- অর্থনীতি
- ইভ্যালির লকার খোলার নম্বর দিতে হবে রাসেল ও তার স্ত্রীকে
ইভ্যালির লকার খোলার নম্বর দিতে হবে রাসেল ও তার স্ত্রীকে
নির্দেশ হাইকোর্টের

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ধানমন্ডির কার্যালয়ের লকারগুলোর 'কম্বিনেশন নম্বর' দেওয়ার জন্য কারাগারে থাকা প্রতিষ্ঠানটির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এজন্য আদালতের নিযুক্ত ইভ্যালির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা তার মনোনীত প্রতিনিধিকে কারাগারে এই দম্পতির সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা করতেও আইজি প্রিজন্সকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির স্থানীয় সার্ভারের তথ্য উদ্ধারে আদালত নিযুক্ত পরিচালনা পর্ষদকে সহযোগিতা করতে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে মো. রাসেল ও শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তারা কারাগারে আছেন। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
গত মে মাসে ইভ্যালিতে ইলেকট্রনিকস পণ্য অর্ডারের পর অর্থ পরিশোধ করেও পণ্য ও টাকা না পেয়ে প্রতিষ্ঠানটির অবসায়ন চেয়ে ফরহাদ হোসেন নামে এক গ্রাহক ২২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে এক পর্যায়ে ১৮ অক্টোবর হাইকোর্ট ইভ্যালি পরিচালনার জন্য আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে চেয়ারম্যান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন। নতুন পরিচালনা পর্ষদের কার্যক্রমের অগ্রগতি জানাতেও সংশ্নিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল বিষয়টি হাইকোর্টের কার্যতালিকায় আসে।
আদালতে নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোরশেদ আহমেদ খান। আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এএম মাছুম ও সৈয়দ মাহসিব হোসেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও প্রতিযোগিতা কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তাপস কান্তি বল।
এদিকে ইভ্যালি অবসায়ন চেয়ে ফরহাদ হোসেনের করা আবেদনে পক্ষভুক্ত হতে ইভ্যালির ৩০ জন গ্রাহক আবেদন করেন। তবে আদালত তা গ্রহণ করেননি।
আবেদনকারী ৩০ গ্রাহকের আইনজীবী মো. হুমায়ন কবির সাংবাদিকদের বলেন, তারা ইভ্যালির কাছে এক কোটি ৯১ লাখ টাকা পাবেন। তাই ওই আবেদন পক্ষভুক্ত হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আদালত নতুন বোর্ডের কাছে আবেদনের জন্য বলেছেন।
মন্তব্য করুন