- অর্থনীতি
- উদ্ভট বিবৃতি টিআইবি দিতে পারে না
পদ্মা ব্যাংকের এমডি এহসান খসরু
উদ্ভট বিবৃতি টিআইবি দিতে পারে না

পদ্মা ব্যাংকের এমডি এহসান খসরু
পদ্মা ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদনে লোকসান না দেখানোর বিশেষ সুযোগ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের বিবৃতিকে বিতর্কিত মনে করে ব্যাংকটি। গণমাধ্যমে যেসব প্রতিবেদন এসেছে এবং যার ওপর ভিত্তি করে টিআইবি বিবৃতি দিয়েছে, তার সবই মিথ্যা, অসত্য এবং বিভ্রান্তিকর। এ ধরনের উদ্ভট বিবৃতি টিআইবি কোনোভাবে দিতে পারে না। রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমন বক্তব্য দিয়েছেন ব্যাংকটির এমডি এহসান খসরু।
বিজ্ঞপ্তিতে পদ্মা ব্যাংকের এমডি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আনতে কোনো ছাড় দেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। বরং আর্থিক বিবরণী সুসংহত করতে সহায়তা করেছে। বিদেশি বিনিয়োগ আনার প্রক্রিয়া সহজ এবং সরলীকরণের জন্য নিয়ম-কানুন মেনে ও গবেষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পদ্মা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের উদ্যোগের পথ মসৃণ করেছে। সব কিছু হয়েছে স্বচ্ছতার সঙ্গে। সব আইন এবং আন্তর্জাতিক অ্যাকাউন্টিং মানদণ্ড মেনে বিদেশি বিনিয়োগের অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিদেশি বিনিয়োগ পেতে পদ্মা ব্যাংকের আর্থিক বিবরণীতে লোকসানের তথ্য গোপনে বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি সম্মতি দিয়েছে। এ বিষয়ে গত ৬ জানুয়ারি সমকালসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। এরপর ৮ জানুয়ারি উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দেয় টিআইবি।
টিআইবির বিবৃতি প্রসঙ্গে এহসান খসরু বলেন, একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন এমন স্বচ্ছ উদ্যোগকে প্রতারণামূলক সুবিধা বলে আখ্যায়িত করে বিবৃতি দেওয়ায় আমি হতবাক হয়েছি। ভালোভাবে বিচার-বিশ্লেষণ, যাচাই-বাচাই না করে শুধু গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে এমন মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক বিবৃতি দেওয়া বিস্ময়কর। এটা স্বচ্ছ প্রতিষ্ঠানের অস্বচ্ছ বিবৃতি। এ ধরনের উদ্ভট বিবৃতি টিআইবি কোনোভাবেই দিতে পারে না। স্বচ্ছতা নিয়ে যারা কাজ করে, অস্বচ্ছ ধারণা নিয়ে কী করে এরকম বিবৃতি দেয় প্রশ্ন রাখেন তিনি।
পদ্মা ব্যাংকের এমডি বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে সহায়তা করছে, সেটা বাংলাদেশে নতুন নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক এর আগে রাষ্ট্রীয় মালিকানার সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক এবং আইসিবি ইসলামিক ব্যাংককে একই ধরনের সহায়তা করেছিল। তিনি বলেন, পদ্মা ব্যাংকের ২০২০ সালের আর্থিক বিবরণী ভালোভাবে বিশ্লেষণ করে ডেলমর্গান বিনিয়োগ করতে রাজি হয়েছে। ব্যাংকটির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল, এখান থেকে তারা ভালো মুনাফা পাবে এ সব বিশ্লেষণ করেই বিনিয়োগের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। এখানে কোনো ধরনের অস্বচ্ছ তথ্য দেওয়া হয়নি। কোনো প্রতারণারও আশ্রয় নেওয়া হয়নি।
এহসান খসরু বলেন, ফারমার্স থেকে নতুনভাবে পদ্মা ব্যাংকের কাজ শুরুর পর থেকে কোনো ধরনের প্রতারণা হয়নি। সবকিছু স্বচ্ছতা-জবাবদিহির সঙ্গে হয়েছে। গত চার বছরে ব্যাংকটির অনেক উন্নতি হয়েছে। গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করেছে, আমানত বেড়েছে। ঋণ বিতরণও হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের কাজে খুশি। ডেলমর্গানও বিশ্নেষণ করে দেখেছে, এই ব্যাংকে বিনিয়োগ করলে ভালো রিটার্ন পাবে। সে কারণেই বিনিয়োগের ব্যবস্থা করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও সেই বিনিয়োগে সব ধরনের সহায়তা করছে। এখানে অস্বচ্ছভাবে কোনো কিছু হচ্ছে না। সব কিছু স্বচ্ছতা-জবাবদিহির সঙ্গেই হচ্ছে।
মন্তব্য করুন