
মাইক্রোবাস আমদানির সম্পূরক শুল্ক আরও কমলো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বাজেটে সর্বোচ্চ ১৫ সিটের মোটরগাড়ি আমদানিতে ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গতকাল মঙ্গলবার অর্থ বিল পাসের সময় মোটরগাড়ির পরিবর্তে সেখানে সুনির্দিষ্ট করে 'মাইক্রোবাস' শব্দ যোগ করা হয়েছে। একই সঙ্গে শুল্ক হার নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ শতাংশ। এদিকে অর্থ বিল পাসের সময় হিউম্যান হলার আমদানিতে নতুন করে ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এ প্রস্তাবটিও এসেছে সাংসদ বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান থেকে।
সংসদ সদস্য বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান মোটরগাড়ির পরিবর্তে সুনির্দিষ্টভাবে মাইক্রোবাস শব্দটি ব্যবহার এবং শুল্ক হার কমানোর এ প্রস্তাব করেন। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তার প্রস্তাব গ্রহণ করেন। অন্যদিকে ১৬০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ি আমদানিতে যে ৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, সেখান থেকে মাইক্রোবাসকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আর ১৮০০ সিসি পর্যন্ত মাইক্রোবাস আমদানির সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ বহাল রয়েছে। অর্থাৎ যে ধরনের মাইক্রোবাসই আমদানি করা হোক, তার সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ। সরকারও মাইক্রোবাসের ব্যবহার উৎসাহিত করতে চাইছে। এবারের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী এ বিষয়ে আলাদা করে বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বলেন, নছিমন, লেগুনার মতো দুর্ঘটনাপ্রবণ যানবাহন ব্যবহার নিরুৎসাহিত করে বিকল্প গণপরিবহন হিসেবে মাইক্রোবাস ব্যবহার উৎসাহিত করতে এর আমদানি শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হচ্ছে।
মাইক্রোবাস আমদানির শুল্ক কমানোর প্রস্তাবে অবশ্য ব্যবহৃত গাড়ি আমদানিকারকদের সংগঠন বারভিডার দাবি ছিল সম্পূর্ণ শুল্ক প্রত্যাহারের। বারভিডার সভাপতি আব্দুল হক সমকালকে বলেন, মাইক্রোবাস এখন সাধারণ মানুষের বাহন। অফিসের কর্মীদের আনা-নেওয়া, সামাজিক অনুষ্ঠান বা বেড়াতে যাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষ মাইক্রোবাস ভাড়া নিচ্ছেন। এ ধরনের গাড়ি আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক খাপ খায় না। কারণ, সম্পূরক শুল্ক সাধারণত বিলাসপণ্য বা রাষ্ট্র যেসব পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করে, সেক্ষেত্রে আরোপ করা হয়ে থাকে। সংগঠনের মহাসচিব মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামও একই মতামত দেন।
মন্তব্য করুন