- অর্থনীতি
- 'দেশে ই-কমার্স ইকোসিস্টেম তৈরিতে কাজ করছে দারাজ'
'দেশে ই-কমার্স ইকোসিস্টেম তৈরিতে কাজ করছে দারাজ'

দারাজের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এ. এইচ. এম. হাসিনুল কুদ্দুস রুশো
দেশের ই-কমার্স খাতে চলছে এক ধরনের শুদ্ধি অভিযান। খাতটিতে গ্রাহকের আস্থা ফেরানোর পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে দারাজের বিরুদ্ধেও উঠেছে ডিজিটাল পণ্য বিক্রি করে অর্থপাচারের অভিযোগ। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের সংখ্যায় অন্যতম শীর্ষ কোম্পানি দারাজ। ই-কমার্স খাতে এ সংকটের মধ্যেও এগিয়ে চলেছে চীনা আলিবাবা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠানটি। দেশের ই-কমার্স খাতে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার পাশাপাশি দারাজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়েও সমকাল অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এ. এইচ. এম. হাসিনুল কুদ্দুস রুশো। প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো-
প্রশ্ন: দারাজ বাংলাদেশে কেমন ব্যবসা করছে? প্রবৃদ্ধি কেমন?
উত্তর: দেশের ই-কমার্স ইকোসিস্টেমের বিকাশে এবং এ খাতে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখতে ২০১৪ সালে পাঁচজন কর্মী নিয়ে যাত্রা শুরু করে দারাজ বাংলাদেশ। পরের বছর আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করা হয় দারাজের সেবা। এরপর থেকে ধীরে ধীরে দারাজের ক্রেতা ও সেলার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে আমাদের সেলারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজারেরও বেশি। দেশে কর্মসংস্থান তৈরিতেও আমরা ইতিবাচক ভূমিকা রাখছি। বর্তমানে দারাজে প্রায় ৮ হাজার কর্মী কাজ করছেন। প্রবৃদ্ধির কথা যদি বলি, তাহলে বলা যায় বছরপ্রতি আমাদের পণ্য বিক্রির প্রবৃদ্ধির হার হচ্ছে ৮৩ শতাংশ। ২০১৮ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় আলিবাবা’র সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে আলিবাবা গ্রুপের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দারাজ বাংলাদেশকে অধিগ্রহণ করে, যার মাধ্যমে দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পথ সুগম হয়। এখন পর্যন্ত বিদেশি বিনিয়োগ হিসেবে বাংলাদেশে ১১০০ কোটি টাকা এসেছে যা দেশের অথনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। দেশে ই-কমার্স ইকোসিস্টেম তৈরিতে কাজ করছে দারাজ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে ই-কমার্স খাতে এক ধরনের শুদ্ধি অভিযানের মধ্যে রয়েছে। বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন?
উত্তর: সরকারের এ উদ্যোগকে আমরা নিঃসন্দেহে স্বাগত জানাই। দেশের ই-কমার্স ইকোসিস্টেমের বিকাশে সরকারের এ পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, কিছু ই-কমার্স সাইটের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের ফলে ক্রেতাদের ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে পণ্য কেনার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকদিন ধরেই এক ধরনের শঙ্কা বিরাজ করছিল। এ বিষয়গুলোকে আমলে নিয়েই সরকার অসাধু উপায়ে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পণ্য বিক্রিকারী এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যা বেশ ইতিবাচক ও ই-কমার্স সাইটগুলোর জন্য আশাব্যঞ্জক। সরকারের ই-কমার্স ব্যবসায় শুদ্ধি অভিযানের পাশাপাশি ই-কমার্সের প্রবৃদ্ধির বিষয়েও পদক্ষেপ নেয়া উচিত যা সামনের দিনগুলোতে ই-কমার্স খাতের বিকাশের প্রক্রিয়াকেও ত্বরান্বিত করবে।
প্রশ্ন: এ ঘটনায় ই-কমার্স ভোক্তাদের মধ্যে আস্থার সঙ্কট তৈরি হয়েছে কিনা?
উত্তর: সরকার ও কিছু দায়িত্বশীল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সময়োপযোগী উদ্যোগের ফলে এ সঙ্কটকালীন পরিস্থিতিতে ক্রেতাদের মাঝে আস্থার সঙ্কট তৈরি হয়নি বরং ই-কমার্স খাত নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর ফলে দায়িত্বশীল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্রেতাদের অংশগ্রহণ আরও বেড়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, দারাজের ১১.১১ ক্যাম্পেইনের কথা। চলতি বছর ১১.১১ ক্যাম্পেইনে সেবা দেয়ায় আগের রেকর্ড ভেঙেছে দারাজ। বিশ্বের বৃহত্তম এই শপিং ডে-তে অংশগ্রহণ করতে দারাজ বাংলাদেশের অ্যাপে ভিজিট করেছে ২১ লাখ ২৯ হাজার ৩১০ জন। ক্যাম্পেইন শুরুর ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১৯০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। ১১.১১ ক্যাম্পেইনের এ রকম অভাবনীয় সাফল্যই প্রমাণ করে যে, দায়িত্বশীল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি ক্রেতাদের আস্থার সঙ্কট তৈরি হয়নি। পাশাপাশি ক্রেতাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে দারাজ বাংলাদেশেও বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দারাজ সেলার সামিট, লাইভ শো (যেখানে রিফান্ড, রিটার্ন ও কমপ্লেন ম্যানেজমেন্ট নিয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হয়) এবং বিভিন্ন জেলায় ও উপজেলায় গিয়ে দারাজ ফ্যানদের সঙ্গে আমরা কথা বলছি। এর মাধ্যমে তাদের ডিজিটাল স্বাক্ষরতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রশ্ন: ই-কমার্স বিষয়ক সরকারের সাম্প্রতিক পলিসি নিয়ে আপনাদের অভিমত কী?
উত্তর: ই-কমার্স খাতে ক্রেতাদের আস্থা বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপকে আমরা সবসময়ই সাধুবাদ জানাই। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল লিটারেসির এ যুগে ই-কমার্স খাত খুব দ্রুত বিকশিত হচ্ছে । তাই নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে নীতিমালা করতে হবে এবং সকল অংশীদারদের কথা বিবেচনা করে সময়োপযোগী ও গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড মেনে পলিসি নির্ধারণ করতে হবে। আমাদের বিশ্বাস, সবাই একযোগে কাজ করার মাধ্যমেই আমরা একটি উন্নতমানের ই-কমার্স ইকোসিস্টেম তৈরি করতে পারবো।
প্রশ্ন: আপনাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় গ্রাহকরা নানা অভিযোগ দিয়েছেন। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর মধ্যে অভিযোগ আসার ক্ষেত্রে আপনারাও অন্যতম শীর্ষ কোম্পানি। এ বিষয়ে কী বলবেন?
উত্তর: দেশের সকল প্রান্ত থেকে আসা বিপুল সংখ্যক অর্ডারের বিপরীতে প্রতিটি পণ্য যাতে নির্বিঘ্নে গ্রাহকদের হাতে পৌঁছায় তা নিশ্চিত করতে আমরা সক্রিয়ভাবে কাজ করছি। অভিযোগের কথা বললে, গত চার বছরেরও বেশি সময়ে আমাদের বিরুদ্ধে মোট অভিযোগের সংখ্যা ১০৯৭, আর নিষ্পত্তির সংখ্যা ৯৯৭। অভিযোগ নিষ্পত্তিতে আমরা অন্য সকল প্রতিষ্ঠান থেকে এগিয়ে রয়েছি। আমাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রতিমাসে আমরা আনুমানিক ১০ লাখ পণ্য ডেলিভারি করে থাকি। উপরের অভিযোগের সংখ্যা বিবেচনা করলে আমাদের বিরুদ্ধে প্রতি মাসে গড়ে ২০টি অভিযোগও লক্ষ্যণীয় হচ্ছে না যা একটি শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স সাইটের জন্য ন্যূনতম। আমরা দেখেছি যে, অভিযোগগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রিটার্ন ও রিফান্ড পলিসি না জানার কারণেই ভোক্তারা করে থাকেন। তবে আমরা এ বিষয়গুলো সম্পর্কে এই ইকোসিস্টেমের সবাইকে সচেতন করতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এর ফলে আমরা দেখতে পেয়েছি যে, অভিযোগের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। গ্রাহকরা যদি সঠিকভাবে রিটার্ন ও রিফান্ড পলিসি মেনে চলেন, তবে অনেক সমস্যাই সহজে সমাধান হয়ে যাবে।
প্রশ্ন: আপনাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল পণ্য বিক্রি করে অর্থপাচারের অভিযোগ এসেছে। এ সম্পর্কে আপনাদের বক্তব্য কী?
উত্তর: আমাদের বিরুদ্ধে এমন অর্থপাচারের অভিযোগটি একেবারেই অপ্রত্যাশিত। এখানে একটি কথা বলে রাখা ভালো, দারাজ নিজে কোনো পণ্য বিক্রি করে না। প্রতিষ্ঠানটি ক্রেতা ও বিক্রেতার কেনাকাটার সম্পাদনের ক্ষেত্রে একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। দারাজ কোনোভাবেই বিক্রেতার ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। এখানে বিক্রেতারা একটি ডিজিটাল শপ খুলে ও প্রয়োজনীয় সকল নীতিমালা মেনে চলার অঙ্গীকার নিয়েই পণ্য বিক্রি করে। উল্লেখ্য যে, দারাজ ডিজিটাল পণ্য মার্কেটপ্লেসের মোট বিক্রির ১ শতাংশেরও কম এবং আমরা অদ্যাবদি বিদেশে কোনো অর্থ প্রেরণ করি নাই যার ফলে অর্থপাচারের প্রশ্নই আসে না।
প্রশ্ন: এখন দারাজে কতজন কর্মী আছেন? কতগুলো জেলায় হাব রয়েছে? ডেলিভারি ম্যান কত? প্রতিদিন কী পরিমাণ পণ্য ডেলিভারি হয়? কী পরিমাণ পণ্য আপনাদের সাইটে আছে? অনেক নিম্নমানের পণ্য আপনাদের সাইটে আছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
উত্তর: বর্তমানে আমরা আট হাজারেরও অধিক কর্মীর এক বিশাল পরিবার। গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জনে ও ডিজিটাল ইকোসিস্টেমের বিকাশে আমাদের সকল কর্মী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গ্রাহকদের সুবিধার জন্য আমরা ইতোমধ্যে দেশের ৬৪ জেলায় পৌঁছে গেছি এবং বর্তমানে দেশজুড়ে আমাদের ৮৮টি হাব রয়েছে। আর শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্ধারিত সময়ে গ্রাহকদের হাতে পণ্য পৌঁছে দেয়া আমাদের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব বলে আমরা মনে করি। এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমাদের ৬ হাজারের অধিক ডেলিভারিম্যান রয়েছে এবং সাড়ে চারশ’রও অধিক ভ্যান ও ১ হাজার ৮শ’রও অধিক টু-হুইলারস ক্রেতাদের দোরগোড়ায় পণ্য পৌঁছে দিতে নিয়োজিত রয়েছেন। এখন আমাদের প্রতিদিনের ডেলিভারির সংখ্যা ১ লাখ থেকে ৩ লাখে দাঁড়িয়েছি যা ই-কমার্স খাতের জন্য নতুন মাইলফলক।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে ই-কমার্সের প্রসারে দারাজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
উত্তর: ই-কমার্স যে দেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় একটি খাত। এ ব্যাপারে এখন আর কোনো সন্দেহ নেই। সূচনালগ্ন থেকেই দেশের ই-কমার্স খাতের প্রসারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে দারাজ। অনলাইনে কেনাকাটার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের আস্থা অর্জনে দারাজ বিভিন্ন সময় নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং ভবিষ্যতেও এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর বহুমাত্রিক গ্রাম উন্নয়ন প্রকল্প আমার গ্রাম, আমার শহর শীর্ষক স্বপ্ন পূরণের ক্ষেত্রও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছি। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই খাতকে আরও বেশি ক্রেতাবান্ধব করে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। দেশের প্রতিটি মানুষ যাতে ই-কমার্সের সুবিধা গ্রহণ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে আমরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য ওয়াই-ফাই জোন তৈরি করবো; যেখানে ট্যাব ও স্মার্টফোন থাকবে। এর মাধ্যমে প্রত্যন্ত এলাকার সুবিধাবঞ্চিত মানুষ দারাজের প্ল্যাটফর্ম থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন। একইসঙ্গে যারা হস্তশিল্পের সঙ্গে জড়িত তাদের তৈরিকৃত পণ্যগুলো ডিজিটাল মাধ্যমে প্রদর্শন করতে পারবে এবং দেশের বিভিন্ন জায়গার মানুষ যাতে এই পণ্যগুলো দেখতে পারেন এবং কিনতে পারেন সেটারও ব্যবস্থা করে দেয়া হবে। আমরা এরই মধ্যেই দারাজ লাইভ নামক ইন অ্যাপ শপেবল লাইভস্ট্রিম প্রযুক্তি চালু করছি যেখানে ক্রেতারা সরাসরি বিক্রেতাদের পণ্য লাইভে দেখে, পণ্যের বিবরণ সম্পর্কে সরাসরি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে পারছেন এবং বিক্রেতারা লাইভে সেসব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন। আমাদের বিশ্বাস এই উদ্যোগের মাধ্যমে অনলাইন মার্কেটপ্লেস ও ফিজিকাল দোকানসমূহের মধ্যে যে দূরত্ব ছিল সেই ব্যবধান নিরসনে আমরা অনেক সক্ষম হয়েছি। ক্রেতাদের মানসম্মত পণ্য ও সেবা প্রদানে আমাদের প্রচেষ্টা সমসময়ই অব্যাহত থাকবে এবং বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে আমরা প্রতিনিয়ত উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণ করতে তৎপর থাকব।
প্রশ্ন: দারাজ কি বাংলাদেশে লাভজনক কোম্পানি নাকি এখনো ভর্তুকি দিয়ে চলছে?
উত্তর: ২০১৮ সালে আলিবাবা দারাজ অধিগ্রহণের পর থেকে আমরা একটি সাসটেইনেবল বিজনেস মডেল তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা এখনো লাভজনক কোম্পানিতে পরিণত হতে পারিনি। তবে, আমরা আশাবাদী আমাদের ডায়নামিক নেতৃত্বের মাধ্যমে আমরা ২০২৪ সালের মধ্যে ব্রেক-ইভেন পয়েন্টে পৌঁছাতে পারবো। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম একটি উদীয়মান খাত এবং হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ’র মতে, একটি প্রতিষ্ঠানের বিকাশ হতে গড়ে ২৫ বছর সময় লাগে। উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতের কথা বলা যায়। বিটিআরসির তথ্য মতে, আমাদের দেশের টেলিযোগাযোগ খাত যাত্রা শুরুর প্রায় ৩০ বছর পর বিকশিত হয়েছে। আমরা আশাবাদী যে, সরকারের বিভিন্ন ডিজিটাল উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে আমরা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবো বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।
মন্তব্য করুন