ডিজিটাল কমার্স পরিচালনায় স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১’-এর খসড়া প্রণয়ন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। শিগগির এ নির্দেশিকা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হবে। যেখানে ফাস্ট কমার্সের ক্ষেত্রে এসক্রোর (পণ্য সরবরাহের পর তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে লেনদেন করার) কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ডিজিটাল কমার্স লেনদেনে এসক্রো বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত নয় বলে মনে করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের খসড়া নির্দেশিকার ওপর করা পাঁচ প্রস্তাবে এমনটি জানিয়েছে সংগঠনটি।

বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমস কবীর স্বাক্ষরিত প্রস্তাবনা গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী এসক্রো কখনো বাধ্যতামূলক পরিষেবা হিসেবে গণ্য করা হয় না। এটি গ্রাহকদের জন্য একটি বিকল্প পন্থা। ডিজিটাল কমার্সে লেনদেনের ক্ষেত্রে ফাস্ট কমার্স বা রাইড শেয়ারিং, ফুড ও গ্রোসারি ডেলিভারি, মোবাইল রিচার্জ, সার্ভিস ডেলিভারি বা ইউটিলিটি, এডুকেশন ফি, টিকিটিং (বাস, এয়ার, ট্রেন, লঞ্চ) বা হোটেল বুকিংয়ের সাইটগুলোর জন্য এসক্রো বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত নয়।

বেসিসের প্রস্তাবনায় বলেছে, শুধু ১৫ হাজার টাকার ওপরে যেকোনো লেনদেন এসক্রো ব্যবস্থার আওতায় আসা উচিত। এছাড়া সেটেলমেন্ট প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি অটোমেশনে যাওয়ার আগে ক্রেতারা তাদের মার্চেন্টদের কাছে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার পরই মার্চেন্টরা এ অর্থ অ্যাকুয়ারার্স বা এগ্রিগেটরসের কাছে দাবি করতে পারবে। তবে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি অটোমেশনের আওতায় এলে ক্রেতারা তাদের ডেলিভারি কনফারমেশন মার্চেন্টদের পাশাপাশি সরাসরি অ্যাকুয়ারার্স বা এগ্রিগেটরসকে এপিআইর মাধ্যমে জানাতে পারবে। অ্যাকুয়ারার্স বা এগ্রিগেটররা এ বিক্রেতাদের কাছ থেকে দাবি পাওয়ার পরে তহবিল নিষ্পত্তি করবে এবং ডেলিভারি কোম্পানির সঙ্গে তা যাচাই করবে। যদি অ্যাকুয়ারার্স বা এগ্রিগেটরস ডেলিভারির ক্ষেত্রে কোনো অসংগতি খুঁজে পান, তারা এ বিক্রেতাদের একটি সতর্কতামূলক নোট প্রেরণ করবেন।  সংবাদ বিজ্ঞপ্তি