- অর্থনীতি
- আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারবাজার বিনিয়োগ হিসাবও ‘বাজার মূল্যে’
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারবাজার বিনিয়োগ হিসাবও ‘বাজার মূল্যে’

বাণিজ্যিক ব্যাংকের মতো ব্যাংক বহির্ভূত সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ (ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপোজার) বাজার মূল্যে বা ‘মার্ক-টু-মার্কেট বেসিস’ ভিত্তিতে গণনা করতে হবে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করেছে। এতদিন এ নিয়ম শুধু বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য প্রযোজ্য ছিল।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ারবাজারে সর্বোচ্চ কতটা বিনিয়োগ করতে পারবে, তা ১৯৯৩ সালের আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইনের ১৬ ধারায় উল্লেখ আছে।
তবে কোন কোন বিনিয়োগকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য করা হবে এবং তা কোন মূল্যে হিসাব করা হবে, ওই আইনের তার উল্লেখ নেই।
এ বিষয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা জারি করা হয়েছে জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ বলেছে, জারি করা নীতিমালায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কোন কোন বিনিয়োগ উপাদান অন্তর্ভূক্ত হবে শেয়ারবাজার বিনিয়োগ হিসাবে গণ্য হবে এবং তার মূল্য গণনা পদ্ধতি কী হবে তা সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে।
সার্কুলার অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত যে কোনো শেয়ার, ডিবেঞ্চার, করপোরেট বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড বা অন্য কোনো নির্দেশন পত্রসহ সব কিছু এখন থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বা ক্যাপিটাল মার্কেট এপপোজার হিসেবে গণ্য হবে।
বিনিয়োগ মূল্য হিসাব করার ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত শেয়ার, ডিবেঞ্চার, কর্পোরেট বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড বা অন্য কোনো নির্দেশন পত্রের বাজার মূল্যকে বিবেচনায় নিতে হবে। তবে কত দরে কেনা হয়েছে, সে তথ্যও বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে।
এর বাইরে সংশ্লিষ্ট যেসব কোম্পানি (নিজ সহযোগী কোম্পানিসহ) শেয়ারবাজার কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, সেগুলোকে দেওয়া ঋণ এবং শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে গঠিত কোনো তহবিলে (ফান্ড) দেওয়া চাঁদাও এক্সপোজারের অংশ হবে।
তবে বাণিজ্যিক ব্যাংকের মতো সহযোগী বা সাবসিডিয়ারি কোম্পানিতে প্রদত্ত মূলধন, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিনিয়োগ, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি প্রতিষ্ঠান সিডিবিএল এবং স্টক এক্সচেঞ্জের ধারণ করা শেয়ার আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারবাজার এক্সপোজারের অংশ হবে না।
নীতিমালা সম্বলিত এ সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এ নীতিমালার আলোকে প্রতিবেদন তৈরি করে প্রতি প্রান্তিক শেষ হওয়ার পর এক সপ্তাহের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগে দাখিল করতে হবে।
মন্তব্য করুন