গত জুনে শেষ হওয়া ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি অনেক বেড়ে গেছে। এক বছরে রপ্তানি আয়ের তুলনায় আমদানি ব্যয় বেশি হয়েছে ২ হাজার ২৭৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার যা এর আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ৫০০ কোটি ডলার বেশি। স্থানীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে ) বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৯৪ হাজার কোটি টাকা। 

২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ হাজার ৭৮৫ কোটি ৮০ লাখ ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল। গত অর্থবছরের বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যের ( ব্যালান্স অব পেমেন্ট) ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের রিপোর্টে এ তথ্য রয়েছে। 

এতে দেখা যায়, গত অর্থবছরে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩ হাজার ৭৮৮ কোটি ২০ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের চেয়ে বেড়েছে ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ। আর আমদানি ব্যয় হয়েছে ৬ হাজার ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। আমদানি বেড়েছে ১৯ দশমিক ৭১ শতাংশ। রপ্তানির চেয়ে আমদানি বৃদ্ধির হার বেশি হওয়ায় বাণিজ্য ঘাটতিও বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অপর এক প্রতিবেদনের তথ্য মতে, এ সময়ে খাদ্যশস্য বিশেষত চাল আমদানি অনেক বেড়েছে। জ্বালানি তেল আমদানির জন্যও আগের চেয়ে বেশি অংকের খরচ করতে হয়েছে।

বাণিজ্য ঘাটতি বাড়লেও প্রবাসীদের পাঠানো অর্থে বড় প্রবৃদ্ধির কারণে বিদেশের সঙ্গে লেনদেনের চলতি হিসাবে ঘাটতি কমেছে। গত অর্থবছর শেষে এ হিসাবে ঘাটতি হয়েছে ৩৮০ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এর আগের অর্থবছরে চলতি হিসাবে ৪৭২ কোটি ৪০ লাখ ডলার ঘাটতি ছিল। গত অর্থবছরে দেশে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার সমপরিমাণের রেমিট্যান্স এসেছে যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য মতে, গত অর্থবছরে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে। নিট বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে ১৭৭ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের চেয়ে যা ৩৯ শতাংশ বেশি। বিদেশি বিনিয়োগ এবং বিদেশি ঋণের প্রভাবে সামগ্রিক লেনদেনে উদ্বৃত্তের পরিমাণ ৯২৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে যা ছিল ৩১৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার।