- অর্থনীতি
- নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঋণ দিয়েছে এনবিএল
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঋণ দিয়েছে এনবিএল
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাখ্যা তলব

টাকার বাণ্ডেল। ছবি: ফাইল
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কয়েকজন গ্রাহকের নামে ঋণ অনুমোদন করেছে বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংকের (এনবিএল) পরিচালনা পর্ষদ। এ ছাড়া নতুন এলসি সুবিধা এবং অন্য ব্যাংকের ঋণ অধিগ্রহণ করা হয়েছে। পর্ষদের বৈঠকে আলোচনা ছাড়াই বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর মুরশিদ কুলী খানকে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকটির ৪৪৯তম পর্ষদ সভায় নেওয়া এসব সিদ্ধান্তের বিষয়ে ব্যাখ্যা তলব করে সম্প্রতি এনবিএলের এমডিকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ৩ মে দেওয়া চিঠির মাধ্যমে ব্যাংকের ঋণ-আমানত অনুপাত ৮৭ শতাংশের নিচে না আসা পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া নতুন ঋণ বিতরণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা না মেনে ডিফাইন ফিড মিল নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে এলসি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। আবার প্রণোদনার আওতায় ঋণ বিতরণের জন্য ব্যাংকের পক্ষ থেকে ৮৯ গ্রাহকের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনাপত্তি নেওয়া হয়। অথচ পর্ষদের সভায় ১৬ গ্রাহককে নতুন অন্তর্ভুক্ত করে মোট ১০৫ গ্রাহকের ঋণ বিতরণ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। সার্বিক বিষয়ে বক্তব্যের জন্য ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ সৈয়দ আব্দুল বারীকে টেলিফোন করেও পাওয়া যায়নি।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এফএমসি ডকইয়ার্ড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের অন্য ব্যাংকের ঋণ অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের সব বকেয়া ঋণ আদায়ের অগ্রগতি জানাতে বলা হয়েছে। আবার পরিচালনা পর্ষদের আলোচ্য সূচিতে অন্তর্ভুক্তি না করে এবং পর্ষদ সভায় আলোচনা না করেই বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর মুরশিদ কুলী খানকে তিন বছরের জন্য স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার বিষয়েও ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। ন্যাশনাল ব্যাংকের দীর্ঘদিনের চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার মারা যাওয়ার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দৃশ্যমান বিভিন্ন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া ব্যাংকটির ঋণ বিতরণ ও উচ্চপর্যায়ে নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আবার নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক ছাড়াই ১৪৬ কোম্পানিকে দেওয়া ৮৮৭ কোটি টাকা দ্রুত আদায় করতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন অনিয়মে সম্পৃক্ততার দায়ে সিকদার পরিবারের ঘনিষ্ঠ ভারপ্রাপ্ত এমডি এএসএম বুলবুলকে সরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া এবি ব্যাংকে ঋণখেলাপির দায়ে গত ২৭ জুন পরিচালক পদ হারিয়েছেন রিক হক সিকদার।
মন্তব্য করুন