্ট করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে হালকা ও প্রকৌশল শিল্পে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে থাকছে কর প্রণোদনা।
এক ব্যক্তির কোম্পানির ক্ষেত্রে বিশেষ কর ছাড়ের সুবিধা দিতে যাচ্ছে সরকার। বর্তমানে এ ধরনের কোম্পানির করপোরেট কর ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ। আগামী অর্থবছরে তা কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হবে।
মাছ চাষে আয়কর বাড়ছে :মাছ চাষে ৩০ লাখ টাকার বেশি আয় করলেই তার ওপর ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হতে পারে। আসন্ন বাজেটে অর্থমন্ত্রী এ প্রস্তাব করবেন বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, মৎস্য চাষ থেকে আয়ের ওপর কর কম থাকায় অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি তাদের অন্য খাতের আয়কে মৎস্য খাতের আয় হিসেবে দেখান, যাতে করে কম আয়কর দিতে হয়। কারণ, ব্যক্তি আয়করের সর্বোচ্চ হার হলো ২৫ শতাংশ। বর্তমানে আইনে মৎস্য খাতে আয়ের প্রথম ১০ লাখ টাকার ওপর কোনো আয়কর দিতে হয় না এবং পরবর্তী ১০ লাখের ওপর ৫ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হয়। আর ২০ লাখের পরে যে আয় হয়, তাতে ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে প্রথম ১০ লাখ করমুক্ত, পরের ১০ লাখে ৫ শতাংশ এবং তার পরের ১০ লাখে ১০ শতাংশ অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এই ৩০ লাখের পরে কোনো আয় থাকলে সেখানে ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
মন্তব্য করুন