- অর্থনীতি
- ছোট ঋণে বড় ভোগান্তি
ছোট ঋণে বড় ভোগান্তি
বেসরকারি একটি ব্যাংক থেকে চার লাখ টাকার ক্ষুদ্রঋণ নেন পুরান ঢাকার দিলসাদ বেগম। দুই লাখ ২৮ হাজার টাকা পরিশোধের পর অনিয়মিত হয়ে পড়েন। ব্যাংকের মামলায় ২০১৭ সালে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আদালতের মাধ্যমে এক লাখ ২৪ হাজার টাকা ডাউন পেমেন্ট দিয়ে তিনি জেল থেকে ছাড়া পান। পরে কয়েক দফায় ব্যাংকের মূল ঋণ শোধ করেন। এর পরও মামলা তুলছে না ব্যাংক। মামলা তুলতে এখন আইনি খরচ বাবদ গ্রাহকের কাছে চাওয়া হয়েছে দুই লাখ ৫৩ হাজার টাকা। এর মানে চার লাখ টাকার ঋণের আইনি খরচ চাওয়া হচ্ছে আড়াই লাখ টাকার বেশি
ব্যাংকের ছোট গ্রাহকদের এমন হয়রানি নিত্যদিনের। আবার ঋণ পেতেও বিভিন্ন শর্তের বেড়াজাল রয়েছে। ক্ষুদ্র উদ্যোগ ছাড়াও ছোট আকারের ব্যক্তিগত ঋণ, ক্রেডিট কার্ড, গাড়ি-বাড়ি বা ফ্ল্যাটের ঋণ নিয়েও হয়রানির যেন অন্ত নেই।
অ্যাকাউন্ট খোলার আগেই অনেক বড় উদ্যোক্তার নামে ঋণ অনুমোদনের অনেক উদাহরণ রয়েছে। অথচ ছোট ঋণের আবেদন পর্যায়েই নানা হয়রানিতে পড়তে হচ্ছে। কোনোমতে ঋণ পাওয়ার পর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গ্রাহকের সঙ্গে ব্যাংকের হিসাবের গরমিল হয়। অনেক সময় ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান নোটিশ ছাড়াই সুদহার বাড়িয়ে দেয়। বিভিন্ন সেবার ক্ষেত্রেও রয়েছে নানা বৈষম্য।
আলোচনা করেছেন সমকালের সিনিয়র রিপোর্টার ওবায়দুল্লাহ রনি, সঙ্গে রিফাত তাসনুভা।
মন্তব্য করুন